ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অধিনায়ক থেকে প্রধানমন্ত্রী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২১ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

গোটা বিশ্ব তাঁকে চিনতো একজন প্লেবয় হিসেবে, যিনি ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে লাহোরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া ইমরান খান অক্সফোর্ডে দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ১৮ বছর বয়সে যুক্তরাজ্যেই পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি।

ব্যাট ও বল হাতে সমান পারদর্শী ইমরানকেই ক্রিকেটে পাকিস্তানের পরাশক্তি হয়ে ওঠার অন্যতম কারিগর বলা হয়। ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়ার পর দেশের বির্পযস্ত অবস্থায় সেই ইমরানই রাজনীতির মাঠে আবির্ভূত হন। তবে তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের মূল বাধা ছিল নিজের ব্যক্তিগত জীবন। বিয়ে করেছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য জেমিমা গোল্ডস্মিথকে। ধর্মান্তরিত হওয়া জেমিমার সঙ্গে তাঁর ৯ বছরের সংসারের ইতি ঘটে ২০০৪ সালে। ২০১৫ সালে তিনি বিয়ে করেন পাকিস্তানি সাংবাদিক রেহাম খানকে, যে বিয়ের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র কয়েক মাস। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে একসময়কার এই হার্টথ্রব ক্রিকেটার বিয়ে করেন তাঁর আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু বুশরা মানেকাকে।

ইমরান খানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের চেয়েও দীর্ঘ। জীবনের একটা সময়ে নাইটক্লাবে সুপারমডেলদের নিয়ে মত্ত থাকা ইমরান রাজনীতিতে এসে অনেক পরিণত হয়েছেন, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। পাকিস্তানে রাজনীতি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে রাজনীতি নিরাপদ নয়। যদিও ইংল্যান্ডে এটা এক টুকরো কেকের মতো, আর যুক্তরাষ্ট্রেও অনেক সহজ একটি বিষয়। তবে এখানে আপনাকে মাফিয়াদের সঙ্গে লড়তে হবে, আর প্রাণ হারানোর আশঙ্কা তো আছেই।’

২৫ জুলাইয়ের সাধারন নির্বাচনের মাধ্যমে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসবে নতুন সরকার। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে পাকিস্তানের দুই রাজনৈতিক পরাশক্তিকে হারিয়েই ইমরানের পিটিআই পার্টিকে ক্ষমতায় আসতে হবে। ২০ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তানকে তিনি দুর্নীতিমুক্ত করে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হবার দারপ্রান্ত থেকে তুলে আনবেন বলে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

অনেকেই তাকে তালেবানের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কঠোর না হবার জন্য সমালোচনা করে থাকেন। ২০১৪ সালে পেশোয়ারের এক স্কুলে ১৪৯ জনকে হত্যা করা হয়, যার মধ্যে ১৩২ জনই ছিলো শিশু, এমনকি তালেবানরা নিজেরাই এর দায় স্বীকার করেছিলো। ২০১৬ সালে ইমরানকে ওসামা বিন লাদেন সন্ত্রাসী ছিলেন কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অনেকেই তাঁকে তালেবান খান বলে অভিহিত করে থাকেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের উদয় হয় রাজনীতি থেকেই, ধর্ম থেকে নয়।’

গত বছর সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দুর্নীতি প্রকাশ পাবার পর পাকিস্তানের অধিকাংশ জনগণ প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দলের ওপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ। ইমরান এটাকেই তার শক্তি হিসেবে দেখছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক জনসমর্থণের ওপর ভর করে, হাইকোর্টে পিটিশনের মাধ্যমে নওয়াজকে রাজনীতি থেকে আপাতত নির্বাসনে পাঠাতে সফলও হয়েছেন তিনি।

পারমানবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ পাকিস্তানে বর্তমানে অর্থনৈতিক সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বাণিজ্য ঘাটতি ৩৬ বিলিয়নের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। সরকারি তথ্যমতে, দেশটির ২৯.৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে এবং শিক্ষার হার মাত্র ৫৮ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্র ১৬ বছর ধরে আফগানিস্তান যুদ্ধের সাপ্লাই রুট হিসেবে পাকিস্তানকেই ব্যবহার করে আসছে। পাক সামরিক বাহিনীও যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দেয়। কিন্তু নিজেদের প্রয়োজনে তালেবানের মতো সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকেও লালনপালন করে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ২০১৮ সালের প্রথম টুইটবার্তায় বলেছিলেন, পাকস্তানকে দেওয়া ৩৩ বিলিয়ন ডলারের সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র মিথ্যা আর বেঈমানি ছাড়া আর কিছুই পায়নি। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা সহায়তা বাবদ দেশটিকে দেওয়া ২ বিলিয়ন ডলারের অনুদান বাতিল করেছেন। পাকিস্তান বিনামূল্যে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে সেগুলোও প্রত্যাহার করতে চান বলে জানিয়েছেন।

ইমরান বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানকে ব্যবহার করেছে। বিনিময়ে যা পেয়েছে তা হলো, ৭০ হাজার পাকিস্তানির মৃত্যু, ১০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং দুর্বল হয়ে পড়া জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।  যুক্তরাষ্ট্রের দাসত্ব বরণ করার বিরুদ্ধে হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে তিনি বিক্ষোভও করেছেন।

ট্রাম্প সম্পর্কে ইমরানের মন্তব্য হলো, তিনি একজন উম্মাদ এবং ইসলাম সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই নেই। মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়ে এবং বেশ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তিনি বিশ্বজুড়ে ইসলামভীতি জাগিয়ে তুলতে চাচ্ছেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বিরুদ্ধে থাকলেও ইমরান নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বলে মনে করেন না। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তে প্রতিবেশী পরাশক্তি ও ইসলামাবাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার চীনের দিকেই তাঁর দৃষ্টি থাকবে। পাকিস্তান চীনা অস্ত্রের বৃহত্তম ক্রেতারাষ্ট্র। বেইজিংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ককে ইমরান একটি আকর্ষণীয় সুযোগ হিসেবেই দেখছেন।

