নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৬ পিএম, ২০ জুন, ২০১৮
শুরু হয়ে গেছে ফুটবল বিশ্বকাপ। কে কোন দেশের সাপোর্ট করছে, কোন দলের খেলোয়ার ভালো খেলছে, কোন প্লেয়ার কয়টা গোল করল এইসব নানা বিষয় নিয়ে চলছে তুমুল তর্ক-বির্তক। এই বিতর্ক বাড়ি থেকে বেরিয়ে অফিসে, চায়ের দোকানে কিংবা রাস্তা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আমরা বিভিন্ন জন বিভিন্ন দল সাপোর্ট করছি। আমরা হয়তো সাপোর্ট করা দলের প্লেয়ার ও তাদের খেলা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি। কিন্তু আমরা কী আসলে আমাদের সাপোর্ট করা দলের দেশটি সম্পর্কে জানি? ফুটবল বিশ্বকাপে আসা এমনই একটি দেশ ‘পর্তুগাল’ সম্পর্কে আজ আপনাদের জানাবো।
পর্তুগাল বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসে ক্রিস্টিয়ানা রোনালদো’র নাম। মনে আসে জাহাজে ঘুরে ঘুরে দেশ আবিষ্কার করে বেড়ানো ভাস্কো-দা-গামার কথাও। কিন্তু এই দেশটির আরও একটি পরিচয় আছে, যা খুব কম মানুষই জানে। আর তা হল দেশটির এক বিষাদময় পরিচয়। ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’ অনুযায়ী, বিশ্বের ১৫৭টি বিষাদময় দেশের তালিকায় পর্তুগালের স্থান ৮৯ হলেও পৃথিবীর আর কোনো দেশকে নিয়ে ‘বিষাদেরেই বাসি ভালো’ এই ধরনের কথা বলা যায় না।
পর্তুগাল দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। লিসবন পর্তুগালের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। দেশটির উত্তরের ভূমি পর্বতময় ও সবুজের হাতছানি মাখা। উত্তরের দিকটা শীতল আবহাওয়া এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত সম্পন্ন, দক্ষিণের আবহাওয়া আবার একেবারেই ভিন্ন। সেই অঞ্চলটি বেশ উষ্ণ এবং মাইলের পর মাইল জুড়ে রয়েছে বিস্তৃত রৌদ্রোজ্জ্বল বেলাভূমি। তাছাড়া আটলান্টিক মহাসাগরে দেশটির দীর্ঘ উপকূল রয়েছে।
পর্তুগাল খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে রোমান সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে রোমান শাসনের অবসানের পর ইউরোপের অভ্যন্তরভাগ থেকে জার্মানীয় জাতির লোকেরা এসে পর্তুগাল শাসন করে। এরপর উত্তর আফ্রিকা থেকে মুসলমানেরা এসে দেশটি দখল করে। এরপর এলাকাটি স্পেনীয় রাজাদের অধীনে আসে। ১২শ শতকে পর্তুগাল একটি স্বাধীন রাজ্যে পরিণত হয়।
১৫শ শতকে পর্তুগাল ইউরোপের প্রধান সমুদ্রাভিযান কেন্দ্রে পরিণত হয়। পরবর্তী প্রায় ১০০ বছর পর্তুগিজ নাবিকেরা বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে যান এবং বিশ্বের সমুদ্র বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করেন। এই নাবিকদের সহায়তায় পর্তুগাল ইউরোপের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে একটি বৃহৎ সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। ১৬শ শতকের শেষ নাগাদ পর্তুগালের শক্তি ও সম্পদ নিঃশেষ হয়ে যায় এবং দেশটি তার বেশির ভাগ এশীয় উপনিবেশ হারায়। পর্তুগাল তার বৃহত্তম উপনিবেশ ব্রাজিলের উপর ১৯শ শতক পর্যন্ত এবং তার বিশাল আফ্রিকান সাম্রাজ্যের উপর ২০শ শতক পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। পর্তুগালের অধীনে বিশ্বের এক বিশাল স্থলভাগ থাকলেও এটি ইউরোপের সবচেয়ে অনুন্নত দেশগুলির একটি।
