ইনসাইড বাংলাদেশ

ওয়াজেদ মিয়া ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর কাছাকাছি থেকেও ক্ষমতাচর্চায় আগ্রহী হননি: নানক

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী। যদিও বৈবাহিক সম্পর্ক বাদেই বাঙালি জাতির এক গর্বিত ও আলোকিত মানুষের নাম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া। এক বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ছিলেন এই পরমাণু বিজ্ঞানী। ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ে থেকেও তার নির্মোহ জীবনযাপন তাকে জাতির কাছে করেছে চির অমর। ব্যক্তিজীবনে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে অভ্যস্থ এই বিজ্ঞানীর দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা হোসেন পুতুল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও, রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর সবচেয়ে কাছাকাছি থেকেও কোনোদিন তিনি ক্ষমতাচর্চায় আগ্রহী হননি। ক্ষমতার উত্তাপের বিপরীতে তিনি ছিলেন স্থির, অচঞ্চল, নিভৃতচারী ও নিষ্কলুষ একজন। নিজের মেধা, শ্রম ও যোগ্যতায় তিনি ক্রমে ক্রমে হয়ে উঠেছেন সত্যিকার আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষের প্রতিচ্ছবি। 

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী নানক বলেন, তিনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। যে মানুষটি আমাকে এত পছন্দ করতেন তার শেষ যাত্রায় আমি রংপুর গিয়েছিলাম।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) মোহাম্মদপুর টাউন হলে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম মন্ডল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ শৌকত আকবর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ।

মন্ত্রী নানক বলেন, ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি পাস করেন। ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। শুধু পড়াশোনা নয় রাজনীতিতেও ছিলেন সক্রিয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে পড়ার সময় থেকেই ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্ট হতে শুরু করেন রাজনীতির সাথে। ১৯৬১ সালের প্রথম দিকে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদশের্র প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন । ১৯৬২ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে এবং ওই বছরেই জেনারেল আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গ্রেপ্তারও হন তিনি। 

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সময়টা ১৯৬৭ সাল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ। ছয় দফা আন্দোলনের কারণে গোটা দেশে তখন বিরাজ করছে ভীতিকর পরিস্থিতি। এ রকম পরিস্থিতিতে ১৭ নভেম্বর পবিত্র শবেবরাতের রাতে বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের পছন্দের পাত্র, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেধাবী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শেখ হাসিনা। বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বাবা শেখ মুজিব জেলে থাকায় তাদের বিয়ের আয়োজনটি ছিল খুব সাদামাটা। বিয়ের পরদিন জেলগেটে ওয়াজেদ-হাসিনা নবদম্পতিকে দোয়া করেন বঙ্গবন্ধু। নতুন জামাইকে সে সময় তিনি একটি রোলেক্স ঘড়ি উপহার দেন। এই উপহার আজীবন সযত্নে রেখেছিলেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া। 

মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালে এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং এর আগে-পরের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে তার উপস্থিতি ছিল। তিনি সর্বদা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ড. ওয়াজেদ মিয়াকে বিজ্ঞানী হিসেবেই তাকে দেখতে চেয়েছেন। রাজনীতিতে তাকে কখনোই জড়ানোর চেষ্টা করেননি। ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটান। ৪০ বছরের বিবাহিত জীবনে ড. এম এ ওয়াজেদের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি তার পরিবারের পাশে থেকে যে ধৈর্য, সাহস ও সেবার পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন, তা অসাধারণ।

নানক বলেন, বিজ্ঞান নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন ওয়াজেদ। প্রথিতযশা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশের রূপপুরে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপিত হবে। তিনি স্বপ্ন দেখতেন, বিশ্বমাঝে বাংলাদেশ বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ একটি দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার নিরলস পরিশ্রম অব্যাহত রেখেছিলেন আমৃত্যু। তার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য সামনে রেখে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশকে বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড ও তৎপরবর্তীকালের ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে মন্ত্রী নানক বলেন, আজকে যারা প্রতিনিয়ত সরকারের সমালোচনা করেন তাদের কাছে প্রশ্ন কোন সময়টা আমাদের চেয়ে ভালো ছিলো। আমি বলব তারা ভুল পথে আছে। লন্ডন থেকে নির্দেশনা নিয়ে চলা দলটি রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই থাকবে।

