ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ওয়াশিংটন বার্লিন দুবাই নিয়ে বিশেষ উৎকণ্ঠা

প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ওয়াশিংটন, বার্লিন, দুবাইসহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক মিশনগুলো নিয়ে চিন্তায় পড়েছে সরকার। এ মিশনগুলোকে রপ্তানি আয়ের যে টার্গেট দেওয়া হয়েছিল তা পূরণ করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, অনেক মিশনের রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের চেয়েও কমে গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের রপ্তানি আয় যে দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলো টার্গেট অর্জন করতে পারছে না; সরকারের দুশ্চিন্তার এটিই প্রধান কারণ। মিশনগুলো টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হলে রপ্তানি আয় কমে যাবে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত আরও ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬২৬ কোটি ডলার। টার্গেটের চেয়ে প্রায় ৪৫৪ কোটি মার্কিন ডলার বা ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ কম রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে। বৈদেশিক মিশনগুলো টার্গেট অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী রপ্তানি আয় বাড়ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরকারি তথ্য বলছে, একক মিশন হিসেবে ওয়াশিংটন থেকে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে জার্মানির বার্লিন মিশন থেকে। এ দুটি মিশনেই রপ্তানি আয় টার্গেটের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে ওয়াশিংটনে রপ্তানি আয় লক্ষ্যের চেয়ে প্রায় ১২ দশমিক ৫ এবং বার্লিন থেকে প্রায় ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। শুধু তাই নয়, এ দুটি মিশনে গত বছরের চেয়েও রপ্তানি আয় কমে গেছে চলতি বছর। ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ মিশনের মধ্যে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, ফ্রান্সের প্যারিস, স্পেনের মাদ্রিদও রপ্তানি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই মিশন। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে টার্গেটের চেয়ে প্রায় ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ রপ্তানি আয় কমেছে। আলোচ্য সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলোর মধ্যে কানাডার অটোয়া, ভারতের নয়াদিল্লি, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, সিঙ্গাপুর এমনকি জাপানের টোকিও মিশনও রপ্তানি লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা মহামারির পর গত দুই বছর জাপানের টোকিও মিশন রপ্তানি আয় বেশ ভালো করেছে। সরকার এটিকে নতুন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখেছে। তবে চলতি অর্থবছরে টোকিও মিশনের রপ্তানি চিত্রটি নেতিবাচক হয়ে গেছে, যা উদ্বেগের। একইভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের রপ্তানি চিত্রটিও উদ্বেগজনক।

ইপিবির জরুরি বৈঠক : বিশ্বের প্রভাবশালী মিশনগুলোর রপ্তানি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতার বিষয়টি সামাল দিতে গত বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইপিবি। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান প্রভাবশালী দেশগুলোয় রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ওয়াশিংটন, বার্লিন, দুবাই, টোকিওর মতো গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলোর রপ্তানি আয় কেন কমে যাচ্ছে-এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে যত দ্রুত সম্ভব লিখিত কারণ জানাতে বলেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ইপিবির এক সূত্র জানান, যেসব মিশন রপ্তানি টার্গেট পূরণ করতে পারেনি, সেগুলোর কাছেও চিঠি পাঠানো হবে। কেন রপ্তানি বাণিজ্য হ্রাস পাচ্ছে, কোথায় চ্যালেঞ্জ-এ বিষয়ে মিশনগুলোর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইপিবির এক কর্মকর্তা জানান, রপ্তানি বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৬১টি মিশন রয়েছে বাংলাদেশের। এসব মিশনকে প্রতি বছর রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এসব মিশনের কাজই হচ্ছে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য বহুমাত্রিক উদ্যোগ নেওয়া। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশে সরকার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকার ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের কার্যকর সংযোগ স্থাপন, সম্ভাবনাময় পণ্যের বাজার সৃষ্টি, কোনো চ্যালেঞ্জ থাকলে সরকারকে দ্রুত অবহিত করাসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম রয়েছে। বাংলাদেশি পণ্যের দূত হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি রপ্তানির গতি বাড়াতে আমদানিকারকের সঙ্গে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকের পরিচয় করিয়ে দেওয়াও এসব মিশনের মূল কাজ। তবে এতে ব্যর্থ হচ্ছে অধিকাংশ মিশন। বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রপ্তানি আদেশ বাড়ানোর ক্ষেত্রে মিশনগুলো সরাসরি কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। দু-একটি মিশন ব্যবসায়ীদের সহায়তা করলেও পর্যাপ্ত নয়। রপ্তানি কমে যাওয়ার মূল কারণ ইউরোপ-আমেরিকায় বিক্রি কমে গেছে। তারা ক্রয়াদেশও কম দিচ্ছে। এর ফলে আমাদের কারখানাগুলো সক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি কাজ করতে পারছে না। এর প্রভাব পড়ছে এশিয়ার দেশগুলোতেও। এ অবস্থায় ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা যদি আরও বেড়ে যায় তবে রপ্তানি  খাত আরও বেশি হুমকির মুখে পড়বে।


ওয়াশিংটন   বার্লিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে

প্রকাশ: ০২:০০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং অন্যান্যদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

তবে ইরানের রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা, যিনি হেলিকপ্টারটির উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার ‘অসমর্থিত’ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর আল-জাজিরার

দেশটির রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

কিন্তু ওই সাংবাদিক জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখান থেকে উদ্ধারকারীরা আর মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়ে। ওই সময় এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন।

যেখানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে উদ্ধারকারীরা পায়ে হেঁটে যান। জায়গাটি এতটাই দুর্গম যে সেখানে পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা।

রোববার আজারবাইজানে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে করে তাবরিজে যাচ্ছিলেন। সেখানেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, সেখানকার স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড জোরে কিছু আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য জানার পরই ঘটনাস্থলে কমান্ডো বাহিনী ও উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইব্রাহিম রাইসির বেঁচে থাকা নিয়ে শঙ্কিত দেশটির কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ০১:২৯ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রদেশ আজারবাইজান থেকে ফেরার পথে সীমান্ত এলাকায় প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে এটি পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা। খবর রয়টার্সের

সরকারি ওই কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার কারণে ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। তারপরও আমরা আশাবাদি। তবে সেখান থেকে যে খবর আসছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। 

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকর্মীদের উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। একটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানে প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং ঠাণ্ডা পড়ছে। ফলে উদ্ধার কর্মীরা পৌঁছাতে পারছে না। 

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং রাইসির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। যে এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার লাইভ সম্প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এতে চারদিকে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। 

২০২১ সালে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ৬৩ বছর বয়সী রাইসি। তার সময়ে দেশটিতে কঠোরভাবে নৈতিক আইন প্রয়োগ করা হয়। কঠোর নৈতিক আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভও তাকে সামাল দিতে হয়েছে। 


ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট?

প্রকাশ: ১০:৩৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনারকবলে পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা শহরে এটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অবতরণ করে। হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নরসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি জানিয়েছেন, একাধিক উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তবে তাদের সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে। কারণ বর্তমানে সেখানে প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে।

এদিকে কী কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তা এখনও স্পষ্ট করা যায়নি। দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। এর মধ্যে দুটি নিরাপদে অবতরণ করেছে।

প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যু হলে, ইরানের সংবিধান অনুযায়ী প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনক্রমে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমানে এ দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ মোখবার।

প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট? ইরানের রাজনৈতিক শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে, রাষ্ট্রের প্রধান হলেন সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্টকে সরকারের প্রধান সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

যখন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মারা যান, তখন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্বে থাকবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে দেশকে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নির্বাচনে যেতে হবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরানি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে না থাকা এবং হেলিকপ্টার থেকে যোগাযোগ করার যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে সেগুলোর কোনোটিই সত্যি নয়। সত্য হলো রাইসি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাকে খুঁজে পেতে অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি বলেছেন, বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে। খারাপ আবহাওয়া ও কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে যেতে সময় লাগবে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং উদ্ধারকারী দল তাদের কাজ করছে। আমরা আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব এটি সম্পন্ন হবে।

ইরান বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। তবে কয়েক দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখায় নতুন হেলিকপ্টার অথবা যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে পারে না দেশটি। দেশটির সামরিক বাহিনীর অনেক হেলিকপ্টার ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের সময়েরও আগের।

উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী এই নেতাকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়।

ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১০:১৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গীদের। ঘটনাস্থলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে ৫ মিটারের বেশি দূরত্বে কিছু দেখা যাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতোল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে–হাশেম ছিলেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি পার্বত্য অঞ্চল এবং বন–জঙ্গলে ঘেরা। ইরানের জরুরি সেবা সংস্থার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারাস্ত ইরনাকে বলেছেন, ঘটনাস্থলের উদ্দেশে একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সেটি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।

ইরানের একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম টুইটারে বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারী কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পূর্ব আজারবাইজানের রাজধানী তাবরিজ শহর থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য আহমদ আলী রেজা বেইগি বলেছেন, উদ্ধারকারীরা এখনো প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেননি। বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে উদ্ধাকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

৪০টি উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আল–জাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেম। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও একাধিক ড্রোন রয়েছে।

এসব সত্ত্বেও হেলিকপ্টারটি না খুঁজে পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদি বলেছেন, ‘হয়তো দুর্ঘটনাটি খুবই মারাত্মক হয়েছে বা যেখানে দুর্ঘটনাটি হয়েছে সেখানে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক নেই। তাই হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’

আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর আজ হেলিকপ্টারটিতে করে ফিরছিলেন রাইসি। এ যাত্রায় প্রেসিডেন্টের বহরে থাকা অন্য দুটি হেলিকপ্টার অক্ষত রয়েছে।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত   ইরানের প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সৌদি আরবের বাদশাহ অসুস্থ

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করানো হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে সৌদি আরবের রয়্যাল কোর্ট আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেদ্দার আল-সালামের একটি ক্লিনিকে বাদশাহ সালমানের স্বাস্থ্যের কয়েকটি পরীক্ষা করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাদশাহ সালমান জ্বর ও অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভুগছেন। চিকিৎসকেরা তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করবেন। এর মাধ্যমে তিনি সুস্থ্ আছেন কি না, সেটি নিশ্চিত করা হবে।

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান ২০১৫ সালে সৌদি আরবের সিংহাসনে বসেন। এর দুই বছর পর ২০১৭ সালের জুনে সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (৩৮)। মূলত এর পর থেকেই তিনি সৌদির কার্যত নেতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে বাদশাহ সালমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই সময় তার কোলোনস্কপি করা হয়েছিল। 

সৌদি আরব   বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন