নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০১৮
গাজীপুর এবং খুলনা সিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। আজ প্রতীক বরাদ্দের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ উন্মুক্ত করে দিলো। আগামী ১৫ মে এই দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের প্রচারণার আগেই দুই সিটি কর্পোরেশনে কি ধরনের ফলাফল হতে পারে, সে ব্যাপারে জরিপ করেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানছে প্রধান দুই দল। উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু দেশগুলো এই নির্বাচন নিয়ে উৎসাহী। এই নির্বাচন কতটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তা দেখতে চায় দাতা দেশগুলোও। আওয়ামী লীগ এই দুটি সিটি নির্বাচন নিয়ে এ পর্যন্ত দুটি জরিপ করেছে। প্রথম জরিপ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে। ওই জরিপ ছিল মূলত: আওয়ামী লীগের কে যোগ্য প্রার্থী তার উপর। আওয়ামী লীগের মনোনয়নের ক্ষেত্রে ঐ জরিপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে জানা গেছে। ঐ জরিপে জনপ্রিয়তায় গাজীপুরে জাহাঙ্গীর আলম এবং খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেক অনেক এগিয়ে ছিলেন। ঐ জরিপে ‘দলীয় অন্ত:কলহ’ কে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। মনোনয়ন ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় জরিপ করা হয়েছিল। ঐ জরিপে প্রধান দুই দলের প্রার্থীদের ব্যাপারে জনমত জানতে চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগের জরিপে দেখা যায়, গাজীপুরে মোট উত্তরদাতার ৫৭ ভাগ বলেছে তারা জাহাঙ্গীর আলমকে ভোট দেবে। আর বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে মত দিয়েছেন ৩৬ ভাগ উত্তরদাতা। ৬ ভাগ উত্তরদাতা তাদের মত প্রকাশে অনীহা জানিয়েছেন। খুলনায় দেখা গেছে, ৪৬ ভাগ উত্তরদাতা তালুকদার আবদুল খালেকের পক্ষে মত দিয়েছেন। অন্যদিকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পক্ষে মত দিয়েছেন ৪১ ভাগ উত্তরদাতা। ১৩ ভাগ উত্তরদাতা কোনো মত দেননি। আসলে এই সিদ্ধান্ত না দেওয়া ভোটারদের উপরই নির্ভর করবে খুলনা সিটি নির্বাচনের ফলাফল।
অন্যদিকে বিএনপি মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর একটি জরিপ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে গাজীপুরে ৪১ ভাগ উত্তরদাতা বলেছেন তারা ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। ৪০ ভাগ উত্তরদাতা বলেছেন তারা নৌকায় ভোট দেবেন। আর ১৯ ভাগ বলেছে, এ ব্যাপারে তারা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অন্যদিকে খুলনার জরিপে দেখা গেছে, নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছে ৩৮ ভাগ উত্তরদাতা, ৩৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছে তালুকদার আবদুল খালেকের কথা। ২৬ ভাগ উত্তরদাতা বলেছেন, এ ব্যাপারে তারা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের নিজস্ব উদ্যোগে দুই সিটি করপোরেশনে ভোটারদের মনোভাব যাচাই করেছে। এতে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের সহজ জয় এবং খুলনায় বিএনপি প্রার্থীর এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা দেখছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন দূতাবাস দুই সিটিতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস করেছে। নির্বাচনের আগে তারা ফলাফলের উপর আরও একটি জরিপ করবে বলে জানা গেছে।
Read In English: https://bit.ly/2KdmXw8
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।