নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ১৩ জুন, ২০১৮
কাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ক্রীড়া উৎসব ফুটবল বিশ্বকাপ-যেটিকে গ্রেটেস্ট শো অন দা আর্থ বলা হয়। সব প্রস্তুতি শেষ হয়ে এখন ক্ষণগণনা চলছে বিশ্বকাপের।
অংশগ্রহণকারী দলগুলোর পাশাপাশি এসব দেশের হাজার হাজার সমর্থকও ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছেন মস্কোতে। বাংলাদেশ থেকেও অনেকে গিয়েছেন বিশ্বকাপের খেলা দেখতে। তবে যারা দেশে রয়েছেন। তাদের উম্মাদনাও কম নয়। তাঁদের মধ্যে আছেন তারকারাও...
আমি পল্টিবাজ সমর্থক: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
সমর্থক হিসেবে আমি আসলে নিদারুণ পল্টিবাজ। আমি ফুটবল রেগুলার ফলো করি, এমন কোনো লিগ নাই, যে যে লিগ লাইভ কিংবা রেকর্ড দেখা সম্ভব, তার সবই দেখি, কিন্তু আমি খেয়াল করে দেখেছি যে সমর্থনের বেলায়, আমি কখনো কখনো দোদুল্যমান।
আসল ঘটনাটা বলি, ছোটবেলায় আমি লিভারপুল সমর্থন করতাম, ২০০২-০৩-এর পর আমি চেলসি করেছি। একম্যাচ চেলসির খেলা ভালো না লাগলে অন্যকোথাও যাই।
আর আমার এই সমর্থনের আমার সমর্থন নানাবিধ কারণে নির্ধারিত হয়। কখনো সিমপ্যাথি ইস্যু, কখনো আন্ডারডগ ইস্যু, কখনো কোচের উপর ভালোবাসা ইস্যু, কখনো কোচের উপর রাগ ইস্যু। তবে দুইটা ক্ষেত্রে আমার আনুগত্য প্রশ্নাতীত। দুইটা দলের প্রতি। একটা হলো বাংলাদেশ, আরেকটা হলো ব্রাজিল। এই দুই দলের ক্ষেত্রে আমার আনুগত্যের কোনো ব্যত্যয় আজ্যবধি হয়নি। এখন কেন আমি ব্রাজিলকে সমর্থন করি?
আমি জানি না আমি ব্রাজিলকে কেন সমর্থন করি। একটা হতে পারে, ছোটবেলায় আমরা আমাদের পাঠ্য বইতে পেলের সম্পর্কে জেনেছি। কারণ তখন তো ইউটিউব ছিল না। এটা একটা কারণ হতে পারে। তবে আমার চোখে যেটা মনে আছে, সেটা হচ্ছে, ৮২-এর আমি দুটি খেলা দেখেছি, তখন আমি খুব ছোট। একদম খুব ছোট। কিছু বুঝি না। তখন একটা খেলা দেখেছিলাম আমি সম্ভবত ব্রাজিলের। ওই সময়ে সবচেয়ে ভালো লেগেছে যেটা যে, এত দ্রুত পাস বিনিময় করত, যেটা দেখে মুগ্ধ হই। মনে হয় এটা তো আমার পাড়ার ভাইয়েরা পারে না। তবে ৮৬ এ মনে হয় ব্রাজিলের জোরদার সমর্থক হই। কিন্তু এমন এক মৌসুমে জোরদার সমর্থক হই তখন সেই মৌসুমে সকল আলো চুরি করে নিয়েছেন ম্যারাডোনা। সেই মৌসুমে আমি আসলে ব্রাজিলের সমর্থক হিসেবে নাম লেখাই।
অবশ্যই আর্জেন্টিনা: কনা
পরিবার সূত্রে আমি আর্জেন্টিনার ঘোর সমর্থক। অবশ্য আমার ভাই ব্রাজিলের সমর্থক। এ নিয়ে ওর সঙ্গে পুরো পরিবারের বেধে যায়। আবার আমার গানের বন্ধুরাও একসঙ্গে খেলা দেখি। বাপ্পাদাও প্রচুর খেলার পাগল। আমাদের গানের একদল আছি আমরা একসঙ্গে এবারও খেলা দেখবো।
দ্বিতীয় প্রিয় দল আর্জেন্টিনা: সজল
আমি মূলত ব্রাজিলের সমর্থক। তবে আর্জেন্টিনার খেলাও ভাল লাগে। যেমন গত বছর ফাইনালে আমি আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করেছি। শুটিং শেষ করে রাতে বাসায় ফিরব। তারপর আমার কয়েকজন কাছের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়ের সঙ্গে বসে খেলা দেখব বলে পরিকল্পনা করেছি। এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে একটা আফসোস রয়ে গেল। কারণ ঈদের অনুষ্ঠান চাপে পড়ে গেল খেলার জন্য।
খেলার জন্য সবাই টাকা জমাই: অপি করিম
ছোটবেলায় খুব ভালো ‘ফুটবল’ খেলতাম। শৈশবের এই ফুটবল খেলার প্রতিভা পরিবার-পরিজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখনও ফুটবল খেলার স্মৃতি মনে করে বেশ রোমাঞ্চিত হই। আমার কাছে ফুটবল আকৃতির একটি ব্যংকও আছে। খেলা শুরু হলেই বাড়ির ছোট ছোট ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে মুরব্বিরা পর্যন্ত সবাই সবার সাধ্যমতো টাকা সেই ব্যাংকে রাখে। খেলার দিন ব্যাংক থেকে টাকাগুলো বের করে রাতের বেলার জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। আর কোন দল সাপোর্ট করি? ফুটবল মানেই তো আমার কাছে মনে হয় ব্রাজিল দল। প্রিয় দল এবারও প্রত্যাশা পূরণ করবে, এটা আমার আশা। আর দিনের বেলা যদিও ইউনিভার্সিটিতে যেতে হবে। খেলা তো আর থাকবে না; তাই চিন্তা করি যে একটা মাস না হয় কম ঘুমালাম, কিন্তু খেলা দেখা চাই-ই চাই।’