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর বিষপানে মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ

প্রকাশ: ১০:২১ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

কুড়িগ্রামে ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও পরে আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রোববার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে ধারের ২০ হাজার টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় এক গৃহবধূকে দুই মাস ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনার বিচার না পেয়ে দম্পতির বিষপানের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া পুলিশের বাধার কারণে মামলা করতে পারেননি ওই গৃহবধূ। বিষপানের পর ওই গৃহবধূ মারা গেছেন।

ধর্ষণসহ উল্লিখিত সব অভিযোগকে অত্যন্ত মর্মান্তিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে মানবাধিকার কমিশন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলা করতে না পারা এবং চিকিৎসার খরচের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেওয়া- সংক্রান্ত অভিযোগগুলো তদন্তে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রতিবেদন মানবাধিকার কমিশনে পাঠাতে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে জরুরি ভিত্তিতে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জানাতে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জলাবদ্ধতা নিরসনে মাঠে এমপি আওলাদ হোসেন

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় এলাকায় যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে রাজধানী ঢাকায়ও। এসব জলাবদ্ধতা নিরসনে সক্রিয় ভাবে মাঠে কাজ করছেন ঢাকা-৪ আসনের সাংসদ ড. আওলাদ হোসেন। গত কয়েকদিনে তিনি কদমতলী থানার জুরাইন, আলমবাগ, মেরাজনগর, মোহাম্মদবাগসহ বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট হওয়া জলাবদ্ধতা নিরসনে তাৎক্ষনিক  বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

রোববার (২ জুন) তিনি ছুটে যান শ্যামপুর থানার মিরহাজিরবাগ এলাকায়। আলমবাগ এলাকার জলাবদ্ধতার মাত্রা বেশি হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন থেকে পাম্প বরাদ্ধ এনে সেই পাম্পের সাহায্যে পানি নিষ্কাষন করছেন ড. আওলাদ। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসন করার জন্য এমপি আওলাদ নিজে পানিতে নেমে ডুবরী দিয়ে পানি নিষ্কাষন ব্যাবস্থা তদারকি করছেন। 

ড. আওলাদ হোসেন বলেন, এলাকার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন। তাই তাদের সমস্যা সমাধানে আমি আন্তরিক ভাবে কাজ করার চেষ্ঠা করি। দুর্যোগের কারণে এলাকায় কৃত্রিম ভাবে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসন করার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মাননীয় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস সাহেবের সহযোগীতায় ঢাকা-৪ এলাকায় উন্নয়ন কাজ চলমান রেখেছি। বিশেষ করে মাননীয় মেয়র তাপস সাহেব শ্যামপুর-কদমতলীর সকল ওয়ার্ডে ড্রেনেজ উন্নয়নে বরাদ্ধ দিয়ে কাজ চলমান রেখেছে। আশা করছি এই কাজ শেষ  হলে এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।    

জলাবদ্ধতা   ঢাকা-৪   ড. আওলাদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৯:৪২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর বদলগাছীতে সাদিহা খানম তন্নী (২২) নামে এক গৃহবধূর ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

রোববার (২রা জুন) দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তিনি ওই উপজেলার ভান্ডারপুর গ্রামের নুর আলম রিংকুর স্ত্রী এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার বিহারপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে বলে জানা যায়। তন্নীর পরকীয়ার বিষয়টি জানার কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী নুর আলম সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে অর্থ রোজগার করতে বিদেশে পাড়ি জমান। স্বামী বিদেশ যাওয়ার কিছুদিন পর স্ত্রী তন্নী শ্বশুরবাড়ি না থেকে ভান্ডারপুর বাজারে রাজুর তিন তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। সেখানে ২/৩ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে থাকা শুরু করেন। এরই মাঝে জড়িয়ে যায় অনৈতিক কর্মকান্ডে।

