নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২২ জুন, ২০১৮
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তার ৭০ বছরে পা রাখছে। সেই উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আগামীকাল (আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিন) ২৩ জুন সকাল ১০ টায় গণভবনে একটি বর্ধিত সভার আয়োজন করেছে। এই বর্ধিত সভাটি ঘন্টা দুয়েক চলবে। এরপর মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্য দিয়ে সভার শেষ হবে। একই দিনে পার্লামেন্টের অধিবেশনও ডাকা হয়েছে। পার্লামেন্টেও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় মাসেরও কম সময় বাকি আছে। এই বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের জেলা উপজেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ডাকা হয়েছে। বলা হচ্ছে এই বর্ধিত সভা আওয়ামী লীগের স্মরণকালের সব চেয়ে বড় বর্ধিত সভা হবে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সুত্র গুলো থেকে জানা যায়, এই বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ দফা নির্দেশনা প্রধান করবেন দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে।
আগামী কাল প্রধানমন্ত্রী তার বর্ধিত সভার বক্তব্যে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি গুরুত্ব দিবেন তা হল, আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের কৌশলপত্র উপস্থাপন করবেন। আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন নির্বাচন। আগামী নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা ২০২১ সালে বাংলাদেশের রজত জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর শততম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন করবে। কাজেই এই মহেন্দ্রক্ষনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়। নির্বাচনে জেতার জন্য যা যা করা দরকার আগামী কাল প্রধানমন্ত্রী সেই দিক নির্দেশনাই দেবেন নেতা কর্মীদের।
প্রধানমন্ত্রী বর্ধিত সভায় যে ৫ দফা নির্দেশনা দিবেন তা হচ্ছে:
প্রথম নির্দেশনা: দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা। দলের মধ্যে কোন রকম কোন্দল নয়। যে প্রার্থীকে যেখানে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে দল যেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে, সেজন্য তিনি কঠোর বার্তা প্রদান করবেন। এ বিষয়ে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করা হবে।
দ্বিতীয় নির্দেশনা: আওয়ামী লীগ গত দশ বছর ক্ষমতায় থাকা কালে যে উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজ করেছে তা প্রচারের জন্য প্রত্যেক নেতাকর্মীকে দায়িত্ব নিতে হবে। বাংলাদেশ যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অনেকদূর এগিয়ে গেছে তা যেন সকলের কাছে প্রচার করে জানিয়ে দেওয়া হয়।
তৃতীয় নির্দেশনা: বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে সে অপকর্ম করেছে, দেশের যে ক্ষতি করেছে, দেশে যে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল, হাওয়া ভবনের মাধ্যমে লুটপাট, বিএনপির সন্ত্রাস, দূর্নীতিতে চাম্পিয়ান হয়েছিল, এই বিষয়গুলো যেন জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হয়।
চতুর্থ নির্দেশনা: বর্তমান সময়ে তরুণরা অনেক বেশি প্রযুক্তি ঘেঁষা। ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি অনেক বেশি। তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি বেশি প্রচার- প্রচারণা চালানো।
পঞ্চম নির্দেশনা: সর্বশেষ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন নির্দেশনা হচ্ছে আওয়ামী লীগের যে সমস্ত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময় এলাকায় প্রশাসন ও জনগণের সঙ্গে বিশৃঙ্খল আচরণ করেছে সেগুলো যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয়। জনগণ যেন কোন কারণে আওয়ামী লীগের উপর ক্ষুদ্ধ না হয়। স্থানীয় জনগণের সাথে মার্জিত ও ভদ্র আচরণ করা। জনগণের প্রভু নয় সেবক হিসেবে কাজ করা।
জানা যায় আগামী কালের বর্ধিত সভার পর থেকে আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর এই পাঁচ দফা অনেক বড় ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Read in English- https://bit.ly/2IlcDjg
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।