নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮
আমাদের জনপ্রিয় অনেক অভিনয় শিল্পীকে যেমন ছোট পর্দায় দেখা যায়, একই সঙ্গে তাদের দেখা মেলে বড় পর্দাতেও। বিজ্ঞাপনও বাদ যায় না। এই কয়েক মাধ্যমের বদৌলতে শিল্পী কতটা জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেন? দুজনার উদাহরণ দিয়েই শুরু করা যাক। পূর্ণিমা ও আমিন খান। বাংলা চলচ্চিত্রের এক সময়কার জনপ্রিয় দুজন নায়ক- নায়িকা। ছোট পর্দায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। সেই ব্যস্ততা কাটিয়ে আর বড় পর্দায় ফেরা হয়নি। বড় পর্দায় এখন তাদের সলো ক্যারিয়ার নেই বললেই চলে। এর বিপরীতেও কথা বলা যায়। চঞ্চল চৌধুরি, আনিসুর রহমান মিলন, মোশাররফ করিম, ফজলুর রহমান বাবু, জাহিদ হাসান, অপর্ণারা দু পর্দাতেই নিয়মিত অভিনয় করছেন। এরা সবাই ছোট পর্দায় জনপ্রিয়। বড় পর্দায় প্রশংসিত। কিন্তু ব্যবসাসফল নয়।বলতে গেলে পৃথিবীর কোথাও এমন রেওয়াজ নেই। একই সঙ্গে তিন মাধ্যমে কাজ করে। তাও সবাই মূল চরিত্রে। যার ফলে তাদের সিনেমার জন্য একটা সাধারণ বিষয় হয়ে গেছে আলোচিত হয়, প্রশংসিত হয় কিন্তু ব্যবসায়িক সফলতা নেই।
কথা হতে পারে ‘আয়নাবাজি’ কিংবা মমর ‘ছুয়ে দিল মন’ নিয়ে। ব্যবসায়িক সফলতার পেছনে নায়ক-নায়িকাই একমাত্র কারণ ছিলেন না। কথা হতে পারে এক হুমায়ূন ফরিদীও তো দু মাধ্যমে সমান জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু তিনি মূল চরিত্রে ছিলেন না। হয়তো তাই তার অভিনয় দিয়ে তিনি উৎরাতে পেরেছেন। দু মাধ্যমেই মূল চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। এমন উদাহরণ নেই বললেই চলে।
একটা সময় গেছে, যখন বিনোদনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল বড় পর্দা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে কারণেই হোক, বড় পর্দার সে জায়গা অনেকটাই দখল করে নিয়েছে ছোট পর্দা। তাইতো এফডিসি ঘরানা আর ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় যাওয়া শিল্পীদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা চলে নীরবে। যা ডিপজলের মতো ব্যক্তিরা কখনো কখনো প্রকাশ্যেও নিয়ে আসে। ছোট পর্দায় সালমান শাহও ছিলেন। কিন্তু বড় পর্দায় নিয়মিত হয়ে ছোট পর্দায় তেমন দেখা যায়নি। জয়া আহসান সহ এমন অনেকেই আছেন ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় গিয়ে দু মাধ্যমে নিয়মিত করেননি। সেক্ষেত্রে তারা সফলও বড় পর্দায়।
বিদ্যা সিনহা সাহা মীম বলেন,‘ আমার প্রথম কাজ বড় পর্দার হলেও আমার শুরু কিন্তু ছোট পর্দা দিয়ে। আমি তাই দুই পর্দাকেই সমান প্রাধান্য দিয়ে একটা সময়ে কাজ করেছি। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে কোনো একটা বেছে নিতে হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমি বড় পর্দা বেছে নিয়েছি। দু-মাধ্যমে কাজ করলে আসলে বানিজ্যিক সফলতা পাওয়া বেশ মুশকিল।’
সুমাইয়া শিমু বলেন,‘এ প্রসঙ্গে আমি বলব, প্রতিটি দেশের সেরা শিল্পী কলাকুশলীরা বড় পর্দায় কাজ করেন। নতুনেরা সেখানে কাজ করার স্বপ্ন দেখে। আমাদের এখানে পরিস্থিতি ভিন্ন। আমরা যারা ছোট পর্দায় কাজ করি, তারা সামাজিক সম্মানটা কিন্তু একটু বেশি পাই। তাই অনেক অভিনয়শিল্পীরাই হয়তো বড় পর্দায় যেতে চায় না। ’
