ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ৭৫ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৫:৪২ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৭৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন-

চট্টগ্রাম বিভাগ: ১. মোসা. শিরীন আক্তার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, বান্দরবান জেলা মহিলা দল, বান্দরবান জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ২. মো. রিটন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক, আলীকদম উপজেলা বিএনপি, বান্দরবান জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ৩. মোসা. জাহানারা জাহাঙ্গীর, সভাপতি, মহেশখালী উপজেলা মহিলা দল, জেলা কক্সবাজার (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ৪. জাহাদুল হুদা, সভাপতি, মহেশখালী উপজেলা যুবদল, জেলা কক্সবাজার (ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)।

রাজশাহী বিভাগ: ১. কায়সার আহমেদ, সাবেক সহসভাপতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রদল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ২. মো. কামাল উদ্দীন, সদস্য, ভোলাহাট উপজেলা বিএনপি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ৩. মোসা. রেশমাতুল আরস রেখা, মহিলা দলনেত্রী, ভোলাহাট উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ৪. মোহা. আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ৫. বাবর আলী বিশ্বাস, সদস্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ৬. আতাউর রহমান খসরু, আহ্বায়ক, মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপি, কালাই উপজেলা, জয়পুরহাট জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৭. শামীমা আক্তার (বেদেনা), সদস্য, জয়পুরহাট জেলা মহিলা দল ও সহসভাপতি, ক্ষেতলাল উপজেলা মহিলা দল, জয়পুরহাট জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৮. ইমতিয়াজ আহমেদ হীরা, সাবেক ভিপি, নাটোর সদর উপজেলা, নাটোর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৯. আফজাল হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি, নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি, নাটোর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১০. মোসা. মহুয়া পারভিন, সভাপতি, নলডাঙ্গা উপজেলা মহিলা দল, নাটোর জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

ময়মনসিংহ বিভাগ: ১. এ বি এম কাজল সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. মোসা. সুমি বেগম, সহকুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দল (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. মোসা. মনোয়ারা বেগম, সহসভাপতি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দল (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৪. অ্যাড. হাসনাত তারেক, সদস্য, আইনজীবী ফোরাম, হালুয়াঘাট উপজেলা, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৫. জাহাঙ্গীর আলম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদল, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৬. শামসুর রশিদ মজনু, সাবেক সহসভাপতি, ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৭. ইমরান হাসান পল্লব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ফুলপুর পৌর বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৮. কামাল উদ্দীন, যুগ্ম আহ্বায়ক, পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি, কিশোরগঞ্জ জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৯. নাজমুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি ও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক, সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১০. নাজমুল আলম, সদস্য, হোসেনপুর উপজেলা বিএনপি, কিশোরগঞ্জ জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১১. ফরিদ আল-রাজি, সাবেক সদস্য, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদল (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১২. হুমায়ুন কবির, সদস্য, হালুয়াঘাট উপজেলা যুবদল, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১৩. এ বি এম সাইফুল মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,

কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি, শ্রীবর্দী উপজেলা, শেরপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১৪. আব্দুর রহিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক, ০১ নং ওয়ার্ড, শ্রীবর্দী শহর বিএনপি, শেরপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

১৫. সাদমান সৌমিক মুন, সভাপতি, গোসাইপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল, শ্রীবর্দী উপজেলা, শেরপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১৬. জোবায়দুল ইসলাম রাজন, আহ্বায়ক, শ্রীবর্দী উপজেলা ছাত্রদল, শেরপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১৭. মোঃ আমিনুল ইসলাম বাদশা, সদস্য, ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপি ও সদস্য, শেরপুর জেলা বিএনপি (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১৮. মেহেদী হাসান মামুন, আহ্বায়ক, ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, শেরপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

