নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ১৪ জুন, ২০১৮
পেশাগত কারণে সম্প্রতি নিউমার্কেটে যাচ্ছিলাম। ধানমন্ডি ২৭ এর রাপা প্লাজার সামনে জ্যামে আর ভ্যাপসা গরমে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। অসহ্য গরমে আর বাসে বসে থাকতে পারছিলাম না। অগত্য বাধ্য হয়ে বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করলাম।
সোবহান বাগ মসজিদের উল্টো পাশে ওভার ব্রিজের কাছে আসতেই দেখি ছোট একটি মেয়ে ভীষণ মনোযোগ দিয়ে খাতায় কিছু একটা লিখছে। কৌতুহল নিয়ে কাছে গিয়ে ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম তার সামনে একটি আদর্শ লিপি বই, বইয়ের পাশেই একটি ওজন মাপার মেশিন, পাশে কাগজে লেখা আছে ওজন মাপা হয় ২ টাকা।
ওজন মাপার মেশিনে মাঝে মাঝে লোকজন নিজেদের ওজন মেপে দুই/পাঁচ টাকা দিচ্ছে। ছোট্ট মেয়েটিকে যে যা দিচ্ছে, কোন কথা না বলে তাই নিয়ে তার ছোট কাল ব্যাগে রেখে আবার তার খাতায় লেখায় মনোযোগ দিচ্ছে।
তাড়া থাকার পরেও ছোট্ট মেয়েটির কাছে গিয়ে কথা বলার লোভ কিছুতেই সামলাতে পারলাম না। কাছে গিয়ে আদর্শ লিপি বই দেখে আমি নিজেও স্মৃতি-কাতর হয়ে পরেছিলাম। আমার জীবনের প্রথম বই এই আদর্শ লিপি। এই আদর্শ লিপি বই থেকেই আমার লেখাপড়ার শুরু। অবশ্য আমার ছোটবেলায় আদর্শ লিপি বই ছিল সাদাকালো এখনকার মত এমন রঙিন নয়।
কাছে গিয়ে জানতে চাইলে সে জানাল, তার নাম বীথি, বয়স ১০ বছর। সে ধানমন্ডির আপন পাঠশালায় পড়াশুনা করে। প্রতিদিন স্কুল শেষে সে এইখানে চলে আসে তার ওজন মাপার মেশিন নিয়ে। মানুষের ওজন মেপে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়। আয়ের পুরোটাই বীথি তার বাবার হাঁতে তুলে দেয়।
পড়ালেখা শিখে কি হতে চাও এমন প্রশ্নে বীথির সহজ সরল উত্তর, কি করতে চাই জানিনা, তবে যাই করি মা-বাবার খেয়াল রাখতে চাই। বাবা মার মুখে হাসি ফোটাতে চাই।
বীথির গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ছোট ফাউশা গ্রামে, বাবার নাম হারুন। বীথির বাবার সব সময় কাজ থাকে না। বীথির মা প্রায় সময় অসুস্থ থাকে। ছোট বীথির আয় দিয়েই ছয় সদস্যের সংসার চলে।
বীথির সঙ্গে কথা বলা শেষ করে হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিলাম, ১০ বছরের ছোট্ট মেয়েটির আয়ে একটি পরিবার চলে, সে তার মা-বাবার মুখে হাসি ফোটানোর কথা ভাবে। আমরা অনেকেই হয়ত প্রতিষ্ঠিত হয়ে চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য করেও মা-বাবার তেমন একটা খেয়াল রাখিনা। এই ছোট্ট শিশুর কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের সময়সূচি
পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর
আলমের সই করা সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের
সময় ছিল গত ১০ মে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের গত ১১ মে দিন ধার্য ছিল। ১৬ মে পর্যন্ত বাছাইয়ের
বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ১৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৮
মে এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৯ মে। সবশেষ আগামী ৫ জুন ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত
হবে।
এর আগে, গত ৬ মে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন
স্থগিত করেন হাইকোর্ট। তার একদিন পর ৮ মে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত।
এরপরেই নির্বাচনের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।
গত ১৬ মার্চ ওই আসনের সংসদ সদস্য বীর
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। পরে গত ২৩ এপ্রিল আসনটিতে
উপনির্বাচনের জন্য তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা
ক্যাম্পে হেড মাঝি মোঃ ইলিয়াসকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
সোমবার (১৩ মে) ভোরে উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক্সটেনশনের হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে
এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উখিয়ার আশ্রয় শিবিরের ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের ‘সি’-এর ৩ নম্বর ব্লকে থাকতেন রোহিঙ্গাদের হেড মাঝি মোঃ ইলিয়াস। ভোরের দিকে তার ঘরের দরজা ভেঙে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী প্রবেশ করে তাকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে নিয়ে এবং সেখানে তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোঃ ইলিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও তিনি জানান।