পর্তুগীজরা সামাজিক, বন্ধুসুলভ, সহায়তাকারী এবং উত্তরাধিকারসূত্রে বিষণ্ণ সমাজের ধারা বহন করছে। কেউ পর্তুগাল ভ্রমণে আসলে দেখতে পাবেন শহরজুড়ে ব্যস্ত কফি শপ, রেস্টুরন্টে বসে তরুণদের উদ্দামতা, রাস্তায় বসে গানের আসর, স্থানীয় ও পর্যটকরা এসবে মিলে মিশে একাকার। তাহলে কোথা থেকে আসে এ বিষণ্ণতা? এটি বুঝতে হলে পর্তুগীজদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বুঝতে হবে। পর্তুগীজদের ইতিহাসে যেমন রয়েছে সমুদ্রযাত্রা এবং ফলশ্রুতিতে প্রিয়জনকে নিয়ত বিদায়, তেমনই রয়েছে বহিঃশত্রুর আক্রমণ ও একনায়কতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার প্রভাব, ফলে তাদের জীবনযাত্রার মধ্য দিয়ে ‘ফাদো’ ও ‘সউদেদ’ শব্দ দুটি সংস্কৃতির মধ্যে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে।
‘ফাদো’ পর্তুগীজ সঙ্গীতের এমন এক ধারা, যেখানে শুধুমাত্র একটি গিটারের সাহায্যে গানের মধ্য দিয়ে ব্যথিত হৃদয়ের আবেগ, হারানোর বেদনা, ভালোবাসা, আশা-আকাঙ্ক্ষার লোকগাঁথা পরিস্ফুটিত হয়। ফাদো মিউজিকের উৎপত্তি বা কীভাবে এ সঙ্গীত পর্তুগীজ সমাজের সাথে মিশে গেল, তার সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায়নি। তবে অনুমান করা হয়, দেশ হিসেবে পর্তুগাল প্রতিষ্ঠার অনেক আগে থেকে এই সঙ্গীতের জন্ম। এক গবেষণায় জানা যায়, ১৮২০ সালের দিকে পর্তুগীজ সমাজে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে।
‘সউদেদ’ পর্তুগীজ ভাষায় এক অতি সুন্দরতম শব্দ। ইংরেজি কিংবা অন্য কোনো ভাষায় এ শব্দের অন্য কোনো উপযুক্ত অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অক্সফোর্ড শব্দকোষে সউদেদের আভিধানিক অর্থ বলতে মানুষের নস্টালজিক সময় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। কিন্তু পর্তুগীজদের কাছে এই শব্দটি তার চেয়েও বেশি কিছু। এই শব্দের সাথে জড়িয়ে রয়েছে একটি দেশের মানুষের গভীর ভাবাবেগ।
পর্তুগীজরা তাদের সমাজ জীবনে পরিবার-পরিজন, পরিচিত আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবদের মাঝে এই শব্দটি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকে, তাদের ফেলে আসা স্মৃতিময় অতীতকে বারবার ফিরে পেতে চায় এই শব্দের মাধ্যমে। তারা একজন যখন আরেকজনকে বিদায় বেলায় পর্তুগীজ ভাষায় বলে, ‘ভওউ তার্ সউদেদস্ তোয়স’ তার অর্থ হলো ‘আমি তোমাকে মিস করব’। কারো বিদায় বেলায় এই শব্দ কয়টি তাদের হৃদয়ের তীব্র ব্যঞ্জনাকেই আমাদের সামনে তুলে ধরে।
আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, সে দেশের কেউই একজন অন্যজনকে ‘হ্যাভ আ নাইস ডে’ বলে সম্বোধনই করেন না। ‘কেমন আছেন?’ এমনতর জিজ্ঞাসায় যে সাধারণ উত্তরটি পর্তুগীজবাসীদের কাছ থেকে পাবেন তা হলো, ‘এই তো, চলে যাচ্ছে’। ভূমধ্যসাগরের জল-হাওয়াও নাকি মন ভালো করতে পারে না পর্তুগালের বাসিন্দাদের।
পর্তুগীজদের সংস্কৃতিরই একটি অংশ বিষণ্ণ হয়ে গেছে এমনটি তাদের ধারণা। তাদের কাছে এই বিষাদই যেন আনন্দঘন। এই বিষণ্ণতার প্রতিচ্ছবি পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে সে দেশের শিল্প, সাহিত্য, এমনকি স্থাপত্য-ভাস্কর্য-চিত্রকলায়ও। এর মধ্যে কখনো কখনো উঁকি দেয় অতীতবিলাস। বর্তমানকে সরিয়ে দিয়ে পর্তুগীজরা ছুঁতে চান এক অসম্ভব অতীতকে। সেটি পাওয়া সম্ভব নয় জেনেই তারা বিষণ্ণ হন।
এটা মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক, পর্তুগালের অধিকাংশ মানুষ কীভাবে বিষণ্ণ হন। কিন্তু পর্তুগীজদের সাথে কিছু দিন মেলামেশা করলে দেখা যাবে, ব্যাপারটি আপনার কাছে অন্যরকম মনে হওয়ায় স্বাভাবিক। বিষাদের মধ্য দিয়ে পর্তুগীজরা প্রতিনিয়ত তাদের মনোজগতে এমন কিছুর সন্ধানে ব্যস্ত, যেন প্রকৃতি, মানুষ সব কিছুর ভিতরে এক বিষাদের ধারা আবিষ্কার করে তারা মজে আছে সেই অনাবিল সৌন্দর্যে। পর্তুগীজরা মনে করে, তাদের এই বিষাদ এক সহনীয় বিষাদ। একে ঠিকমতো লালন করতে পারলে মনের গভীর থেকে প্রকৃত সুখ বহমান ধারার মতো তাদের জীবনধারায় বইতে থাকবে।
বাংলা ইনসাইডার/ বিপি
মন্তব্য করুন
এখনো গুরুতর শারীরিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী বরার্ট ফিৎসোর। তার এখনো বড় জটিলতায় পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে তার শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা স্থিতিশীল। শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত বুধবার স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে রবার্ট ফিৎসোকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাকে খুব কাছ থেকে পাঁচটি গুলি করা হয়। এ ঘটনায় পুরো ইউরোপ স্তম্ভিত। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার এই ঘটনাকে দেশটিতে রাজনৈতিক বিভক্তি বাড়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রবার্ট ফিৎসো বানস্কা বিসত্রিচা শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফিৎসোর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে শনিবার সেই হাসপাতালের সামনে স্লোভাকিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী রবার্ট কালিনাক বলেন, 'এটা বলা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা এখনো জয়ী হইনি।'
শুক্রবার দুই ঘণ্টার একটি অস্ত্রোপচারের পর রবার্ট ফিৎসোর শারীরিক অবস্থার উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয়। রবার্ট কালিনাক বলেন, আমরা ধীরে ধীরে একটা ইতিবাচক অবস্থার দিকে যাচ্ছি। তবে প্রথমদিকে তাঁর অবস্থা ছিল খু্বই খারাপ। পেটে গুলে লাগলে তা প্রাণঘাতী। চিকিৎসকেরা সেই আশঙ্কা কাটিয়ে ওঠা ও শারীরিক অবস্থা আরও স্থিতিশীল করে তুলতে পেরেছেন। তবে ফিৎসো এখনো বড় ধরনের জটিলতায় পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। গুলি লাগার ক্ষত সবসময় গুরুতর। এতে অনেক ঝুঁকি তৈরি হয় যা ৪ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ফিৎসোকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিস্লাভায় নেওয়ার দরকার নেই বলেও জানান কালিনাক। উপপ্রধানমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিছুটা যোগাযোগ করা যাচ্ছে। আপাতত তার দায়িত্ব হস্তান্তর করার প্রয়োজন নেই।
মন্তব্য করুন
মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তানে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের জেরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শুরু হয়েছে। এতে দেশটির রাজধানী বিশকেকে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও হামলার শিকার হচ্ছেন। যার ফলে সেখানে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে বাংলাদেশের অন্তত ৮০০ মেডিকেল শিক্ষার্থীর।
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। তবে প্রতিবেশী দেশ উজবেকিস্তানে থাকা দূতাবাস কিরগিজস্তানের দায়িত্ব পালন করে থাকে। এ ঘটনার পর দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিদের সঙ্গে দূতাবাসটি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে তাদের।
এমন পরিস্থিতিতে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব কিরগিজস্তানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তানভীর মেহরাব বাংলাদেশি এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এখানকার বর্তমান পরিস্থিতি ভালো না। আমরা এখানে নিরাপদে নেই।