স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে স্ত্রী তন্নী জড়িয়ে পরে পরকীয়া প্রেমে। এছাড়া ভাড়া নেওয়া বাসায় ছিল পরপুরুষের নিয়মিত যাতায়াত। গত ৪ মাস পূর্বে নুর আলম দেশে ফিরে আসে। এরপর স্থানীয় লোকজন ও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারে তার স্ত্রী অন‍্য কারও সাথে পরকীয়া প্রেম করে এবং তার স্ত্রীর ফ্লাটে বিভিন্ন পরপুরুষের যাতায়াত ছিল। এছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন জনের সাথে সম্পর্ক করে। এসব জানার পর স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি চলে। প্রায় এই বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ‍্যে মনোমালিন‍্য হয়। স্ত্রীর মোবাইলটি নিতে চাইলে তা স্বামীকে দিতে অস্বীকার করে সাদিহা খানম তন্নী। ঘটনার দিন নানী শাশুড়ির জানাজা শেষে বাসায়  ফিরে এ নিয়ে আবারও মনোমালিন‍্য শুরু হয়। রাত ১০টায় যে যার মতো রাতের খাবার খেয়ে স্বামী ও স্ত্রী আলাদা রুমে ঘুমায়। রবিবার ভোর রাত আড়াই টার দিকে স্বামী নুর আলমের ঘুম ভেঙ্গে গেলে বেলকনিতে আসে। সেখানে দেখতে পায় তন্নী বেলকুনির গ্রীলের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। ঘটনাটি দেখে সাথে সাথে চিৎকার ও ডাকাডাকি করলে বাসার ও আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এবং বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশের এসআই আতোয়ার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে আসে এবং বাজারের গ্রীলের কর্মচারীকে দিয়ে গ্রিল কেটে বেলকুনিতে প্রবেশ করে।

এ ব‍্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহতের লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট করে পোস্টমর্টেমের জন‍্য নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব‍্যাপারে নিহতের পিতা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে।


গৃহবধূ   গলাই ফাঁস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাঁচ দিনেও প্রজ্ঞাপন হয়নি নাঈমুল ইসলাম খানের

প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী নতুন প্রেস সচিব হিসেবে নাঈমুল ইসলাম খানের নিযুক্তির কথা চূড়ান্ত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ২৮ মে এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত করেনি।

নিয়ম অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এই সারসংক্ষেপ অনুযায়ী একটি সারসংক্ষেপ অনুমোদন করবে এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বঙ্গভবনের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, বঙ্গভবনে এই সংক্রান্ত কোন সার সংক্ষেপ পাঠানো হয়নি। কোথায় গিয়ে আটকে আছে- এ নিয়ে নানামুখী বক্তব্য পাওয়া গেছে। 


উল্লেখ্য যে, ২৮ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই সারসংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে নাঈমুল ইসলাম খানকে নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় এবং তার জীবনবৃত্তান্ত সংযুক্ত করে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বা যতদিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী অভিপ্রায় ব্যক্ত করবেন, ততদিন পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করে তা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করার কথা। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা। 

সাধারণত এরকম ক্ষেত্রে একদিনেই প্রজ্ঞাপন জারি হয়। কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ দুই দিন লাগে। কিন্তু নাঈমুল ইসলাম  খানের ক্ষেত্রে এটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ দিনেও এই প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালক (প্রশাসন) যে সারসংক্ষেপটি পাঠিয়েছেন সেটি গণমাধ্যমে কীভাবে প্রকাশিত হল তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। 

তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফাঁস হয়নি। তাহলে এটি কোথা থেকে ফাঁস হল? কে ফাঁস করল? এটি নিয়ে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন উঠেছে। এটি বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর নাঈমুল ইসলাম খানের পক্ষে বিপক্ষে নানা রকম বক্তব্য এসেছে। কেউ কেউ নাঈমুল ইসলাম খানের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিচ্ছে। অনেকে এই ব্যাপারটি সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক মহলের কাছেও পাঠিয়েছে। আবার অনেকেই তার প্রশংসা করেছে। 

এই ধরণের স্পর্শকাতর নিয়োগের ক্ষেত্রে যে গোপনীয়তা বজায় রাখা উচিত ছিল, সেই গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়নি বলেই অনেকে মনে করেন। নাঈমুল ইসলাম খানের পক্ষে যেমন একটি অংশ আছে তেমনি নাঈমুল ইসলাম খান যেন শেষ পর্যন্ত প্রেস সচিব হতে না পারেন, প্রজ্ঞাপন যেন জারি না হয় সেজন্য কোন কোন মহল সক্রিয়। আর তারা নাঈমুল ইসলাম খানের অতীত কর্মকাণ্ড, তার নানা রকম নেতিবাচক দিক নিয়ে বিভিন্ন মহলের কাছে তথ্য উপাত্ত নিয়ে ছুটাছুটি করছেন। সব কিছু মিলিয়ে পাঁচ দিনেও এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়াটাকে অনেকে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে মনে করছেন। এখন দেখার বিসয় যে, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

নাঈমুল ইসলাম খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে: ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, আল্লাহর দল ইত্যাদি নাম ধারণ করে অপতৎতপরতা চালিয়েছে। হলি আর্টিজান, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ, সিলেটের আতিয়া মহলসহ বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে তাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামালপুরে ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন ।

 

রোববার (২ মে) দুপুরে জামালপুরের ইসলামপুরে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ, নারী নির্যাতন, যৌতুক, বাল্যবিবাহ ও মাদক প্রতিরোধে উলামা-মাশায়েখগণের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

এসময় মন্ত্রী বলেন, মা তার জঙ্গীবাদী সন্তানকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হতে তুলে দিয়েছেন। পরিবার বা কোন আত্মীয়-স্বজন জঙ্গীদের লাশ নিতে আসেনি। এই জঙ্গিবাদ যেন আর কখনই মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সবাই সচেতন থাকবেন।

 

তিনি আরও বলেন, ইমাম ও খতিবগণকে অনুরোধ জানাবো আপনারা মানুষের মাঝে ইসলামের মর্মবাণী প্রচার করবেন। ইসলাম শান্তিুর ধর্ম, ইসলাম মানব মুক্তির দিশারী, এখানে মানুষ হত্যা, খুনের কোন স্থান নেই। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ কখনই ইসলাম হতে পারে না।

 

একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক শুধু জনশক্তি, হজ্জ, ওমরাহ পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দুই দেশের ধর্মীয় সংস্কৃতি, ব্যবসা-বানিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, খেলাধুলাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত সম্পর্কের উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।

 

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবে ৩২ লাখ বাংলাদেশী কাজ করছে, আর সরকারি হিসেবে প্রতি বছর কমপক্ষে ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স অর্জন করে বাংলাদেশ। প্রতিদিন সৌদি দূতাবাসে ৫ হাজার ভিসার আবেদন জমা পড়ে, তবে আমরা চাই প্রশিক্ষিত জনশক্তি। কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশী অনেক শ্রমিকই প্রশিক্ষিত না হওয়ায় বেতন-ভাতাসহ অনেক জটিলতায় পরেন।  

ইসলামপুর উপজেলার ফরিদুল হক খান দুলাল অডিটোরিয়ামে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মো: শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু: আ: হামিদ জমাদ্দার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা: বশিরুল আলম, জামালপুরের পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান, ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জামাল আব্দুন নাসের বাবুলসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।


জঙ্গীবাদ   ঐক্যবদ্ধ   ধর্মমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন