নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০১৮
স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে না চাইলে তারেক জিয়াকে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না। বাংলাদেশ সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ হোম ডিপার্টমেন্ট তাকে বাংলাদেশে আপাতত ফেরত না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাজ্যের হোম ডিপার্টমেন্ট এবং বাংলাদেশে বিএনপির একাধিক নেতা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তারেকের অবস্থানের কাগজপত্র পরীক্ষা করে এবং তার সাথে দু’দফা কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, কেন তারেক জিয়াকে দেশে পাঠানো সম্ভব না, এ প্রসঙ্গে একটি চিঠি যুক্তরাজ্য সরকার শিগগিরই বাংলাদেশ দুতাবাসে হস্তান্তর করবে বলেও জানা গেছে। ব্রিটিশ আইন এবং বাংলাদেশে তাঁর সম্ভাব্য পরিণতি তারেক জিয়ার বাংলাদেশে ফেরার পথে বাধা বলে জানা গেছে।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক জিয়া যুক্তরাজ্যে বসবাস শুরু করেন। ২০১৩ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেন। যুক্তরাজ্যের হোম ডিপার্টমেন্ট তাকে বাংলাদেশে ফেরত না দেয়ার ক্ষেত্রে ৫ টি কারণ চিহ্নিত করেছে। এগুলো হলো:-
১.যুক্তরাজ্য রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করায় তারেক এখন হোমলেস (উদ্বাস্তু)। কোন উদ্বাস্তুকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য থেকে বিতারন করা যায় না। এটা ব্রিটিশ আইনের ধারা।
২. তারেক জিয়া টানা ১০ বছর (১১ সেপ্টেম্বর ১০ বছর পূর্ণ হবে) যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছে। ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে বসবাস করলে একজন ব্যক্তি দীর্ঘস্থায়ী বসবাসের অথবা নাগরিকত্ব পাবার যোগ্য বিবেচিত হবেন। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় কাউকে দেশ থেকে বের করা যুক্তরাজ্য আইনের পরিপন্থী।
৩. তারেক জিয়ার মেয়ে জাইমা রহমান ব্রিটেনে বৈধ ভাবে পড়াশুনা করছে। স্টুডেন্ট প্রটেকশন চার্টার অনুযায়ী এই মুহুর্তে তাকে বা তাঁর অভিভাবকদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করা যায় না।
৪. তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ বাংলাদেশ সরকার উথাপন করেছে, তা প্রমাণিত নয়। তাই গুরুতর অপরাধ জনিত কারণে তাকে তাঁর দেশে ফেরত পাঠানোর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
৫. দেশে ফিরলে তারেক জিয়ার মৃত্যু দণ্ডে দণ্ডিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার নীতি অনুযায়ী, এরকম ব্যক্তিকে জোর পূর্বক দেশে ফেরত পাঠানো যায় না।
তবে, যুক্তরাজ্যের হোম ডিপার্টমেন্ট তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠালেও তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। হোম ডিপার্টমেন্ট তারেক জিয়াকে যুক্তরাজ্যে বসে ‘রাজনীতি’ না করার পরামর্শ দিয়েছে। একই সাথে তাঁর চলা ফেরা সীমিত করতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে এই শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তারেক জিয়া আপাতত: ব্রিটেনেই অবস্থান করবে।
Read in English- https://bit.ly/2rUMi5q
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চীন সফর বাম দল জাসদ ওর্য়ার্কাস পার্টি সাম্যবাদী দল
মন্তব্য করুন
শৃঙ্খলা আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না।