তিনি বলেন, গতকাল হোস্টেলে স্থানীয়রা আক্রমণ করেছিল। আজকে আক্রমণ করা হচ্ছে আমরা যারা হোস্টেলের বাইরে বিভিন্ন বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি তাদের ওপর। বাসায় এসে দরজাতে নক করা হচ্ছে। আমরা খাবার কিনতে নিচে যেতে পারছি না।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে স্থানীয়দের সঙ্গে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মিসরীয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। তবে ঠিক কী কারণে সংঘর্ষের সূত্রপাত, তা এখনো জানা যায়নি। এর পরই দেশটিতে থাকা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও মিসরের শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাসগুলোতে হামলা চালাচ্ছে স্থানীয়রা। শহরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদেশিদের মারধর ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকি মেডিকেল কলেজগুলোর হোস্টেলে তারা ঢুকে পড়ছে। ছাত্রীদের হেনস্তা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। শহরজুড়ে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, হামলায় তিন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সংঘর্ষের পর বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সে দেশে তাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃবিতে জানায়, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যেকোনো পরিস্থিতিতে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য জরুরি নম্বর (+৯৯৮৯৩০০০৯৭৮০) চালু করা হয়েছে।
দূতবাস জানিয়েছে, দেশটিতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে দূতাবাস। সরকারি তথ্যমতে, সেখানকার পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে।
কিরগিজস্তান বাংলাদেশী শিক্ষার্থী
মন্তব্য করুন
মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি এখন ব্রিটেনেও সবচেয়ে জনপ্রিয় নামের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মোহাম্মদ। মোহাম্মদ নামটি যেন মনে প্রশান্তি নিয়ে আসে।
শনিবার (১৮ মে) সরকারি তথ্য ঘেঁটে এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটির নতুন রাজা চার্লসের নাম মাঝখানে ছেলে শিশুদের জনপ্রিয় ১০০ নামের তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল। কিন্তু এখন, আর আগের অবস্থানে নেই এই নামটি। ব্রিটেনে ইউরোপীয় স্টাইলের নামের পাশাপাশি ধর্মীয় নাম রাখার প্রবণতাও বাড়ছে।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে শিশুদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নামের তালিকায় এখনো শীর্ষে রয়েছে অলিভিয়া ও নোয়া। এ ছাড়া ফ্রেঞ্চ নাম ওটিলিয়ে ও এলোডিয়ে, গ্রিক অফেলিয়া ও আইরিশ মেইভের মতো নাম মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ২০২২ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে জনপ্রিয় নামের তালিকা ঘেঁটে এমন চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে।
২০২৩ সালের মে মাসে নতুন রাজার অভিষেক হওয়ার পর চার্লস নামটির জনপ্রিয়তা বেশ বেড়ে যায়। তবে তা ছিল সাময়িক। ইংল্যান্ডে এবং ওয়েলসে মেয়ে শিশুদের পছন্দনীয় ১০টি নাম হচ্ছে- অলিভিয়া, আমেলিয়া, ইসলা, আভা, লিলি, আইভি, ফ্রেইয়া, ফ্লোরেন্স, ইসাবেলা ও মিয়া। আর ছেলে শিশুদের শীর্ষ ১০ নাম হচ্ছে- নোয়া, মুহাম্মদ, জর্জ, অলিভার, লিও, আর্থার, অস্কার, থিওডোর, থিও ও ফ্রেডি।
মন্তব্য করুন
চন্দ্রাভিযানে ইতিহাস গড়ার পর এবার মঙ্গল যাত্রায় মন দিয়েছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। মঙ্গল যাত্রার জন্য তৈরি হচ্ছে ইসরো। আর এতেই লাল গ্রহে অবতরণকারী তৃতীয় দেশ হতে যাচ্ছে ভারত।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলযানের প্রথম অভিযান আগে থেকেই ঠিক করা হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় অভিযান অনেকটাই আলাদা হবে। ভারতের মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা ইসরো এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেবে। সম্প্রতি ন্যাশনাল টেকনোলজি ডে-র দিন এই বিষয়ে একটি প্রোজেক্ট প্রেজেন্টেশন করে ইসরো। সেখানেই প্রকাশ পেয়েছে পরিকল্পনাটি।
জানা গেছে, মঙ্গলযানের জন্য স্কাই ক্রেন, সুপারসনিক প্যারাসুট, হেলিকপ্টার ও রোভারের ব্যবস্থা করবে ইসরো। এর আগে মঙ্গলে অবতরণ করতে এই পদ্ধতি বা প্রযুক্তির অবলম্বন করেছিল আমেরিকা ও চীন। এবার আমেরিকা ও চীনের মতোই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ভারত।
মন্তব্য করুন
এবারের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে দাদা রাহুল গান্ধী লড়ছেন নির্বাচনে। গণমাধ্যমকে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, দলের হয়ে প্রচার চালানোর জন্যই তিনি প্রার্থী হননি। প্রিয়াঙ্কা এবং রাহুল গান্ধী দুজনেই ভোটে প্রার্থী হলে সেটা বিজেপির জন্য সুবিধাজনক হয়ে যেতো বলে মনে করেন তিনি।
প্রিয়াঙ্কা জানান, নির্বাচন উপলক্ষ্যে গত ১৫ দিন ধরে রায়বেরিলিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে রায়বেরিলির সম্পর্ক অনেক দিনের। তাই এখানকার জনগণ আশা করে, আমরা এখানে আসব। তাদের সঙ্গে দেখা করব। ভালোমন্দের খবর নেবো। আমরা এখানে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে জিততে পারি না।
গান্ধী পরিবারের ঘাঁটি উত্তর প্রদেশের রায়বেরিলি থেকে ভোটে লড়ছেন রাহুল। এর আগে এ আসনে প্রার্থী হতেন তার মা, সোনিয়া গান্ধী। চলতি বছরের শুরুতে সোনিয়া রাজ্যসভায় চলে যান। মায়ের ছেড়ে আসা আসনেই লড়ছেন রাহুল।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, দুই ভাইবোন ভোটে লড়লে, দুজনকেই নিজেদের কেন্দ্রে অন্তত ১৫ দিন থাকতে হত। তাই আমরা ঠিক করি, একজন পুরো দেশে প্রচার চালাবে। সেটা দলের জন্য খুব ইতিবাচক হবে। দলীয় স্তরে আলোচনা করেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ভবিষ্যতে ভোটে লড়বেন কী না জানতে চাইলে কৌশলে তা এড়িয়ে যান প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, আমি কখনই সংসদীয় রাজনীতি করা কিংবা ভোটে লড়ার কথা ভাবিনি। দল আমাকে যা দায়িত্ব দেবে, সেটাই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবো। যদি মানুষ চায় তাহলে আমি অবশ্যই ভোটে লড়ব।
মন্তব্য করুন
এখনো গুরুতর শারীরিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী বরার্ট ফিৎসোর। তার এখনো বড় জটিলতায় পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে তার শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা স্থিতিশীল। শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। গত বুধবার স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে রবার্ট ফিৎসোকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাকে খুব কাছ থেকে পাঁচটি গুলি করা হয়। এ ঘটনায় পুরো ইউরোপ স্তম্ভিত। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার এই ঘটনাকে দেশটিতে রাজনৈতিক বিভক্তি বাড়ার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি এখন ব্রিটেনেও সবচেয়ে জনপ্রিয় নামের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মোহাম্মদ। মোহাম্মদ নামটি যেন মনে প্রশান্তি নিয়ে আসে। শনিবার (১৮ মে) সরকারি তথ্য ঘেঁটে এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটির নতুন রাজা চার্লসের নাম মাঝখানে ছেলে শিশুদের জনপ্রিয় ১০০ নামের তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল। কিন্তু এখন, আর আগের অবস্থানে নেই এই নামটি। ব্রিটেনে ইউরোপীয় স্টাইলের নামের পাশাপাশি ধর্মীয় নাম রাখার প্রবণতাও বাড়ছে।