নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৪ মে, ২০১৮
নিজের স্মার্টফোনটি আমাদের কাছে খুব প্রিয়, ফোন ছাড়া একটা ঘণ্টাও এখন আর কল্পনা করা যায়না। ফোন মাল্টিটাস্কিং বলে এই দিয়ে আমরা এখন কতো কাজই না করি। একসঙ্গে এতো কাজ করার কারণে ফোনের ব্যাটারি আর বেশি চাপ নিতে পারেনা। সাধের ফোনটির ব্যাটারি ভালো রাখতে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো:
ফোনে চার্জ রাখুন সবসময়
মোবাইল ফোনে বেশি করে চার্জ রাখুতে হবে। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে অধিকাংশ সময় ৫০ শতাংশ বা তার বেশি চার্জ রাখতে হবে। অর্থাৎ চার্জ ৫০ শতাংশ হয়ে গেলে পুণরায় চার্জে দিতে হবে। এতে করে ব্যাটারি ভালো থাকবে বেশিদিন।
ফোন কখনো চার্জশূন্য করবেন না
ব্যাটারির চার্জ একেবারে নিঃশেষ করে আবার চার্জ দেওয়া যাবেনা। কারণ এতে ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। শূন্য থেকে ১০০ পর্যন্ত ব্যাটারি রিচার্জ করাকে ‘চার্জ সাইকেল’ বলে। মাসে একবার চার্জ সাইকেল পূর্ণ করতে পারেন। এতে ব্যাটারির কার্যকারিতা বাড়বে।
চার্জার ব্যবহারে সতর্কতা থাকুন
যে ফোনের জন্য যে চার্জার নির্ধারিত, সেটাই ব্যবহার করা শ্রেয়। চার্জার সঙ্গে না থাকলে অন্য চার্জার ওই ফোনের জন্য প্রযোজ্য কি না দেখে নিন। নকল চার্জার অবশ্যই ব্যবহার করবেন না।
সস্তা চার্জার কিনবেন না
ফোনের জন্য নির্ধারিত চার্জারটি হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে অনেকেই বাজার থেকে সস্তা ও অখ্যাত ব্র্যান্ডের চার্জার কেনেন। এসব চার্জারে ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। চার্জ হতেও সময় বেশি নেয়। আর অ্যাডাপ্টারে সমস্যা দেখা দিলে ফোন ও ব্যাটারি দুটোই নষ্ট হতে পারে।
ফোন ঠান্ডা রাখুন
ফোন যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখুন। লি-আয়ন ব্যাটারি বেশি চার্জ হলেও কোনো সমস্যা হয় না। তবে ফোনটি যেখানে চার্জ দিচ্ছেন বা রাখছেন, সে জায়গা যেন অতিরিক্ত গরম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এতে ফোন অতিরিক্ত গরম হতে পারে। ফোন আবার অতিরিক্ত ঠান্ডা জায়গায় রাখাও ঠিক নয়। খুব বেশি ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরম ব্যাটারির কার্যক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে।
ব্লুটুথ, ওয়াইফাই বন্ধ করে রাখুন
প্রয়োজনের বাইরে কখনো ব্লুটুথ, ওয়াইফাই চালু করে রাখবেন না। এতে করে ব্যাকগ্রাউন্ডে বা প্রসেসরে বেশি করে শক্তি খরচ হয়। ফলে চার্জ যায় বেশি।
ভাইব্রেশন ও অপ্রয়োজনীয় সাউন্ড বন্ধ রাখুন
প্রয়োজন ছাড়া ফোনের ভাইব্রেশন চালু রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। আর বিভিন্ন অ্যাপ বা সেটিংস থেকে অপ্রয়োজনীয় সাউন্ড অফ করে রাখুন। এতে চার্জ কম খরচ হয়।
ফোনের কেস খুলে রাখুন
ফোন চার্জে দেওয়ার সময় ব্যাটারি কিছুটা গরম হয়ে যায়। ব্যাটারি গরমের প্রভাব ফোনে ছড়িয়ে পড়ে। তাই ফোনকে অতিরিক্ত গরমের হাত থেকে রক্ষা করতে চার্জে থাকা অবস্থায় ফোনের ভালোর জন্য কেসিং বা কভার খুলে রাখা উচিত।
সারারাত চার্জ দেবেন না
আমরা অনেকেই রাতের বেলা ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমিয়ে যাই। ফোনটি সারারাত ধরে চার্জ হলে সেটা ওভার চার্জিং হয়ে যায়। ফোনের জন্য এটা খুবই ক্ষতিকর। এছাড়া সারারাত ফোনে চার্জে দেওয়ার ফলে ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়ে বিস্ফোরণও ঘটতে পারে।
অ্যানিমেশন বন্ধ রাখুন
আপনি কি জানেন আপনার ফোনের কিছু ফ্ল্যাশি এনিমেশন আপনার ফোনের ব্যাটারি লাইফ কমিয়ে দিতে পারি। আগে এগুলো অফ করা না গেলেও এখন আপনি সেগুলো অফ করতে পারবেন।
কাজ শেষে অ্যাপ বন্ধ রাখুন
বেশিরভাগ সময়ই আমরা কাজের শেষে অ্যাপ বন্ধ না করে মিনিমাইজ করে রাখি। এটি ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়। তাছাড়া এমন কিছু অ্যাপ আছে, যেগুলোতে বেশি চার্জ লাগে। তাই এগুলো বন্ধ রাখুন।
ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন
ফোনে সবসময়ই বেশি ব্রাইটনেসের প্রয়োজন হয়না। তাই ব্যবহার করবেন না তখন ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখলেই চলে। খুব বেশি ফোন ব্যবহারের সময় ব্রাইটনেস ৫০ শতাংশের এর নিচে রাখা ভালো। ফলে চার্জ থাকবে বেশিক্ষণ।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
কয়েক দিন আগেই দেশে এসএসসি
ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে ছেলেদের থেকে পাসের হারে
মেয়েরা এগিয়ে। শুধু এখানেই না, দিন দিন বিভিন্ন সেক্টরে নারীরা দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে
যাচ্ছেন।