মোশাররফ করিম বলেন, ‘আমরা যে বিশেষ ছোট পর্দামুখী দর্শকশ্রেণীর কথা বলছি, তারা কিন্তু কখনোই কাউকে দেখার জন্য হলে যাবে না। গেলে যাবে পুরো সিনেমাটা কেমন হয়েছে, সেটা দেখতে যায় সাধারনত। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ভক্তরা যে টিকিট কেটে আমাকে দেখতে যাবে। সেটা আমি কুব বিশ্বাস করি না। কারণ আমাকে নিয়মিতই টিভি পর্দায় দেখা যায়। আর একটা ব্যাপার হচ্ছে, আমির খান বছরে এক-দুইটা ছবি করেন। আর আমাদের সবচেয়ে পপুলার নায়ক তার কিন্তু একটা সময়ে প্রতি সপ্তাহে সিনেমা মুক্তি পেত। সেগুলো জনপ্রিয়তাও পেত। ছোট পর্দার ক্ষেত্রেও তা-ই। আমরা যতই নিয়মিত টিভিতে অভিনয় করি। একটা দর্শক সেখানে আমাদের আছে। কিন্ত সেটা বড় পর্দায় নেই। সেটা শাকিব খানের আছে বলেই তার ছবি ব্যবসাসফল হয়। আমরা আশাও করি না যে আমাকে দেখে দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়বে। আমাদের প্রত্যাশা একটা ভালো গল্পে অভিনয় করলাম। সেখানে নিজেকে কতটা তুলে ধরতে পেরেছি।’
বাণিজ্যিক ছবির পরিচালক পরিচালক বদিউল আলম খোকন বলেন,‘ এটা সত্যি কথা। যদি কারও বড় পর্দায় অভিনয় করতে হয়। তাহলে এখানে তার নিয়মিত হতে হবে। অন্য কোথাও আর ঢু মারা চলবে না। তাতে নিজেরই ক্ষতি।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
এবার
শরিফুল রাজের নায়িকা হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। গত সেপ্টেম্বরে নির্মাতা
হিমু আকরাম তার সিনেমা ‘আলতাবানু
কখনো জোছনা দেখেনি’র নায়িকা হিসেবে স্বস্তিকার নাম ঘোষণা করেছিলেন।
কিন্তু এই অভিনেত্রীর বিপরীতে
কে অভিনয় করবেন, তা জানাননি। অবশেষে
জানা গেল নায়কের নাম।
সিনেমাটিতে
স্বস্তিকার বিপরীতে অভিনয় করবেন রাজ। তবে বিষয়টি
নিয়ে এখনই কথা বলতে
নারাজ নির্মাতা। আর রাজের বিষয়টি
নিশ্চিত করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া। প্রযোজনা সংস্থার সূত্রে, স্বস্তিকার বিপরীতে শরিফুল রাজ চূড়ান্ত। ইতোমধ্যে
সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। এখন দিন-তারিখ
দেখে শুটিংয়ে নামার অপেক্ষা।
এদিকে
বহু নাটক নির্মাণ করেছেন
হিমু আকবর। এবার নিজের গল্পেই
প্রথম সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন তিনি।
চিত্রনাট্য লিখেছেন হিমু আকরাম, মোহাম্মদ
নাজিম উদ দৌলা ও
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
সৈয়দপুর,
সুন্দরবন, রাজেন্দ্রপুরের শালবনে এর দৃশ্যধারণ হবে
বলে জানা গেছে। তারকাবহুল
এই সিনেমায় স্বস্তিকা-রাজের পাশাপাশি ইরেশ যাকের, মামুনুর
রশীদ, সোহেল মণ্ডলসহ অনেকেই অভিনয় করবেন।
শরিফুল রাজ নায়িকা স্বস্তিকা মুখার্জি
মন্তব্য করুন
মৃণাল
সেনের অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘পদাতিক’। সত্তরের দশকে
মুক্তি পাওয়া এ সিনেমার নামে
তৈরি হয়েছে মৃণাল সেনের বায়োপিক। বানিয়েছেন সৃজিত মুখার্জি। এতে মৃণালের চরিত্রে
অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের চঞ্চল চৌধুরী। সিনেমাটির টিজার প্রকাশ পেয়েছে ১৪ মে। যেখানে
প্রথম ঝলকেই চমকে দিয়েছেন এ
অভিনেতা।
১ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের টিজারের শুরুতেই দেখানো হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চির বিদায় জানানো হচ্ছে। গলায় মালা দিয়ে শ্মশান ঘাটের দিকে নেওয়া হচ্ছে। হাজারো মানুষের ভিড়ে সেখানে উপস্থিত আছেন মৃণাল সেন। যার চরিত্রে দেখা গেছে চঞ্চল চৌধুরীকে।
টিজার
অল্প সময়ের হলেও, নির্মাতা সৃজিত বার্তা দিয়েছেন বিপ্লব, বিদ্রোহ, সংসার, জীবন ও সিনেমার।
এতে অল্প সময়েই মুগ্ধ
করেছেন চঞ্চল। ‘পদাতিক’-এ মৃণালের স্ত্রী
গীতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করবেন মনামী ঘোষ। পরিচালকের ছেলে
কুণাল সেনের চরিত্রে দেখা যাবে সম্রাট
চক্রবর্তীকে। এ ছাড়া যুবক
মৃণালের চরিত্রে দেখা যাবে কোরক
সামন্তকে। সিনেমাটি এ বছর মুক্তির
কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
‘কান
চলচ্চিত্র উৎসব’ বিশ্বের শোবিজ অঙ্গনের অন্যতম বড় চলচ্চিত্র উৎসব।
দক্ষিণ ফ্রান্সের রিজোর্ট শহর কান-এ
প্রতি বছর সাধারণত মে
মাসে এই উৎসব হয়ে
থাকে। এই উৎসবের ৭৭তম
আসরের পর্দা উঠেছে।
১২
দিনব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশে তারকাদের এ মিলনমেলা চলবে
২৫ মে পর্যন্ত। এ
উপলক্ষ্যে হলিউড-বলিউডসহ বিশ্বের নামিদামি তারকায় ভরে ওঠে কান
শহর। প্রথমবারের মতো এবার কান
চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা।
ভাবনা বুধবার (১৫ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাকে নজরকাড়া পোশাক ও চোখ ধাঁধানো অভিনব লুকে দেখা গেছে। ভাবনার সেই পোস্টে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। পুরো সাজে রয়েছে স্নিগ্ধ আমেজ। কারুকাজ করা নীল রঙের শাড়িতে অভিনেত্রীকে বেশ আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
এবারের
লোকসভা নির্বাচনের অন্যতম চমক ছিলেন হিমাচলের
মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াত। ১৪ মে তিনি
তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
কঙ্গনা
রানাওয়াত ২০২২-২৩ অর্থবছরে
মোট ৪ কোটি ১২
লাখ ৯৫ হাজার ৭৭০
টাকা আয় করেছেন। ২০২১-২২ অর্থবছরে তিনি
১২ কোটি ৩০ লাখ
৯২ হাজার ১২০ টাকা আয়
করেছিলেন।
তার
দেওয়া সম্পত্তির খতিয়ান অনুযায়ী বলিউডের কুইনের কাছে এখন ২
লাখ টাকা আছে। দুটি
মার্সিডিজ এবং একটি বিএমডব্লিউ
গাড়ি আছে। বর্তমানে তার
এই বিএমডব্লিউর বাজার দর ৯৮ লাখ
২৫ হাজার ৩৫৬ টাকা। তার
একটি মার্সিডিজ বেঞ্জের দাম ৫৮ লাখ
৬৫ হাজার ৭৭১ টাকা। আরেকটি
মার্সিডিজের দাম ৩ কোটি
৯১ লাখ ২২ হাজার
৭১৮ টাকা। এছাড়া তার একটি স্কুটিও
আছে, যার মূল্য ৫৩
হাজার ৮২৭ টাকা।
প্রায়
পাঁচ কোটি টাকার সোনার
গহনা আছে কঙ্গনার। ৫০
লাখ টাকার রুপার গহনা, ৩ কোটি টাকার
হিরা আছে কঙ্গনার। ফলে
কঙ্গনা রানাওয়াতের মোট অস্থাবর সম্পত্তির
মূল্য ২৮ কোটি ৭৩
লাখ ৪৪ হাজার ২৩৯
টাকা ৩৬ পয়সা।
কঙ্গনা
রানাওয়াতের মানালিতে একটি, মুম্বাইতে একটি এবং চণ্ডীগড়ে
চারটি বাড়ি আছে। তার এই
বাড়িগুলোর দাম যথাক্রমে ২১
কোটি ৭৮ লাখ ৫৬০
টাকা, ২ কোটি ৫০
লাখ টাকা, ৫৫ লাখ টাকা,
৭৫ লাখ টাকা, ৫৮
লাখ টাকা এবং ৫৮
লাখ টাকা।
তবে তার নামে যে বিপুল সম্পত্তি আছে সেটাই নয়। কঙ্গনা রানাওয়াতের মাথায় কিন্তু বিপুল ঋণের বোঝাও আছে। কঙ্গনার মোট ঋণ ১৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৬ হাজার ৬৮১ টাকা।
মন্তব্য করুন
ফলাফল
বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী
সমিতির নতুন নির্বাচন দাবি
করেছেন পরাজিত সম্পাদক প্রার্থী নায়িকা নিপুণ আক্তার। ফলাফল বাতি চেয়ে তিনি
এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের
করেছেন।
বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
মন্তব্য করুন