নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১১ জুন, ২০১৮
লন্ডনে স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় তারেক জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। লন্ডনে তারেক জিয়ার বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তারেক জিয়ার বাসভবনে দুই ঘণ্টা ছিলেন। সন্ধ্যায় আবার তাঁর তারেক জিয়ার বাসভবনে যাওয়ার কথা রয়েছে, সেখানে তিনি ইফতার করবেন এবং আলোচনা আরও এগিয়ে নেবেন বলে বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নিয়েই বিএনপি মহাসচিব লন্ডনে গেছেন। এই প্রস্তাবনায় যেকোনো মূল্যে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রস্তাবনার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, নির্বাচন পর্যন্ত সময়ে তারেক জিয়া দলীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকবেন। তারেক জিয়া এই প্রস্তাবনার ব্যাপারে কি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, লন্ডন সময় সকাল ১০টার দিকে তারেক জিয়ার বাসভবনে পৌঁছেন মির্জা ফখরুল। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালেক এবং দুজন স্থানীয় বিএনপি নেতা তাঁকে নিয়ে যান। সেখানে ১৫ মিনিট বিএনপি মহাসচিব তারেক জিয়ার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তিনি তারেক জিয়া, জোবায়দা রহমান এবং নাইমা রহমানকে বেগম জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এরপর তারেক সবাইকে সরিয়ে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। একাধিক সূত্র বলছে, এই বৈঠকে তারেককে বিএনপির করনীয় নিয়ে একটি লিখিত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন মির্জা ফখরুল। প্রস্তাবনা বেশ দীর্ঘ। তাতে মোটা দাগে মোট ৭টি পয়েন্ট আছে বলে জানা গেছে। এগুলো হলো:
১. যেকোনো পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণ করতে হবে।
২. নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের বাইরে আওয়ামী বিরোধী সর্বদলীয় মঞ্চ তৈরি করতে হবে।
৩. ভারতের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছুতে হবে।
৪. বিএনপিপন্থী সরকারি কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
৫. নির্বাচনে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসকে মূল ইস্যু হিসেবে আনতে হবে। প্রতিহিংসার রাজনীতি বর্জনের ঘোষণা থাকতে হবে।
৬. আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার জন্য জোট থেকে জামাতকে বাদ দিতে হবে। সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে সুস্পষ্ট আশ্বাস থাকতে হবে।
৭. নির্বাচন পর্যন্ত সময়ে বেগম জিয়া ও তারেক জিয়া দলের নেতৃত্বে এবং কোনো পদে থাকবেন না। তাঁরা নিষ্ক্রিয় থাকবেন। তবে নির্বাচনের পর তাঁরাই দলের নেতৃত্বে ফিরে আসবেন।
একাধিক সূত্র বলছে, এই প্রস্তাব নিয়ে তারেক এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। আগামী দুইদিন বিএনপির দুই নেতার বৈঠকের উপর বিএনপির অনেককিছুই নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা।
Read In English: https://bit.ly/2HDvB4r
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক কারাগা
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন ও চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।
দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। এ নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবে ‘ওএসডি’ করা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। এ নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।
এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। এ দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।
জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।
মন্তব্য করুন