নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৩ এএম, ০১ জুন, ২০১৮
আমরা যারা ঢাকায় বসবাস করি, চারিদিকে শুধুই উঁচু উঁচু দালান কোঠার ভীড়ে দেখি না সবুজ। বুক ভরে সতেজ নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য আমাদের খুব কম স্থানই রয়েছে রাজধানীতে। প্রাকৃতিক পরিবেশে একটু ঘুরে বেড়ানোর জায়গা মেলা কঠিন। তারপরেও কংক্রিটের এই অরন্যে সবুজ শান্তির পরশ বুলিয়ে যাওয়া জল সবুজের স্বর্গের নাম ধানমণ্ডি লেক।
ছুটির দিনে পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্মল বাতাসে, সবুজের স্পর্শে ঘুরে আসতে পারেন ধানমণ্ডি লেক থেকে। লেক এলাকায় ঢোকা মাত্রই সবুজ মনোরোম পরিবেশ স্বস্তি বয়ে আনবে আপনার হৃদয়ে।
১৯৫৬ সালে উপযুক্ত পরিবেশ ও আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ধানমণ্ডি লেক প্রতিষ্ঠা করা হয়। সমগ্র ধানমণ্ডি এলাকার প্রায় ১৬ শতাশং জুড়ে রয়েছে এই লেক। লেকের বর্তমান দৈর্ঘ্য ৩ কি.মি, প্রস্থ ৩৫ থেকে ১০০ মিটার, গভীরতা ৪.৭৭ মিটার, জলাশয়ের মোট আয়তন ৩৭.৩৭ হেক্টর। লেকটি ধানমণ্ডি ২ নম্বর সড়ক থেকে শুরু করে ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর সড়কে এসে শেষ হয়েছে।
ধানমণ্ডি লেকে রয়েছে অনেকগুলো পয়েন্ট। যেমন ব্যাচেলর পয়েন্ট, শুটিং পয়েন্ট, জাহাজবাড়ি পয়েন্ট, দ্বীপ চত্বর, লেক ভিউ সাইড, রবীন্দ্র সরোবর, ডিঙ্গি চত্বর, সুরধনী চত্বর, শতায়ু অঙ্গন ইত্যাদি। সবগুলো পয়েন্ট লেকটির তীর ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও বসার জন্য রয়েছে সিমেন্টের তৈরি অনেক স্থাপনা। যেখানে বসে নির্মল হাওয়ায় পরিবার, বন্ধু কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে ভাল কিছু সময় অতিবাহিত করতে পারবেন।
বিশাল এই লেকের জলধারে সৌখিন মাছ শিকারিরা মাছ শিকার করতে পারেন। আপনি চাইলে নৌকা ভ্রমণের শখটাও মেটাতে পারেন এই লেকের পানিতে। নৌকা ভ্রমণের স্বাদ পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে ডিঙি চত্বরে।
লেক এলাকার অন্যতম আকর্ষণ রবীন্দ্র সরোবর। এখানের খোলা মঞ্চে সারা বছরই থাকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ছুটির দিনগুলোতে নাটক, গান, কবিতা আবৃত্তিসহ হয় নানা ধরনের অনুষ্ঠানে আলোকিত থাকে রবীন্দ্র সরোবর। রবীন্দ্র সরোবরের পাশে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিতে পছন্দ করেন অনেক তরুণ-তরুণী।
ধানমণ্ডি লেকে সবুজের সমারোহ আর পাখির কিচিরমিচির শব্দের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন অজানায়। এখানে রয়েছে কৃষচূড়া, বটগাছ, রেইনট্রি, আমগাছ, কাঁঠালগাছ, বকুলগাছ, কদমগাছসহ নানা প্রজাতির গাছ হাজার হাজার ফুল ও ফলে গাছ। তাই পাখিদের আনাগোনাও এখানে অনেক বেশি।
ধানমণ্ডি লেকে আড্ডা দিতে দিতে আপনার যদি ক্ষুধা লেগে যায় তাও কোন সমস্যা নাই। খাবারের প্রয়োজন হলে লেকের ভেতরেই আপনি পেয়ে যাবেন অনেক খাবারের দোকান।
লেকেজুড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি ব্রিজ যা আপনার ভ্রমণে আনবে বাড়তি আনন্দ। ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে লেকের স্বচ্ছ জলে নিজের ছায়া দেখার অনুভূতি কারোরই খারাপ লাগবে না।
সবুজ গাছপালা আর জলের মায়ার প্রতিদিন শত শত মানুষ আসে ধানমণ্ডি লেকে বেড়তে। লেকে কিছু সময় কাটিয়ে একরাশ মুগ্ধতা ও ভাললাগা নিয়ে তাঁরা ফিরে যান আপন ঠিকানায়।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেড
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।