সিলেট বিভাগ: ১. সেবুল মিয়া, সহসাংগঠনিক সম্পাদক, যুক্তরাজ্য বিএনপি, বিশ্বনাথ উপজেলা, সিলেট জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. গৌউছ খান, সাবেক আহ্বায়ক, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি, সিলেট জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. ছবি চৌধুরী, সহসভাপতি, সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা দল ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, দিরাই উপজেলা বিএনপি, সুনামগঞ্জ জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৪. রাহেলা বেগম হাসনা, সাংগঠনিক সম্পাদক, বড়লেখা উপজেলা বিএনপি ও সাধারণ সম্পাদক মৌলভীবাজার জেলা মহিলা দল, মৌলভীবাজার জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৫. গোলাপ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক, দিরাই উপজেলা বিএনপি, সুনামগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৬. গণেন্দ্র চন্দ্র দাস, সভাপতি, শাল্লা উপজেলা বিএনপি, সুনামগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৭. স্বপ্না শাহীন বেগম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি, সিলেট জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৮. আব্দুল রব সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক, খাজানজি ইউনিয়ন বিএনপি, বিশ্বনাথ উপজেলা, সিলেট জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৯. কাউছার খান, যুগ্ম সম্পাদক, বিশ্বনাথ উপজেলা, স্বেচ্ছাসেবক দল, সিলেট জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

বরিশাল বিভাগ: ১. ফায়জুল কবির তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জিয়ানগর উপজেলা বিএনপি, পিরোজপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

ঢাকা বিভাগ: ১. আফরোজা রহমান লিপি, সভাপতি, সিঙ্গাইর উপজেলা মহিলা দল, মানিকগঞ্জ জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. জাহিদুর রহমান তুষার, যুগ্ম আহ্বায়ক, হরিরামপুর উপজেলা যুবদল, মানিকগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. তোফাজ্জল হোসেন তোফাজ, সিনিয়র সহসভাপতি, সিঙ্গাইল উপজেলা বিএনপি, মানিকগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৪. মোশারফ হোসেন মুসা, সদস্য, হরিরামপুর উপজেলা বিএনপি, মানিকগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৫. এজাদুর রহমান মিলন, সহসভাপতি, গাজীপুর জেলা বিএনপি ও সদস্য, সদর উপজেলা বিএনপি, গাজীপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

কুমিল্লা বিভাগ: ১. সাজ্জাদ মোর্শেদ, সহপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল, নাসিরনগর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. ওমরাহ খান, সাবেক সহ-সভাপতি, নাসিরনগর উপজেলা বিএনপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. শামীম ইস্কান্দার, সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জিয়া পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৪. হানিফ আহমেদ সবুজ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, সরাইল উপজেলা যুবদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৫. মাজহারুল ইসলাম, সদস্য, লাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৬. হালিমা আক্তার শিমু, সহনারী অধিকার বিষয়ক সম্পাদক, কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দল, মেঘনা উপজেলা, কুমিল্লা উত্তর জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৭. দিলারা শিরীন, সহসাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দল, মেঘনা উপজেলা, কুমিল্লা উত্তর জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৮. রমিজ উদ্দীন লন্ডনী, যুগ্ম আহ্বায়ক, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও আহ্বায়ক, মেঘনা উপজেলা বিএনপি, কুমিল্লা উত্তর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

খুলনা বিভাগ: ১. মোসা. রোমানা আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, মেহেরপুর জেলা বিএনপি ও সদস্য, সদর উপজেলা বিএনপি (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. ইশরাত জাহান পুনম, সহসভাপতি, কুষ্টিয়া জেলা মহিলা দল, খোকসা উপজেলা, কুষ্টিয়া জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. মেহেদী হাসান মিন্টু, সদস্য, রামপাল উপজেলা বিএনপি ও আহ্বায়ক, বাগেরহাট জেলা তাঁতী দল, বাগেরহাট জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