ঝগড়া নিয়ে টেনশনে আছি: সাবিলা নূর
গতবার বিশ্বকাপ নিয়েছে বলে কিন্তু আমি জার্মানি না। ছোটবেলা থেকেই জার্মানির সাপোর্টার। এনিয়ে বন্ধু বা বাসার সবার সঙ্গে যে এই একমাসে কত ঝগড়া হবে। তা নিয়ে টেনশনে আছি।
ব্রাজিল আমার শত্রু: তিশা
জামাই ব্রাজিল করে। আর আমি আর্জেন্টিনা। সংসারের অবস্থা তো এ দিয়েই বোঝা যায়। সরয়ারের প্যারায় আমি দিনকে দিন ঘোরতর ব্রাজিলের বিপক্ষে চলে এসেছি। ও তো শুধু খেলা দেখে না। বিপক্ষ দলের প্রতিটা খেলোয়াড়কে নিয়ে সমলোচনা করে। আমি যতটা বুঝি, তাতে আমার আর্জেন্টিনার খেলা ভালো লাগে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ওয়েব সিরিজ ‘হীরামাণ্ডি’তে অভিনয় করেছেন বলিউডের নবাগত অভিনেত্রী শারমিন সেহগল। ১৯৯৫ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া শারমিনের বর্তমান বয়স ২৮ বছর। যদিও অভিনয় দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে খুব একটা ছাপ ফেলতে পারেননি তিনি।
মামা সঞ্জয় লীলা বানসালির সহকারী পরিচালক হিসেবে শোবিজাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন সেহগল। বলিউডের শীর্ষ পরিচালক বানসালির সঙ্গে খামোশি, দেবদাস এবং ব্ল্যাকের মতো অনেক বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করেছেন শারমিন।
ব্যক্তিজীবনে ২০২৩ সালের নভেম্বরে শারমিন সেহগল ব্যবসায়ী আমান মেহতাকে বিয়ে করেছেন। আমান বিজনেস টাইকুন সমীর মেহতার ছেলে। সমীর এবং তার ভাই সুধীর মেহতা টরেন্ট গ্রুপের প্রধান। মেহতা ভাইদের সাম্রাজ্য ফার্মা, পাওয়ার, গ্যাস এবং ডায়াগনস্টিক সেক্টরজুড়ে বিস্তৃত।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ২০২৪ সালের হিসেবে সমীর মেহতার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬.৪৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার বা ৫৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস মেহতা ব্রাদার্সের মূল কোম্পানি। ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ফোর্বসের মতে, এ সংস্থাটি বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা আয় করে।
কোটি টাকা অভিনেত্রী শারমিন শ্বশুর
মন্তব্য করুন
বলিউডের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিশা পাটানি। যদিও অভিনয়ের থেকে নিজের সাহসী ও খোলামেলা রূপের জন্যই বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি।
নিজের বোল্ড লুকের ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই পারদ চড়ান দিশা। এবারেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ঘুরতে গেছেন এই তারকা। সেখানে গিয়েই উষ্ণতা ছড়ালেন ভক্তদের মাঝে।
ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন দিশা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মাঝ সমুদ্রে আলো ছায়ার খেলায় মেতেছেন অভিনেত্রী। কয়েকদিন আগেই ওয়াইন রঙের একটি বিকিনি পড়ে ছবি দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার হাজির হয়েছেন সাদা বিকিনিতে। একটুকরো পোশাকেই যেন শরীর ঢাকার চেষ্টা করেছেন অভিনেত্রী।
ইনস্টাগ্রামে দিশাকে প্রায় ৬ কোটি মানুষ অনুসরণ করেন। অভিনেত্রীর বিভিন্ন ছবি, মুহূর্তগুলোর চিত্র দেখতেই যেন তারা সবসময় মুখিয়ে থাকেন।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি নিজের অবসর জীবনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিরাট কোহলি।
আর এদিকে আনুশকা খুব শিগগিরই হয়তো অভিনয় জীবন থেকে মুখ ফেরাবেন। তবে বিরাট-আনুশকা খুশি সংসার, সন্তান নিয়ে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিরাট ছেলে অকায় ও মেয়ে ভামিকাকে নিয়ে অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আনেন।
গত পাঁচ বছর ধরে কোনও ছবি মুক্তি পায়নি আনুশকার। মেয়ের জন্মের পর শুধু ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’ ছবিটি করেছেন তিনি। অবশ্য সেটি আজও মুক্তি পায়নি।
অভিনেত্রী নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তার জীবনে অগ্রাধিকার পায় তার সন্তানরা। এবার বিরাটের অবসরের জল্পনা উঠতেই শোনা যাচ্ছে, দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী আনুশকার সঙ্গে লন্ডনেই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকবেন কোহলি-দম্পতি।
তবে, ছেলে অকায় বেশ ছটফটে হয়েছে বলে জানালেন বাবা বিরাট। আর মেয়ে ভামিকা নাকি তিন বছর বয়সেই ব্যাট ঘোরাতে শিখে গেছে! বিরাট অবশ্য এখন থেকেই কিছু অনুমান করতে চান না। তার কথায়, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। ওদের যা খুশি, বড় হয়ে সেটাই হবে।
মন্তব্য করুন
কান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪-এ রেড কার্পেটে নজর কাড়লেন কিয়ারা আদবানি। সাদা হাই স্লিটেড পোশাকে তিনি যেন ঝলমলে প্রজাপতি। মুহূর্তেই ভাইরাল সেই ভিডিও।
বলিউড অভিনেত্রী ও ফ্যাশন আইকন কিয়ারা ফ্রেঞ্চ রিভেরা থেকে নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। একটি অফ-হোয়াইট পোশাকে যেন পরী। ১৭ মে চলচ্চিত্র উৎসব থেকে তার প্রথম লুকের আভাস দিয়ে ইনস্টাগ্রামে ঝড় তুলেছেন তিনি।
প্লাঞ্জ নেকলাইন ও হাই-স্লিটেড গাউনের সঙ্গে কিয়ারা পরেছিলেন হিরের দুল এবং হাই-হিল। তার পোশাক ডিজাইন করেছেন লক্ষ্মী লেহর ও প্রবাল গুরুং ছিলেন স্টাইলিংয়ের দায়িত্বে।
গালা ইভেন্টে কিয়ারা আন্তর্জাতিক সিনেমার ল্যান্ডস্কেপে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের উপর জোর দেবেন বলে জানা
গেছে। অনুষ্ঠানটি সারা বিশ্বের নারীদের একত্রিত করবে এবং বিনোদন শিল্পে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেবে। এই মুহূর্তে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিয়ারা ।
মন্তব্য করুন
‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ এর ৭৭তম
আসরে হাজির হয়েছেন বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। উৎসবে চতুর্থ দিনে নাসিরুদ্দিন
শাহ’র ‘মন্থন’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে ‘কান ক্লাসিকে’।
চার যুগ আগে ‘মন্থন’ সিনেমায়
অভিনয় করেছিলেন এই তারকা। যেটি ছিল অভিনেতার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। গুজরাটের
দুগ্ধখামারীদের ওপর কর্পোরেট আগ্রাসন ঘিরে বর্ষীয়ান নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের ধ্রুপদি
এই সিনেমাকে সম্মান জানিয়ে এই বিভাগে ঠাই দিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
এই শ্যাম বেনেগালই নির্মাণ
করেছেন বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। যেখানে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের
জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ। এই অভিনেতার অভিনয় বেশ মনে ধরেছে বলিউডের বিখ্যাত এই তারকার।
নাসিরুদ্দিন শাহ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর
বায়োপিক সিনেমাটি আমি দেখেছি। খুবই ভালো সিনেমা। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে হয়, শ্যাম
বেনেগালের সিনেমাটি ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি, মূল চরিত্রে যিনি
(শুভ) অভিনয় করেছেন তিনি দারুণ করেছেন। আমি সিনেমাটি উপভোগ করেছি। সিনেমাটি দারুণ
ইনফরমেটিভ, ইন্টারেস্টিং এবং নাটকীয়।’
এ সময় বাংলাদেশে অভিনয়ের আগ্রহও
প্রকাশ করেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো বাংলাদেশে সিনেমা করার অফার পাইনি। পেলে
খুব খুশি হতাম। যদিও আমি দুইবার গিয়েছি সেখানে থিয়েটারে পারফর্ম করতে। কিন্তু সিনেমাটা
করা হয়নি। বাংলাদেশের নির্মাতাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা।’
ঢাকা সিনেমা অভিনয় নাসিরুদ্দিন শাহ
মন্তব্য করুন