নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ মে, ২০১৮
বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে তাঁর আইনজীবীরা সিরিয়াস নন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। তারেক জিয়া বেগম জিয়ার জন্য নিযুক্ত ব্রিটিশ আইনজীবীর সঙ্গে দীর্ঘ পরামর্শের পর এই অভিযোগ করেছেন। দুমাস আগে তারেক জিয়া ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কারলাইলকে বেগম জিয়ার সব মামলার আইনী পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেন। ঢাকায় আইনজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, সব মামলার কাগজপত্র লন্ডনে পাঠাতে হবে। সেখানে লর্ড কারলাইন কাগজপত্র নিরীক্ষা করে বলেছেন, বিএনপির আইনজীবীরা ভুল পথে এগুচ্ছে। মামলাগুলো জামিনের আবেদনের বদলে সবগুলো মামলার কোয়াশমেন্ট (বাতিল) পিটিশন করা উচিৎ ছিলো। ব্রিটিশ আইনজীবী মনে করেন, মামলাগুলো বাতিলের আবেদন করে জামিন চাইলেই কেবল উচ্চ আদালত জামিন বিবেচনা করত। এখন উচ্চতর আদালতে যেভাবে জামিন চাওয়া হয়েছে, তাতে হাইকোর্ট সরাসরি এটি নিম্ন আদালতে শুনানির নির্দেশ দেবে বলেই ব্রিটিশ আইনজীবী মনে করেন। তিনি জানিয়েছেন, এতে কালক্ষেপণ হবে। বেগম জিয়ার মুক্তি বিলম্বিত হবে। গতরাতে তারেক এইসব বিষয় নিয়ে তার দলের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে তারেক জিয়া তাঁদের আইনি জ্ঞান নিয়েও সন্দেহ করেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ৯ মে বেগম জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় আপিল বিভাগ থেকে জামিন পান। কিন্তু আরো ৭টি মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকায় বেগম জিয়া এখন জেলে। লন্ডন থেকে লর্ড কারলাইল সবগুলো মামলা একসঙ্গে হাইকোর্টে নিষ্পত্তির পরামর্শ দিলে, ২১ মে হাইকোর্টে ৪ মামলার জামিনের আবেদন করা হয়। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি জে বি এম হাসানের ডিভিশন বেঞ্চে ইতিমধ্যে দু’টি মামলার (কুমিল্লার হত্যা ও নাশকতার মামলা) শুনানি হয়েছে। কিন্তু শুধু জামিনের আবেদন করার প্রেক্ষিতে বেগম জিয়ার ব্রিটিশ পরামর্শক আইনজীবি অবাক হয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিম্ন আদালতে শুনানী ছাড়া উচ্চ আদালত জামিন দেয় এখনই যখন মামলাটি সরাসরি বাতিলের আবেদন করা হয়। কিন্তু আইনজীবীরা তা করেননি। বেগম জিয়ার ব্রিটিশ পরামর্শক মনে করছেন, এটাও একটা ভুল কৌশল। পরে তারেক তার দলের আইনজীবীদের জিজ্ঞেস করলেন,‘ আপনাদের কি আইনের নূন্যতম জ্ঞান নেই? এভাবে কি আম্মা মুক্তি পাবে? অবশ্য বেগম জিয়ার আইনজীবীরা বলেছেন, এরকম জামিন দেয়ার এখতিয়ার হাইকোর্টের আছে। এর আগে নুরুল ইসলাম বাবুলের মামলায় হাইকোর্ট এভাবে জামিন দিয়েছিল।
আগামী রোববার এ ব্যাপারে হাইকোর্ট আদেশ দিতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।