হেড মাঝি রোহিঙ্গা ক্যাম্প হত্যা
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পরাজিত মোটরসাইকেল প্রার্থীর সমর্থক আব্দুল আলিম নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে ঢাকায় হাসপাতলে নেওয়ার পথে আব্দুল আলিমের মৃত্যু হয়। নিহত আব্দুল আলিম উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের মৃত হায়দার আলী ছেলে।
এঘটনায় আটককৃতরা হলেন, একই গ্রামের মৃত একরাম আলীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০), রাসেল (২২) ও আবুল হোসেন (৬৫) ।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল আলিম চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী ছিলেন। ৮ মে নির্বাচন ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সরকার বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার পর আমিনুল ইসলামের কর্মী চাঁন মিয়া, রাসেল, আবুল বাবলু, মান্নান, সাদ্দাম ও খালেক মেম্বারের নেতৃত্বে আব্দুল আলীমের ওপর হামলা চালায়। তাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। ওইদিন তাকে উদ্ধার করে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরান। অবস্থা অবনতি হলে সেখান থেকে রোববার দিবাগত রাতে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, ‘নির্বাচনের দিন রাতে দুপক্ষের মধ্য মারামারি হয়। তারা একে অপরের চাচাতো ভাই। তারা দুজন দুই প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন। আব্দুল আলীম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।'
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা মৃত্যু আটক
মন্তব্য করুন
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন,
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমাতে কাজ করে
যাচ্ছে সরকার।
সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের
রাষ্ট্রদূত মিজ মেরী মাসদুপুই সাক্ষাৎ করতে এলে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মহিববুর রহমান বলেন, সম্প্রতি বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়
জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বজ্রনিরোধক যন্ত্র স্থাপন করাসহ এ বিষয়ক ব্যবস্থাপনা কাঠামো
গড়ে তুলতে কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
বজ্রপাত সরকার প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান
মন্তব্য করুন
যশোরের বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে গরু আনার সময় ভারতীয় বিএসএফ এর ছোড়া গুলিতে আমজেদ আলী (৩৫) নামে ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১২ মে) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আমজেদ আলী (৩৫) পুটখালীর কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত সুকচাদ আলীর ছেলে।
আহতের ভাই আমের আলী জানান, ‘রোববার রাত ৭টার দিকে পুটখালী সীমান্তের চরের মাঠ এলাকা দিয়ে ভারত থেকে গরু চোরাই পথে নিয়ে আসার সময় বিএসএফ এর সদস্যরা গুলি ছোড়ে। এতে আমার ভাই আমজেদ আলীর বাম পায়ে গুলি লাগে। এ সময় অবস্থায় তিনি পালিয়ে বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকজন তাকে রাত ৩টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।’
আহত আমজেদ আলী বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে হাসপাতালে ভর্তি আমজেদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
খুলনা ২১ ব্যাটালিয়নের লে. কর্ণেল খুরশীদ আলম বলেন, 'বিএসএফ এর গুলিতে এক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে শুনেছি। আমি খোঁজ খবর নিয়েছি, আমার ৯ কিলোমিটার এরিয়ার মধ্যে কোন স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে সেই জায়গাটি আমরা খুঁজে বের করতে পারছি না।’
তিনি বলেন, 'গতকাল রাতে বিজিবির যে সকল সদস্যরা টহলরত ছিলো, তারাও জানিয়েছে যে তারা কোন গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাননি। আহতের বাড়ির এলাকায় আমি লোক পাঠিয়েছিলাম, তারা কেউ বাড়িতে নেই, এলাকার লোকজন বললো আহত হয়েছে, কিন্তু কিভাবে আহত হয়েছে বা ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তারাও বলতে পারছেন না। আহত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো।
বিএসএফের গুলি বাংলাদেশী চোরাকারবারী
মন্তব্য করুন