নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০১৮
বিএনপির আইনজীবীদের উপর আবার চটলেন, কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়া। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এতদিন কি করলেন? এসব মামলায় এতদিন কেন জামিন নিলেন না? আমাকে জেলে রাখার জন্য কত পেয়েছেন?’ অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন ও সানাউল্লাহ মিয়াসহ ৫ জন আইনজীবী বেগম জিয়ার সঙ্গে আজ বিকেলে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি ঐ মন্তব্য করেন। কারাসূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে।
পাঁচ আইনজীবী মূলত গিয়েছিলেন, নিম্ন আদালতে বেগম জিয়ার জামিন আবেদনের জন্য ওকালত নামায় তাঁর স্বাক্ষর গ্রহণের জন্য। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৭ টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আছে। গত মার্চ মাস থেকে একে একে এসব মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু বেগম জিয়ার আইনজীবীরা এক কুমিল্লার দুটি মামলা ছাড়া অন্য কোনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে জামিনের আবেদন করেনি।
জানা গেছে, এর আগে খন্দকার মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে বেগম জিয়া তাদের এইসব মামলায় জামিন নিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাঁকেও বেগম জিয়া একই নির্দেশ দেন। কিন্তু বিএনপির আইনজীবীরা এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেননি। কারাসূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারী আইনজীবীরা বলেছেন, তারা আপিল বিভাগের জামিনের অপেক্ষা করছিলেন। খন্দকার মাহাবুব হোসেন যুক্তি দেখান, ‘আমরা মনে করেছিলাম, এই মামলায় আপিল বিভাগ জামিন দিলে বাকি মামলাগুলোতে আপনা আপনি জামিন হয়ে যাবে। নিম্ন আদালত আপিল বিভাগের আদেশকে একটা নির্দেশনা হিসেবে দেখবে।’ তিনি বলেন, ‘এসব মামলার শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোটা আইনের লঙ্ঘন। কারণ আপনি যে গ্রেপ্তার আছেন এটা কারও অজানা নয়।’ অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘এসব গ্রেপ্তারি পরোয়ানা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’ তিনি কুমিল্লার একটি মামলার উদাহরণ দিয়ে বলেন, সেখানে আমি জামিনের আবেদন করেছিলাম, কিন্তু শুনানির পর কোর্ট নো অর্ডার দিয়ে রেখে দিয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যেতে পারছি না।
কিন্তু বেগম জিয়া আইনজীবীদের এসব কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তিনি মনে করেন, এসব মামলায় চেষ্টা করলে আগেই উচ্চতর আদালত থেকে জামিন নেয়া যেত। বেগম জিয়া বলেছেন, আপিল বিভাগেও অসুস্থতার কারণে সব মামলায় একসঙ্গে জামিন চাওয়া যেত, কিন্তু আপনারা এসব কিছুই করেননি।
উল্লেখ্য, জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাভোগ করছেন বেগম জিয়া। গত ১৬ মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগ এই মামলায় তাকে জামিন দেয়। কিন্তু আরও ৭ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় এখনো নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারেই অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
Read in English- https://bit.ly/2IMVP9m
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি
সম্মান জানিয়ে তার ছবি সম্বলিত একটি বড় ব্যানার টানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের উদ্যোগে এ ব্যানার টানানো হয়।
মায়েদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার
বিশ্ব মা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ বছর রোববার (১২ মে) পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার
উন্মোচন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ের সামনে থেকে আশপাশের এলাকায় পোস্টার লাগিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, যুবদলের
সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইমতিয়াজ বকুল প্রমুখ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দেয়ালে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার টানান যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।