নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ০১ মে, ২০১৮
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চাইলেন, ‘তোমার দেশে কি নির্বাচনের সময় প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেন? কিংবা তোমার দেশে কি নির্বাচন কোন অন্য সরকারের অধীনে হয়?’ জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট জানালেন ‘না’। এরপর ওবায়দুল কাদের বললেন, ‘বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও প্রতিদ্বন্ধি দলকে নির্বাচনে আনা অন্য দলের দায়িত্বের মধ্যে পরে না।’
গতকাল সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসভবনে নৈশভোজে আমন্ত্রিত হয়ে ওবায়দুল কাদের ঐ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নৈশভোজে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। নৈশভোজের ফাঁকে বার্নিকাট ওবায়েদুল কাদেরের সঙ্গে কয়েক মিনিট একান্তে বৈঠক করেন। বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানতে চান, আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে কিনা? এবং সহায়ক সরকারের ব্যাপারে সরকারের মনোভাব কি? জবাবে ওবায়দুল কাদের ঐ মন্তব্য করেন। এছাড়াও নৈশভোজের ফাঁকে ফাঁকে আসন্ন দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন বার্নিকাট ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। অবশ্য বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়ার কারান্তরীন বিষয়ে কোনো কথা হয়নি।
আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে নৈশ ভোজে আরো অংশ নেন মো: জমির , সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাসুদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে ছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত খুব শিগগীরই বিএনপির সংগেও এরকম বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।