নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১১ মে, ২০১৮
আওয়ামী লীগের মতো প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলে তাদের উথান ধুমকেতুর মতো। হঠাৎ আলোর ঝলকানি দিয়েই তাঁরা নিভে গেলেন। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। দলের নেতা তাঁদের দিয়েছিলেন উজাড় করে, কিন্তু তাঁরা অজানা কারণে আলো ছড়াতে পারেননি, স্থায়ীত্ব পায়নি তাঁদের অবস্থান, আওয়ামী লীগের এই সব ‘ধুমকেতু’ নেতাদের হারিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন আওয়ামী লীগেই।
হঠাৎ আলো ঝলকানি দেয়ার তালিকায় প্রথমেই আসে সাবের হোসেন চৌধুরীর নাম। সাবের হোসেন চৌধুরীর আওয়ামী লীগের অবস্থান যেন এলাম দেখলাম জয় করলাম- এর মতো। ১৯৯৬ সালে আনকোরা, অচেনা এই তরুন ব্যবসায়ী মনোনয়ন পেলেন মতিঝিল থেকে। মির্জা আব্বাসের মতো বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাকে মনোনয়ন দেন শেখ হাসিনা। সাবের হোসেন চৌধুরী ঐ নির্বাচনে প্রচারণায় আনেন আধুনিকতা, অমিয়তা। এরপর হন বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের বিপর্যয়ের পর, আবার চমকে দেন সাবের। শেখ হাসিনা তাঁকে তাঁর রাজনৈতিক সচিব নিয়োগ দেন। কাউন্সিলে পান সাংগঠনিক সম্পাদক পদ। এসময় তিনিই আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় ব্যক্তিতে পরিণত হলেন। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের ঝড়ে ধুমকেতুর পতন হলো। সাবের হোসেন চৌধুরী এম.পি কিন্তু আওয়ামী লীগে তিনি থেকেও নেই। দলীয় কাজকর্মে তাঁর উপস্থিতিও চোখে পরেনা কারো। শেখ হাসিনার সাথে তাঁর দূরত্বের কথা আলোচিত হয় সর্বত্রই। কিন্তু কেউ জানে না, কেন তিনি হারিয়ে গেলেন।
আবদুল মান্নান কৃষিবিদ। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুঃসময়ে ছাত্রলীগের হাল ধরেছিলেন। শেখ হাসিনা তাঁকে রীতিমতো একাই টেনে তুলেছিলেন। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেও নিয়ে এসেছিলেন। বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় নির্বাচনে অনিবার্য পরাজয়ের পরও শেখ হাসিনার আনুকূল্য বঞ্চিত হননি। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের পর তিনি দলে অপাংক্তেয়। শেখ হাসিনারও আস্থা হারিয়েছেন। এখন তিনি আওয়ামী লীগে আছেন কিনা, তাও জানে না কেউ।
ডা. দীপুমনির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়াটা ছিল ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম চমক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে তিনি বিদেশে বিদেশে কাটিয়েছেন বহুদিন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের জন্য তাঁকে সংগ্রাম করতে হয়নি। আইভি রহমানের মৃত্যুর পর অনেককে বাদ দিয়ে শেখ হাসিনা দীপুমনিকে বেছে নেন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে তিনি কি করেছেন, তা প্রধানমন্ত্রী ভালো জানেন। ২০১৪ তে মন্ত্রিত্বে আর ফেরত যেতে পারেননি। দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। কিন্তু তারপরও তিনি যেন থেকেও নেই। আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনের এতো বড় পদ পেয়েও তিনি যেন ম্লান। কর্মীদের উজ্জীবিত করার কোনো কারিশমা দেখাতে পারেন নি। এখনো শেখ হাসিনার আপত্য স্নেহেই থাকেন। কিন্তু এতো সুযোগ পেয়েও দীপুমনি যেন আওয়ামী লীগের হারিয়ে যাওয়া ধুমকেতু।
এই তালিকায় আছেন মুকুল বোসও। এক সময় তাকে ভবিষ্যত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভাবা হতো। কিন্তু এখন দলে অপাংক্তেয় মুকুল বোস, শেখ হাসিনার করুনাতেই উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।
এছাড়াও শেখ হাসিনার আশীর্বাদ পেয়েও রাজনীতিতে হারিয়ে যাওয়া তারকার তালিকা দীর্ঘ। এরা আওয়ামী লীগে থেকেও নেই। কেউ বিশ্বাস ভঙ্গ করে কর্মীদের আস্থা হারিয়েছেন, কেউ বা প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমান করতে পারেননি। রাজনীতিতে তাই শুধু আনুকূল্য পেলেই হয়না, বিকাশের জন্য লাগে নিজস্ব যোগ্যতা, রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি। তাই শুধু আনুকূল্য পেলেই হয় না, বিকাশের জন্য লাগে নিজস্ব যোগ্যতা, রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি।
Read in English- https://bit.ly/2IgVQP2
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।