তবে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে রয়েছে নারীরা। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আমাদের দেশের নারীরা। মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ) চলতি মাসে ‘দ্য মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় মুঠোফোনের মালিকানায় নারীরা পিছিয়ে আছেন। বিশেষ করে অস্বচ্ছল, পড়াশোনা না জানা, গ্রামাঞ্চলে বসবাস করা বা বিশেষভাবে সক্ষম নারীরা আরও বেশি পিছিয়ে আছেন।
সংস্থাটি প্রতিবেদন তৈরিতে ১২টি দেশের তথ্য প্রকাশ করেছে। দেশগুলো হলো- মিসর, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো ও গুয়াতেমালা।
জরিপ থেকে নেওয়া তথ্য অনুযায়ী মুঠোফোনে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে নারী-পুরুষের ব্যবধান বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি, ৪০ শতাংশ। ভারতে এ ব্যবধান ৩০ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩৮ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ায় ৮ শতাংশ। যদিও বাংলাদেশে মুঠোফোনের মালিকানা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে নারী-পুরুষের ব্যবধান সামান্য কমেছে।
মন্তব্য করুন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে প্রায়শই বিপদে পড়তে হয় ব্যবহারকারীদের। হ্যাকারদের উদ্ভট কাণ্ডে বন্ধু তালিকায় থাকাদের কাছে পড়তে হয় প্রশ্নের মুখোমুখি। এর জন্য প্রয়োজন বাড়তি নিরাপত্তার। এর জন্য সম্প্রতি নতুন কয়েকটি নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেওয়ার পরও অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। এমন হ্যাকের কবলে পড়লে, জানাতে হবে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে। তাহলেই ফিরে পাওয়া যাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
হ্যাক হলে যা করবেন:
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে প্রথমেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বন্ধু তালিকায় থাকাদের জানাতে হবে। এতে বিড়ম্বনা এড়ানো যাবে। এ ছাড়াও থানায় জিডি করে রাখতে পারেন। হ্যাকারের যদি কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থেকে থাকে তাহলে আপনার আইডি দিয়ে অপরাধমূলক কাজ করতে পারে।
অ্যাকাউন্ট হ্যাকের বিষয়টি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানাতে প্রথমে Facebook.com/hacked সাইটে যেতে হবে। অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ইমেইল অ্যাড্রেস বা ফোন নম্বর লিখতে হবে। এরপর বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। যেসব তথ্য চাওয়া হবে তা দিতে হবে। কারণ এটি প্রমাণ করবে যে আপনিই ওই অ্যাকাউন্টের প্রকৃত মালিক। এরপর রিপোর্ট করলে ফেসবুক ওই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত ইমেইল অ্যাড্রেস বা ফোন নম্বর ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট রিকভার করতে সহায়তা করবে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বন্ধুদের আপনার হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্টটিতে রিপোর্ট করতে বলুন। কারণ ওই অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার বিষয়ে ফেসবুকে যত বেশি রিপোর্ট পড়বে, তত দ্রুত অ্যাকাউন্ট ফেরত পাওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন
বর্তমান
সময়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম ইনস্টাগ্রাম। তাইতো প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার এনে
চমকে দেয় মেটার মালিকানাধীন
এই প্লাটফর্মটি। এবার ইনস্টাগ্রামে স্টোরি
দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা হবে
ব্যবহারকারীদের। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামে
যুক্ত হচ্ছে রিভিল নামের একটি ফিচার।
যার
মাধ্যমে স্টোরি আপলোড করেও লুকিয়ে রাখা
যাবে। সেই স্টোরি দেখতে
হলে ফলোয়ারকে ডিএম অর্থাৎ ডিরেক্ট
মেসেজ করতে হবে। আপনি
অনুমতি দিলে তবেই সেই
স্টোরিটি দেখতে পাবেন ফলোয়াররা। অর্থাৎ আপনার স্টোরি কে দেখবে না
দেখবে, তা সম্পূর্ণ ভাবে
আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
যেভাবে এই স্টোরি আপলোড করতে হবে-
স্টোরি
তৈরি করার সময় সবার
আগে ক্লিক করতে হবে স্টিকার
আইকনে। সেখানেই খুঁজে পাবেন রিভিল নামের আইকনটি। সেটি সিলেক্ট করে
নিলে স্টোরি সংক্রান্ত বিষয়টি সেখানে উল্লেখ করতে পারবেন। যাতে
আপনার ব্লার স্টোরির আড়ালে কী লুকিয়ে রয়েছে,
তার একটা ইঙ্গিত পাবেন
আপনার ফলোয়াররা।
এই
স্টোরি ইউজাররা কীভাবে দেখতে পাবেন, তা জানা যাবে
স্ক্রিনের বাঁদিকের নিচে একটি প্রিভিউ
আইকন থেকে। আপনি সেই প্রিভিউতে
ক্লিক করে দেখে নিতে
পারবেন ইউজারদের কাছে আপনার স্টোরিটি
কীভাবে শো করবে। তবে
স্টোরিটি দেখতে ইউজারদের ডিএম করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন