নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০১৮
কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন ‘দ্য রক’ খ্যাত ডোয়াইন জনসন। খবরটি ইনস্টাগ্রামে নিজেই জানিয়েছেন ডোয়াইন। মেয়ের ছবি পোস্ট করে ভক্তদের সুখবরটি জানান এই রেসলার-অভিনেতা।
মেয়ের নাম রেখেছেন টিয়ানা গিয়া। ইনস্টাগ্রামে মেয়েকে কোলে নিয়ে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আরো একটি সুস্থ সবল কন্যা সন্তানকে পৃথিবীতে আনতে পেরে সৌভাগ্যবান ও গর্ববোধ করছি। প্রাকৃতিক শক্তির মতো টিয়ানা গিয়া পৃথিবীতে এসেছে এবং মা লরেন হাসিন পরিশ্রম করেছেন ও একজন সত্যিকারের রকস্টারের মতো সন্তান জন্মদান করেছেন।’
প্রেমিকা লরেন হাসিনের সঙ্গে এটি ডোয়াইন জনসনের দ্বিতীয় সন্তান। এ জুটির জেসমিন নামে দুই বছর বয়সি আরো একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এছাড়া সাবেক স্ত্রী ড্যানি গার্সিয়ার সঙ্গেও জনসনের একটি মেয়ে আছে। ১৬ বছর বয়সি এ মেয়ের নাম সিমনে। সে হিসেবে তৃতীয়বারের মতো কন্যা সন্তানের বাবা হলেন তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
খুনের ঠিক পাচ মাস আগে আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে
প্রচণ্ড ঝগড়া হয় অভিনেতা সোহেল চৌধুরীর। ঘটনাস্থল বনানীর ট্রাম্প ক্লাব। সোহেল চৌধুরী
এর জের ধরে ওই রাতে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে হত্যার হুমকি দেন। কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আজিজ
মোহাম্মদ ভাইকে মারধরের চেষ্টা করেন সোহেল। আজিজ মোহাম্মদ ট্রাম্প ক্লাবের মালিক আফাকুল
ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলামের কক্ষে ঢুকে যান। একপর্যায়ে তিনি বাথরুমে পালিয়েও থাকেন।
পরে বান্টি ইসলাম ও ক্লাবের ব্যবস্থাপকের হস্তক্ষেপে সে দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনার পর আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ইসলাম ও ব্যবসায়ী আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে সোহেল
চৌধুরীর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এই মামলার সাক্ষীদের আদালত ও পুলিশের দেওয়া জবানবন্দিতে
এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরীন বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে
বলেন, ‘খুন হওয়ার কয়েক মাস আগে বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল
চৌধুরীর প্রচণ্ড বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আজিজ মোহাম্মদ ভাই
ও বান্টি ইসলামরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে সোহেলকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে।’
২৫ বছর আগে সোহেল চৌধুরী খুনের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই
ওরফে আবদুল আজিজ, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকীকে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা তিনজনই পলাতক। বাকি ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এই রায় ঘোষণা করেন। খালাস
পাওয়া ছয়জন হলেন আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম
ইমন, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, সেলিম খান ও ফারুক আব্বাসী।
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, সোহেল চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সাক্ষীরা সত্য গোপনের
চেষ্টা করেছেন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর পূর্বশত্রুতা ছিল, সেটা
প্রমাণিত হয়েছে।
আসামি ও সাক্ষীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির তথ্য বলছে, চিত্রনায়ক
সোহেল চৌধুরী খুন হন ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর। এর সাড়ে পাঁচ মাস আগে তিনি চার থেকে পাঁচজন বন্ধুকে নিয়ে বনানীর ট্রাম্প
ক্লাবে যান। রাত তখন ২টা। ক্লাবের এক কোনায় বন্ধুদের নিয়ে বসে ছিলেন সোহেল। ক্লাবের
অন্য প্রান্তে বান্ধবীদের নিয়ে চেয়ারে বসে ছিলেন আজিজ মোহাম্মদ। একপর্যায়ে আজিজ মোহাম্মদ
তাঁর পূর্বপরিচিত রাবেয়া মাহফুজ ওরফে সোনালীকে গান গাইতে বলেন। তিনি আজিজ মোহাম্মদকে
কয়েকটি হিন্দি গান শোনাতে থাকেন। একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরী রাবেয়াকে গান গাইতে নিষেধ
করেন।
সোহেল চৌধুরী খুন হওয়ার পর রাবেয়া মাহফুজ ১৯৯৯ সালের ১৮ মার্চ সাক্ষী
হিসেবে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। সেই জবানবন্দিতে তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমার
স্বামীসহ ট্রাম্প ক্লাবে নাচগান করি। এভাবে রাত দুইটার মতো বেজে যায়। ওই সময় হঠাৎ দেখি
আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে। তাঁর সঙ্গে একজন বিদেশি বন্ধু ছিল। আর ছিল তিনজন বান্ধবী। আমি
তখন আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে সালাম দিই। ভাই তখন আমাকে তাঁর টেবিলে বসতে বলেন। তখন আজিজ
মোহাম্মদ ভাই আমাকে গান গাইতে বলেন। আমি তিন থেকে চারটা হিন্দি গানের অংশবিশেষ গাই।
গান গাওয়ার একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরী চিৎকার করে বলেন, গান থামাও।’
রাবেয়া মাহফুজ আদালতকে আরও বলেন, ‘সোহেল চৌধুরীর চিৎকারে আমি একটু
ভয় পাই। তৎক্ষণাৎ সোহেল চৌধুরী আমাদের টেবিলের সামনে আসেন। তখন আমার পাশে বসা আজিজ
মোহাম্মদ ভাইয়ের বান্ধবী ফারজানার উদ্দেশে সোহেল চৌধুরী বলেন, তুমি আমার সঙ্গে আসো।
ফারজানা আগে সোহেলের বান্ধবী ছিল। তবে ফারজানা সোহেলের সঙ্গে যেতে রাজি হন না। তখন
সোহেল চৌধুরী আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে ও ফারজানাকে গালিগালাজ করেন। ক্রমান্বয়ে সোহেল উত্তেজিত
হতে থাকেন। একপর্যায়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাই বান্টি ইসলামের অফিসের বাথরুমে যান। তখনো সোহেল
চৌধুরী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের উদ্দেশে বলেছিলেন, আজ ওকে ছাড়ব না।’
মামলার আরও কয়েকজন সাক্ষীর জবানবন্দিতে ওই রাতের এ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। সোহেল চৌধুরী ওই রাতে আজিজ মোহাম্মদের কাছ থেকে যে নারীকে চলে আসতে বলেছিলেন, সেই ফারজানা ইউসুফ এ মামলায় পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। তিনি বলেছিলেন, সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল আগে। পরে আজিজ মোহাম্মদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।
ফারজানা পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ‘১৯৮৩ সালে আমার
বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে আমার মনোমালিন্য চলতে থাকে। এরপর ১৯৯৬ সালে
সোহেল চৌধুরীর বোনের ননদ পাপিয়ার গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে যাই। সেদিন সোহেলের সঙ্গে আমার
পরিচয় হয়। পরে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আমি কয়েকবার সোহেল চৌধুরীর বাসায় যাই।
এরপর ১৯৯৮ সালে জুথি নামের এক মেয়ের একটি অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছিলাম। সেখানে প্রথম আজিজ
মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।’
ফারজানা বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই আমার বান্ধবী সাথীকে সঙ্গে
নিয়ে বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, আজিজ মোহাম্মদ ভাই কয়েকজন মেয়েবন্ধু,
ছেলেবন্ধুসহ একত্রে বসে আছেন। আমি আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের চেয়ারের পাসে বসি। ক্লাবের
বারের কাছে সোহেল চৌধুরী, কালা নাসিরসহ আরও পাঁচ থেকে সাতজন ছেলে সেখানে ছিল। এমন সময়
সোনালীকে (রাবেয়া মাহফুজ) গান গাইতে বলেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই। সোনালী গান গাওয়া শুরু
করেন। তখন সোহেল চৌধুরী, কালা নাসির ও তাঁর বন্ধুরা গান বন্ধ করার জন্য চিৎকার শুরু
করেন।’
ফারজানা জবানবন্দিতে আরও বলেন, ‘তখন সোহেল চৌধুরী আমাকে আজিজ মোহাম্মদ
ভাইয়ের কাছ থেকে তাঁর টেবিলে আসতে বলেন। আমি না যাওয়ায় তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন।
আজিজ মোহাম্মদ ভাইকেও গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন আজিজ মোহাম্মদ ভাইও সোহেল চৌধুরীকে
বকাবকি করতে থাকেন। তখন আমি ভয়ে পাশে গিয়ে দাঁড়াই। আর আজিজ মোহাম্মদ ভাই দৌড়ে বান্টি
ইসলামের অফিসের বাথরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।’
ফারজানা আরও বলেন, ‘এ সময় হোটেলের ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) সোহেল
চৌধুরী ও তাঁর বন্ধুদের নিচে নামিয়ে দেয়। তখন বান্টি ইসলাম ক্লাবে আসেন। সোহেল চৌধুরীর
বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে ক্লাবের ভেতরে আসেন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন।
ভোররাত পাঁচটার দিকে সোহেল চৌধুরী চলে গেলে আমি আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের গাড়িতে করে বাসায়
ফিরি।’
কেবল রাবেয়া মাহফুজ কিংবা ফারজানা নন, সোহেল চৌধুরীর মা নূর জাহান
বেগমও আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধের কথা আদালতকে বলেছিলেন। সাক্ষী হিসেবে ১৬৪
ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে নূর জাহান বেগম বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই আমার ছেলে সোহেল
চৌধুরীর সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে ট্রাম্প ক্লাবে খুব ঝগড়াঝাঁটি হয়। মারামারি
হওয়ার উপক্রমও হয়। এরপর বান্টি ইসলাম এবং বোতল (আশীষ রায় চৌধুরী) নামের এক ব্যক্তির
সঙ্গেও আমার ছেলের গুরুতর ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর থেকে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। আমার
ছেলেকে ট্রাম্প ক্লাবে যেতে নিষেধ করে। মৃত্যুর ১৫ থেকে ২০ দিন আগে বান্টি ইসলাম ও
আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের লোকেরা আমার ছেলেকে “মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে এসেছে” বলে হুমকি দিয়েছিল।’
সোহেল চৌধুরীর মা নূর জাহান বেগম আদালতকে আরও বলেন, ‘আমার ছেলের
হত্যাকাণ্ডের তিন দিন আগে (১৯৯৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর) আজিজ মোহাম্মদ ভাই ব্যাংককে যান।
এর তিন দিন পর আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়। আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি
ইসলাম ও তাঁদের লোকজনেরা আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করেছে।’
সোহেল চৌধুরীর মা আরও বলেন, ট্রাম্প ক্লাবে অনেক অবৈধ কাজকারবার
হতো। ওই ক্লাবের পাশে বড় জামে মসজিদ। মুসল্লিরা ক্লাবের অসামাজিক ও অন্যায় কাজকর্মের
বিষয়ে অনেক প্রতিবাদ করেছেন, বাধা দিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোনো বাধা
মানেনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু চৌধুরী গোলাম
মোহম্মদ ওরফে ওমর চৌধুরীও সে দিনের ঘটনার বিষয়ে প্রায় একই রকমের বক্তব্য পুলিশের কাছে
দিয়েছিলেন। মামলার অভিযোগপত্রে রাবেয়া মাহফুজ, ফারজানা ইউসুফ, নূর জাহান বেগম ও ওমর
চৌধুরী এ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ছিলেন। অবশ্য সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর
সাদিয়া আফরীনের তথ্যমতে, এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সোহেল চৌধুরীর মা নূর জাহান
বেগম বিচার চলাকালে মারা যান। বাকিরা বিচার চলাকালে সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির হননি।
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী খুনের প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন তাঁর বন্ধু
আবুল কালাম। তিনিও সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি পুলিশ ও আদালতের কাছে জবানবন্দি
দিয়েছেন। তাঁর জবানবন্দিতে উঠে আসে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ। আবুল কালাম বলেন, ‘১৯৯৮
সালের ১৮ ডিসেম্বর রাত ১টার সময় সেলিম ভাইয়ের অফিসে গিয়ে কাবাব ও হুইস্কি খাই। এরপর
ট্রাম্প ক্লাবে যাই। সেখানে সোহেল চৌধুরীকে পাই। এরপর তাঁর সঙ্গে আবার তাঁর বাসায় যাই।
আবার সেখানে বিয়ার পান করি। পরে সোহেল চৌধুরী আমাদের নিয়ে ট্রাম্প ক্লাবে যাওয়ার আগে
টেলিফোনে বান্টি ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন।’
সোহেল চৌধুরীর বন্ধু আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা ট্রাম্প ক্লাবের গেট
ও লিফটের কাছে পৌঁছলে সাত থেকে আটজন লোক আমাদের লক্ষ্য করে রিভলবার ও পিস্তল দিয়ে গুলি
শুরু করে। আমি পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যাই। দৌড়ে আমি ওমর ভাইয়ের (সোহেল চৌধুরীর বন্ধু)
বাসার সামনে গিয়ে পড়ে যাই এবং জ্ঞান হারাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হই।
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ট্রাম্প ক্লাবে গিয়ে জানতে পারি, নীরব ও দাইয়্যান
(ট্রাম্প ক্লাবের কর্মচারী) সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে
পারি ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক আব্বাসী ও আদনান সিদ্দিকী সেদিন গাড়িতে করে ক্লাবের গেটে
আসেন। সোহেল চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। এরপর তিনি মারা যান।’
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা আজিজ মোহাম্মদ আদালত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গুঞ্জন সত্যি হলো। আর সারপ্রাইজ নয় অবশেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চলে আসলো। বলিউডের নতুন জুটি হতে যাচ্ছেন বলিউড ভাইজান সালমান খান ও দক্ষিণ ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা।
সালমান খানের পরবর্তী সিনেমা ‘সিকান্দার’-এ অভিনেতার বিপরীতে দেখা যাবে দক্ষিণের এই তারকাকে। সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা প্রযোজিত এবং এ আর মুরুগাদোস পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী বছরের ঈদে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) সকালে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। যেখানে সালমান আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলেন।