রংপুর বিভাগ: ১. সরোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি, ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপি, দিনাজপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. মো. সেলিম, যুববিষয়ক সম্পাদক, ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবদল, দিনাজপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. মোসা. পারুল নাহার, সহসভাপতি, হাকিমপুর উপজেলা বিএনপি, দিনাজপুর জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৪. আব্দুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক, বিরামপুর পৌর বিএনপি, দিনাজপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৫. মোসা. উম্মে কুলসুম বানু, সাধারণ সম্পাদক, বিরামপুর উপজেলা মহিলা দল, দিনাজপুর জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৬. মোসা. লতিফা আক্তার, সাবেক সভাপতি, পাটগ্রাম উপজেলা মহিলা দল, লালমনিরহাট জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৭. মোসা. মাকতুফা ওয়াসিম বেলী, আহ্বায়ক, হাতিবান্ধা উপজেলা মহিলা দল, লালমনিরহাট জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৮. ইমান আলী, সহসভাপতি, রৌমারী উপজেলা বিএনপি, কুড়িগ্রাম জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৯. সেকেন্দার আলী চাঙ্গা, সদস্য, রৌমারী উপজেলা বিএনপি ও সদস্য, কুড়িগ্রাম উপজেলা কৃষক দল, কুড়িগ্রাম জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১০. মোসা. তাজমিন নাহার (শাপলা), সহসভাপতি, রৌমারী উপজেলা মহিলা দল, কুড়িগ্রাম জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১১. শাহ মো. ফরহাদ হোসেন অনু, যুগ্ম আহ্বায়ক, পীরগাছা উপজেলা বিএনপি, রংপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

ফরিদপুর (সাংগঠনিক) বিভাগ: ১. জানে আলম, সদস্য সচিব, চরভদ্রাসন উপজেলা কৃষক দল, ফরিদপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. ফারুক মৃধা, প্রাথমিক সদস্য, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. শাহিদ আল-ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক, ফরিদপুর জেলা কৃষক দল, সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৪. একেএম নাজমুল হাসান, সাবেক সদস্য, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল ও সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৫. রউফ উন-নবী, সাবেক সভাপতি, সদর উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৬. শারমিন আক্তার টুকটুকি, সহসভাপতি, রাজবাড়ী জেলা মহিলা দল, সদর, রাজবাড়ী জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মির্জাপুরে বিএনপির ২০ নেতাকে সতর্ক বার্তা

প্রকাশ: ০৯:০৩ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাচনে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ হায়দার খানের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ২০ নেতাকে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রউফ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আরিফ এবং পৌর বিএনপির সভাপতি হয়রত আলী মিঞা সম্পাদক এসএম মহসীন স্বাক্ষরিত পৃথক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সতর্ক বার্তা পাওয়ার পর নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিলে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানানো হয়।

সতর্ক বার্তাপ্রাপ্ত নেতারা হলেন, উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন প্রিন্স, সদস্য আলী হোসেন রনি, প্রচার সম্পাদক সাঈদ আনোয়ার, গোড়াই ইউনিয়নের সাবেক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, বহুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অকরাম মল্লিক ভাওড়া ইউনিয়নের সাবেক সম্পাদক তপন হাসান খানসহ ২০ নেতা।


টাঙ্গাইল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আবার তাপস-খোকন বিরোধ, আওয়ামী লীগে অস্বস্তি

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে আওয়ামী লীগে কোন্দল বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এর মধ্যেই ঢাকার আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট নেতা শেখ ফজলে নূর তাপস এবং সাঈদ খোকনের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্য আকার রূপ নিয়েছে। কয়েকদিন আগে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দুটির মেয়রদের মেয়াদ চার বছর পূর্ণ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের প্রথম দিকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটির দক্ষিণের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন এখন তাপসের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। অন্যদিকে বর্তমান মেয়র তাপস দীর্ঘদিন ধরেই সাঈদ খোকনকে কোণঠাসা করার জন্য প্রকাশ্য তৎপরতা দেখিয়েছেন। এই দুই নেতার বিরোধ এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে এক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যে সময় সারা দেশে আওয়ামী লীগ কোন্দল নিরসনে আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে।

আরও পড়ুন: জামায়াত চাঙ্গা হচ্ছে কীভাবে?

সাইদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রাক্তন মেয়র ছিলেন। তার মেয়র থাকা অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নানা রকম অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছিল। বিশেষ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে তার সীমাহীন ব্যর্থতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনে সাঈদ খোকনকে আর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে মনোনয়ন দেয়নি। তার বদলে ধানমন্ডি এলাকার এমপি শেখ ফজলে নূর তাপস মনোনয়ন পান এবং নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি চার বছর অতিক্রম করেছেন। তাপস যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছেন এমনটি নয়৷ তবে দুর্নীতি বা অন্যান্য অভিযোগে তিনি সাঈদ খোকনের মত ব্যাপকভাবে সমালোচিত হননি।

অন্যদিকে সিটি কর্পোরেশনে দায়িত্ব গ্রহণ করে তাপস সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং সেটি করতে যেয়ে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের অনুগত বেশ কয়েক জনকে চাকরিচ্যুত করেন। তিনি সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে বেশ প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেন এবং তার কিছু নীতি এবং কর্মসূচির বিপরীত অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। এরকম বিরোধের জেরে এক সময় সাঈদ খোকনের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছিল দুর্নীতির অভিযোগে। এবং দুজনের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্য রূপ ধারণ করেছিল। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপে সেই বিরোধ সাময়িকভাবে থেমে যায়।

আরও পড়ুন: অর্থকষ্টে বিএনপি

সাইদ খোকন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন। গত নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে তিনি মেয়র হিসেবে তার কার্যক্রম এবং সাফল্যের কথা তুলে ধরেন৷ এই সাফল্যের কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বর্তমান মেয়রের তীব্র সমালোচনা করেন এবং মেয়রের বিভিন্ন নীতি এবং অবস্থানের ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্য তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: তারেক কি যুক্তরাজ্যে অবাঞ্ছিত হচ্ছেন?

ধারণা করা হচ্ছে যে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখেই সাঈদ খোকন সমালোচনার তীর ছুড়েছেন তাপসের দিকে। এখন তাপস যে তাকে পাল্টা আঘাত হানবেন এটা বলাই বহুল্য। স্থানীয় ঢাকাবাসীরা মনে করছেন, ফজলে নুর তাপস মেয়র হওয়ার পর সিটি কর্পোরেশনের দুর্নীতি কমিয়েছেন। তিনি কিছু সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ এবং কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। দুজনেরেই ভালো মন্দ আছে। তবে সাঈদ খোকন মেয়র থাকা অবস্থায় দুর্নীতির একটি বড় ধরনের পার্সেপশন সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল যেটি তাপসের সময় তৈরি হয়নি। এখন মেয়র হিসেবে আবার দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনে ফিরে আসতে চাইছেন সাঈদ খোকন। সে জন্যই তিনি বর্তমান মেয়রকে সমালোচনা করছেন বলেই অনেকে মনে করেন।

তবে তাপস এবং সাঈদ খোকনের এই বিরোধ আওয়ামী লীগের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে এই সময় আওয়ামী লীগের দই গুরুত্বপূর্ণ নেতার বিরোধ সরকার সম্পর্কে এবং দলের ভিতর ভুল বার্তা দিবে বলেই অনেকে মনে করছেন। 


আওয়ামী লীগ   সাঈদ খোকন   শেখ ফজলে নুর তাপস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াত চাঙ্গা হচ্ছে কীভাবে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর নির্বাচন বিরোধী অধিকাংশ বিরোধী শিবিরেই এখন হতাশা। বিশেষ করে আন্দোলনের ব্যর্থতা নেতা কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অনীহা তৈরি করেছে। নতুন করে আন্দোলন শুরু করা বিএনপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কষ্টসাধ্য এবং কঠিন হয়ে উঠেছে বলেই মনে করেন বিএনপির নেতারা। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে জামায়াত যেন বিএনপির সহায়ক শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বিএনপিকে চাঙ্গা করা এবং বাঁচিয়ে রাখার মহান দায়িত্ব গ্রহণ করেছে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াত।

গত কিছুদিন ধরেই জামায়াতের মধ্যে অত্যন্ত চাঙ্গা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জামায়াত শুধু তাদের নিজেদের সংগঠনকে গোছাচ্ছে না বরং বিএনপিকেও পরিচালনা করার ক্ষেত্রে প্ররোচিত করছে, প্রভাব বিস্তার করছে। জামায়াত এখন আবার শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। বিশেষ করে বিরোধী রাজনীতির মেরুকরণে জামায়াত এখন কর্তৃত্বের আসন গ্রহণ করেছে বলেও মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন: অর্থকষ্টে বিএনপি

প্রশ্ন উঠেছে জামায়াত চাঙ্গা হচ্ছে কীভাবে? ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ভূমিধস বিজয়ের পর যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করে এবং এই বিচারে জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব নেতাকেই বিচারের আওতায় আনা হয়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ শাস্তি পেয়েছে। একে একে জামায়াতের সব শীর্ষনেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত হওয়ার পরও দলটি বিলুপ্ত হয়নি, ভেঙে পড়েনি। বরং বিভিন্ন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জামায়াত এখন আগের চেয়ে সংগঠিত হচ্ছে এবং তৃণমূল পর্যন্ত এর সংগঠন বিস্তার করছে। জামায়াত দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে সমাবেশ করতে পারেনি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়গুলোতে জামায়াতের শোডাউন লক্ষ্য করার মতো। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের জামায়াতের সমাবেশ তার আগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আমাদের কর্মী সমাবেশ। নির্বাচনের পরে জামায়াতের তৎপরতা। গত রমজানে পাঁচতারকা সোনারগাঁ হোটেলে জামায়াতের ইফতার পার্টি ইত্যাদি সবই জামায়াত কে নতুন শক্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

জামায়াত চাঙ্গা হচ্ছে কীভাবে সেটি এখন একটি বড় প্রশ্ন। কারণ যুদ্ধাপরাধের বিচারের পর অনেকেই মনে করেছিলেন যে বাংলাদেশে ধর্মান্ধ মৌলবাদ এবং স্বাধীনতার বিরুদ্ধে রাজনীতির চির অবসান ঘটবে। এই দলগুলো মুখ থুবড়ে পড়বে। কিন্তু এই সমস্ত বিচারের এক দশক পরও দেখা যাচ্ছে যে জামায়াত নতুন করে সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছে। এর একটি বড় কারণ হল স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে প্রগতিশীল ধারার রাজনৈতিক দলগুলো মানুষকে আকর্ষণ করতে পারছে না। জামায়াত তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সংঘটিত হচ্ছে। অনেক স্থানে জামায়াত তাদের পরিচয় গোপন করে ধর্মপ্রচারের নামে তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করছে। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে দাওয়াত এবং নানা রকম ইসলামী কর্মসূচির মাধ্যমে জামায়াত একটি নতুন আবহাওয়া তৈরি করার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন: তারেক কি যুক্তরাজ্যে অবাঞ্ছিত হচ্ছেন?

তাছাড়া জামায়াতপন্থি যেসমস্ত ব্যবসায়ীরা তারা সরকারের সাথে একধরনের গোপন আঁতাত এবং সম্পর্ক তৈরি করছেন এবং আঁতাত ও সম্পর্কের মাধ্যমে তারা সরকারের সাথে ব্যবসা-বানিজ্য করছেন। সেই ব্যবসার টাকা সংগঠন করার জন্য দিচ্ছেন। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে তা হলো, জামায়াতের কর্মীরা দলকে নিয়মিত চাঁদা দিচ্ছেন এবং ছোট ছোট চাঁদার ফলে একটি বিপুল অর্থ জমা হচ্ছে। আর একারণেই জামায়াত এখন বিরোধী রাজনীতির কেন্দ্রে এসে দাড়িঁয়েছে। 


জামায়াত   বিএনপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অর্থকষ্টে বিএনপি

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপি নতুন করে আন্দোলন শুরু করতে চাইছে। কিন্তু আন্দোলন শুরু করার জন্য যে আর্থিক সামর্থ্য প্রয়োজন, সেই আর্থিক সামর্থ্য এখন বিএনপির অনেক কমে গেছে। অর্থকষ্টে ভুগছে দলটি। সম্প্রতি দলের স্থায়ী কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিষয়টি লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার কাছে অবহিত করেন। তারেক জিয়া তাদের বলেছেন, ‘আমারই চলতে কষ্ট হচ্ছে, আপনারা টাকা জোগাড় করুন’।

উল্লেখ্য যে, বিগত দুই বছর বিএনপির বেশ কিছু কর্মসূচি করেছিল এবং তাদের কাছে আর্থিক প্রবাহে একটা স্ফীতিভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল। বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা গোপনে গোপনে দুই নৌকায় পা দেওয়ার মতো আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে অর্থ সহায়তা দিয়েছে। তাছাড়াও বিভিন্ন বিএনপিপন্থি ব্যবসায়ীরা দলটিতে অর্থ সহায়তা বাড়িয়েছিল। তাদের আশা ছিল যে, শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচন প্রতিরোধ করতে পারবে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটবে। আর এই কারণেই ডু অর ডাই অবস্থা থেকে অনেক ব্যবসায়ী বিএনপিকে দুই হাতে অর্থ ঢেলেছিল। আর এ কারণেই বিএনপির মধ্যে গত দুই বছর চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছিল। কোটি কোটি টাকা খরচ করে তারা বিভিন্ন বিভাগীয় সমাবেশ করেছে। কর্মসূচি পালন করেছে। এই সমস্ত কর্মসূচির ফলে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের আশা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর আস্তে আস্তে বিএনপিতে অর্থ প্রবাহ কমতে থাকে।

আরও পড়ুন: তারেক কি যুক্তরাজ্যে অবাঞ্ছিত হচ্ছেন?

বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন যে, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বিএনপিকে অনেকেই আর্থিক সহায়তা দিচ্ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হওয়া এবং বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রগুলো নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রেক্ষিতে এখন বিএনপিকে সবাই এড়িয়ে চলতে চাইছে। যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা আগে বিএনপিকে অর্থ দিতেন তারা এখন বিএনপি নেতাদের টেলিফোন ধরছেন না বলেও কোন কোন নেতা অভিযোগ করেছেন। আর বিএনপিপন্থি যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা সরকারের পতনের লক্ষ্যে আন্দোলনের গতি বাড়ানোর জন্য দুহাতে অর্থ দিয়েছেন তারা এখন হাত পা গুটিয়ে নিয়েছেন।

এখন ওই সমস্ত ব্যবসায়ীরা তাদের অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টা করছেন। নতুন করে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে কারও কারও মধ্যে। কারণ তারা মনে করছে, আন্দোলনে বিএনপি পরাজিত হয়েছে, এখন বিএনপির পেছনে অর্থ ঢালা মানে নিজেকে ঝুঁকিতে ফেলা। এ কারণেই বিএনপি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে চাঁদা আদায় করত সেই চাঁদার পরিমাণ এখন শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে।

আরও পড়ুন: হাইকমান্ডের হাতে বিএনপির ৩০০ নেতার ভাগ্য

বিএনপির অর্থ উপার্জনের একমাত্র উপায় হল, কমিটি গঠন করা এবং কমিটি গঠন করার মাধ্যমে বিভিন্ন নেতা কর্মীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা। কিন্তু নেতাকর্মীরা এখন আগের মতো সচল অবস্থায় নেই। বহু নেতাকর্মী জেলে। তাদের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এমনকি অনেকে আদালতের খরচ মেটাতেও হিমশিম খাচ্ছেন। এ কারণে টাকা দিয়ে কমিটিতে জায়গা নেওয়াটা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এখানেও আর্থিক অর্থ প্রাপ্তিতে একটি টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। এ কারণে বিএনপি এখন বহিষ্কার বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকছে। বিভিন্ন নেতাকে ঢালাওভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। তখন তারা টাকা পয়সা দিয়ে দলে আবার জায়গা করে নিচ্ছেন। এভাবে কোনরকমে দলটি টিকছে।

তবে বিএনপি নেতারা মনে করছেন, যারা অর্থসংগ্রহ করছে সে সমস্ত নেতারা ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। বিশেষ করে কয়েকজন নেতা যারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তারা একটি মোটা অংকের টাকা নিজেদের কাছে রেখে অল্প কিছু দলের জন্য বরাদ্দ করেছেন। তবে ওই সমস্ত নেতাদের অনেকেরই দাবি তারা নিজের কাছে কিছুই রাখেননি। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তারা যে চাঁদা বা আথিক অনুদান পেয়েছেন তার একটি বড় অংশই তাদেরকে লন্ডনে পাঠাতে হয়েছে তারেক জিয়ার বিলাসী জীবনযাপনের জন্য।


বিএনপি   আওয়ামী লীগ   ব্যবসায়ী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন