নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৪ এএম, ১৮ জুন, ২০১৮
বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারকে নয়, জাহাঙ্গীর আলমের ভয় আজমত উল্লাহ এবং তাঁর লোকজনকে। অন্যদিকে হাসান উদ্দিন সরকারের প্রধান মাথাব্যথা আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নয় বরং তাঁর দলের নেতা বর্তমান মেয়র আব্দুল মান্নান। আজ থেকে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচার শুরু হচ্ছে। ২৬ জুন দেশের বৃহত্তম এই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। এই নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম এবং বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকারের মধ্যে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক প্রচারণার শুরুতেই অভ্যন্তরীণ কোন্দলই প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখছে প্রধান দুই দল। আওয়ামী লীগ থেকে সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ। কিন্তু দল তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে বেছে নেয়। আজমত উল্লাহ প্রকাশ্যে জাহাঙ্গীর আলমকে সমর্থন দিয়েছেন, হয়েছেন তাঁর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। কিন্তু তাঁর ভূমিকা নিয়ে দলের মধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, আজমত উল্লাহ গোপনে তাঁর বিরুদ্ধে কাজ করছে। এ নিয়ে ঢাকায় কয়েক দফা দেন-দরবার হলেও কাজ হয়নি।
আজমত উল্লাহ তাও গোপনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করছেন বলে অভিযোগ কিন্তু আবদুল মান্নান বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নেমেছেন প্রকাশ্যে। আবদুল মান্নানের লোকজন প্রকাশ্যেই জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে কাজ করছেন। এ নিয়ে, ঢাকায় দেন-দরবার হয়েছে। হাসান উদ্দিন সরকার এবং আবদুল মান্নানের বিরোধ মিটিয়ে ফেলার জন্য দুজনকেই রোজার মধ্যে ঢাকায় তলব করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব। কিন্তু ঐ সমঝোতা বৈঠকে হাসান উদ্দিন সরকার যোগ দেননি। বরং তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন।
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলাফল অনেকটাই নির্ভর করবে এই অভ্যন্তরীণ বিরোধ মীমাংসার উপর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জনগণের ভোটের চেয়েও এটি হতে পারে নির্বাচনের অন্যতম ভাগ্য নির্ধারক।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।