এরপর রাশমিকার নাম প্রকাশ করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পোস্ট শেয়ার করে ক্যাপশনে এই নায়িকা লিখেছেন, ‘অনেকদিন ধরেই সবাই আমার নতুন কাজের খবর জানতে চেয়েছিলেন। খবর ছিল না দেখে আমি কিছুই জানাতে পারছিলাম না। এবার জানাচ্ছি। আপনাদের জন্য এটাই ছিল বড় চমক। ‘সিকান্দার’-এ আমি সালমান খানের বিপরীতে কাজ করছি। এমন একটি দুর্দান্ত কাজে আমাকে যুক্ত করার জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং সম্মানিত।’ সিনেমার শুটিং শুরু হবে এ বছরের শেষের দিকে।
বর্তমানে রাশমিকা তার ‘পুষ্পা ২’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই সিনেমার কাজ শেষ হওয়ার পরেই তার নতুন সিনেমার শুটিং শুরু হবে।
মন্তব্য করুন
সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হীরামাণ্ডি’ সিরিজের কাস্টিং, প্রেক্ষাপট নিয়ে চর্চা ও বিতর্কের কমতি নেই। তবে হাজারো সমালোচনা থাকলেও নতুন মাইলফলক গড়েছে বনশালির এই ওয়েব সিরিজ। বলা হচ্ছে, পুরো বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভারতীয় সিরিজের খেতাব পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। ৪৩টি দেশের নীরিখে সেরা দশে নাম তুলে ফেলেছে ‘হীরামাণ্ডি’।
বুধবার
(৮ মে) সন্ধ্যায় সিনেবাণিজ্য
বিশ্লেষক তরণ আদর্শ ইনস্টা
পোস্টে জানান, সঞ্জয় লীলা বনশালির ডেবিউ
ওয়েব সিরিজ ‘হীরামাণ্ডি’ এযাবৎকালের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী
সবথেকে বেশি দেখা ভারতীয়
সিরিজের শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, অদিতি
রাও হায়দরি, শেখর সুমন, অধ্যয়ন
সুমন ও ফারদিন খানের
মতো তাবড় কাস্টিং নিয়ে তৈরি ‘হীরামাণ্ডি’।
গত পয়লা মে নেটফ্লিক্সে
মুক্তি পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। বনশালির ১৮
বছরের স্বপ্নের প্রজেক্ট ‘হীরামাণ্ডি’। কোনওরকম কসরত
বাকি রাখেননি পরিচালক-প্রযোজক। কারণ, বনশালি মানেই ‘লার্জার দ্যন লাইফ’ সেট,
সাজপোশাক। এই সিরিজে কোটি
কোটি টাকার শুধু গয়নাই ব্যবহৃত
হয়েছে।
সিরিজে
‘লাহোর বলে লখনউ দেখানো
আর রিসার্চ ছাড়াই গল্প সাজানোতে ক্ষোভে
ফুঁসছে পাকিস্তান। আবার নিজের দেশেও
সিরিজ মেকিং নিয়ে প্রতিপদে চর্চার
মুখে পড়তে হচ্ছে বানশালিকে। কারও দাবি, ঐতিহাসিক
তথ্যে ভুল করেছেন নির্মাতা।
তো কেউ বা আবার
কাস্টিংয়ের জন্য স্বজনপোষণের অভিযোগ
তুলেছেন। এমনকি সিরিজের সংলাপে ব্যবহৃত উর্দু নিয়েও আপত্তি তুলেছেন দর্শকদের একাংশ।
মন্তব্য করুন
খুনের ঠিক পাচ মাস আগে আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে প্রচণ্ড ঝগড়া হয় অভিনেতা সোহেল চৌধুরীর। ঘটনাস্থল বনানীর ট্রাম্প ক্লাব। সোহেল চৌধুরী এর জের ধরে ওই রাতে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে হত্যার হুমকি দেন। কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে মারধরের চেষ্টা করেন সোহেল। আজিজ মোহাম্মদ ট্রাম্প ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলামের কক্ষে ঢুকে যান। একপর্যায়ে তিনি বাথরুমে পালিয়েও থাকেন। পরে বান্টি ইসলাম ও ক্লাবের ব্যবস্থাপকের হস্তক্ষেপে সে দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনার পর আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ইসলাম ও ব্যবসায়ী আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এই মামলার সাক্ষীদের আদালত ও পুলিশের দেওয়া জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হীরামাণ্ডি’ সিরিজের কাস্টিং, প্রেক্ষাপট নিয়ে চর্চা ও বিতর্কের কমতি নেই। তবে হাজারো সমালোচনা থাকলেও নতুন মাইলফলক গড়েছে বনশালির এই ওয়েব সিরিজ। বলা হচ্ছে, পুরো বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভারতীয় সিরিজের খেতাব পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। ৪৩টি দেশের নীরিখে সেরা দশে নাম তুলে ফেলেছে ‘হীরামাণ্ডি’।