নির্বাচনে ইমরানের জয়লাভ করার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবুও তিনি ২০১৩ সালের নির্বাচনের চেয়ে বেশি সমর্থন পাচ্ছেন, সেবার তার দল পিটিআই তৃতীয় সর্বাধিক ভোট পেয়েছিল।

উইড্রো উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, এবারের নির্বাচনে পিটিআই যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে। এর কারণ ইতিমধ্যেই ইমরান একজন দুর্নীতিবিরোধী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিতি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।

ইমরান অবশ্য কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক কিংবা কোনো জরিপকারী প্রতিষ্ঠানের তথ্যকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাঁর মতে, মিডিয়া ও জরিপে জনমতের ভুল চিত্রও প্রকাশ পেতে পারে, যেটা ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে হয়েছিল। তবে তাঁর রক্ষণশীল নীতি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নিজের অনুকূলে ব্যবহার করার কারণে অনেকেই তাকে ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করছেন।

অনেকেই যে প্রশ্নটি করছেন সেটা হলো, ইমরান কি তবে ‘পাকিস্তানি ট্রাম্প’ হতে যাচ্ছেন? বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের এমন একটি প্রশ্নের উত্তরে এই কিংবদন্তি হেসে বলেন, আমি ট্রাম্পের ঠিক উল্টোটা। আমাকে বরং বার্নি স্যান্ডার্সের সঙ্গে তুলনা করা যায়।’

সূত্র: টাইম

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিনপন্থি প্রধানমন্ত্রীকে গুলির নেপথ্যে পশ্চিমা শক্তি?

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন কূটনীতি আর রাজনীতিতে পরাজিত হয় তখন গুপ্তহত্যার মতো ঘৃণ্য পথ বেছে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবে না । তারই সবশেষ নজির দেখা গেল পুতিন ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভাকিয়ায়।

পুতিনকে সমর্থন করার মূল্য হয়তো নিজ জীবন দিয়েই দিতে হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে। বুধবার এক সরকারি বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর তাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেন এই হত্যাচেষ্টা?

স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সরকারি বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর রবার্ট ফিকোকে লক্ষ্য করে গুলি করে এক বন্দুকধারী। সময় তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়, বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার।

ঘটনাস্থল থেকেই ওই বন্দুকধারীকে আটক করা হয়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ ফিকোকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি কালো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে একজনকে হাতকড়া পরায় পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক জানান, গুলির ঘটনায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ফিকোর। স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় আটক সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

গেল সেপ্টেম্বরে স্লোভাকিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় ফিকোর দল স্মের–এসডি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন ফিকো। তারপরই জানুয়ারিতে তিনি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন।

ছাড়া তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ঘোর বিরোধিতা করে আসছিলেন স্লোভাক রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে তাতেও বিরোধিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ফিকোর এমন মস্কোপন্থি অবস্থানের কট্টর সমালোচনা করে আসছিল পশ্চিমারা।

ফিকোর ওপর এমন ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের অধিপতি জানান, এই বর্বরোচিত অপরাধের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। সময় স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাহসী এবং শক্ত মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।


পুতিনপন্থি   প্রধানমন্ত্রী   পশ্চিমা শক্তি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা, শীতল লাভায় ৬৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।

শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয়ায় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলোএই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

বৃষ্টি, হড়কা বান লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।


ইন্দোনেশিয়া   বন্যা   শীতল লাভা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানি রকেট ৪০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অত্যাধুনিক রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ফাতাহ- নামের এই রকেটটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্র পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সফলভাবে ফাতাহ- গাইডেড রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই রকেট সিস্টেমের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।

রকেট সিস্টেমটি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটির সেনাবাহিনীর প্রচলিত অস্ত্রাগারের নাগাল এবং প্রাণঘাতী সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করবে।

দ্য ডন বলছে, গাইডেন্স সিস্টেম এই রকেটটিকে নির্ভুল অস্ত্র করে তুলেছে। কারণ এর ফলে অস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্র্যাজেক্টোরি মোড এবং টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির ফলে এই রকেটটি শত্রুর অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমও এড়াতে সক্ষম।

পরীক্ষার পর ফাতাহ- রকেটটিকে এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং এটি এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী প্রকৌশলীরা এই রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন।


পাকিস্তানি   রকেট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২৫০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।

একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ১৬ শ্রীলঙ্কান নিহত

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নিয়ে পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ১৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা তেনাকুন বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা বলেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে শ্রীলঙ্কার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া শুরু করেন এবং পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনীর মোট ২৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করেছেন। নিহত ১৬ জন এই ২৮৮ জনের মধ্যেই পড়েন।

অবসরপ্রাপ্ত এই সেনারা কোন পক্ষে যোগ দিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তা স্পষ্ট করেননি প্রামিথা, তবে শ্রীলঙ্কায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা গামিনি ওয়ালেবোদা জানিয়েছেন, সাবেক এই সেনা সদস্যদের অধিকাংশই রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা পেনাকুন বলেন, যুদ্ধে সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনের সরকারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সরকারের কোনো চুক্তি হয়নি। তাই যে চক্রটি সেনাদের রিক্রুট করছে, তারা মানবপাচারকারী। শ্রীলঙ্কার সরকার এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক সেনা সদস্যদেরও মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই আমাদের বন্ধু। যেসব নাগরিক সেখানে রয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি।


রাশিয়া   ইউক্রেন   শ্রীলঙ্কা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন