ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির সামনে সমঝোতার বড় সুযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত ডিপ্লোম্যাটিক কোরের বৈঠকে দেশগুলোর কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য বিএনপির সামনে এক সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। দেশগুলোর কূটনীতিকদের মতে, জাতীয় শোক দিবস এখন বাংলাদেশে সাংবিধানিক ভাবে স্বীকৃত এবং রাষ্ট্রীয় ভাবেই অনুমোদিত। বিএনপি যদি এবার শোক দিবস পালন করে তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার একটি দ্বার উন্মোচিত হতে পারে।

কূটনীতিকদের মতে, শোক দিবস পালনের অংশ হিসেবে বিএনপি নেতারা বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতে পারে অথবা পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারে। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারে বিএনপি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখতে পারে। এছাড়া শোক দিবস উপলক্ষে নূন্যতম একটি আলোচনা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করতে পারে বিএনপি। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির একটি রাজনৈতিক সমঝোতার পথ তৈরি হতে পারে।

কূটনীতিকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ১৫ আগস্ট আর কোনো বিভেদের ইস্যু নয়। কারণ একমাত্র বিএনপি ও কিছু দক্ষিণ-পন্থী দল দেশের প্রায় সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলই ১৫ আগস্ট শোক দিবস হিসেবে পালন করে। 

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে বিএনপি যদি ১৫ আগস্টে শোক দিবস পালন করে তাহলে কূটনীতিকদের জন্যও একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়। তারা সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করার একটি ইস্যু পায়। তারা বলতে পারে, বিএনপি তো এখন মূল ধারায় ফিরে এসেছে। কূটনীতিকদের মতে, এতে দুই দলের মধ্যে রাজনৈতিক ব্যবধানটাও দূর হবে। একটি সমঝোতায় জায়গায় পৌঁছা যাবে। এখন সমঝোতার পথটি একমাত্র বিএনপিই উন্মুক্ত করতে পারে। শোক দিবস পালনের মধ্যে বিএনপিরই ইমেজ বাড়বে এবং এতে দলটির কোনো রাজনৈতিক ক্ষতি হবে না বলেই বিশ্বাস পশ্চিমা কূটনীতিকদের।

এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে কূটনীতিকরা বলেছেন, অনেক দেশেই বিরোধী দলের হয়েও দেশের প্রতিষ্ঠাতার জন্য অনুষ্ঠান উদযাপনের অনেক উদাহরণ আছে। প্রতিবেশী ভারতেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলেও কংগ্রেস নেতা মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু এমনকি ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর জন্ম-মৃত্যু উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন করে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। শুধু বিজেপিই নয় ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক দলই ভারতের স্বাধীনতায় অবদান রাখা কংগ্রেসের নেতাদের জন্ম-মৃত্যু পালন করে। সেখানে বিএনপি যদি জাতির পিতাকে স্বীকার না করে তাহলে তখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমঝোতার জায়গাটি অপূর্ণই রয়ে যাবে।

বিএনপি বারবার বলছে তারা সমঝোতা চায়। তাই কূটনীতিকরা বলছেন, বিএনপি যদি সত্যিই সমঝোতা চায় তাহলে তাদের শোক দিবস পালনের মাধ্যমে সমঝোতার জন্য বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। তখন জনগণের পক্ষ থেকেও রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য একটি চাপ তৈরি হবে। কারণ বিএনপি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে, তারা ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন করে না। বরং জন্মদিন উদযাপন করে। তারা জাতির পিতার খুনিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল। তারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করেনি। আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই হত্যা করতে চেয়েছিল।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকের পক্ষ থেকে প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান ও ড. মঈন খানের সঙ্গে কথা বলেছেন কূটনীতিকরা। এই দুই বিএনপি নেতা কূটনীতিকদের বলেছেন, দলীয় ফোরামে আলোচনা ছাড়া বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনায় যেতে রাজি নয় তারা।

এদিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করেছেন কূটনীতিকরা। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীর সঙ্গে কূটনীতিকদের কথা হয়েছে। বিষয়টি ভালো উদ্যোগ উল্লেখ করে ড. গওহর রিজভী কূটনীতিকদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোনো ব্যক্তির নন, কোনো দলেরও নন, তিনি সমগ্র বাংলাদেশের। জাতির পিতার জন্য শোক দিবস পালন বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। যারা জাতির পিতাকে মানেনা, তারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করবে কীভাবে? আর তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা বা সংলাপে কীভাবে বসবে আওয়ামী লীগ?

ড. গওহর রিজভী কূটনীতিকদের আরও বলেন, বিএনপি যদি তাদের ভুল রাজনৈতিক পথ থেকে সরে এসে আসে, তবেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক ধারার সূচনা হবে। তখন রাজনৈতিক সমঝোতার একটি পথও উন্মুক্ত হবে।

শোক দিবস পালনের কূটনীতিকদের প্রস্তাবে বিএনপির সিদ্ধান্ত এখনো জানা যায়নি। তবে শোকের মাস শুরু হতে আর এক সপ্তাহ মাত্র বাকি। তাই বিএনপির কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিগগিরই জানা যাবে তারা রাজনৈতিক সমঝোতার পথে হাঁটছে নাকি বৈরীতার।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন বাম নেতা

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন ৭১ জন। তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব, বর্তমান বিচারপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তালিকায় প্রবীণ রাজনীতিক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মো. মঞ্জুরুল আহসান খানের নাম রয়েছে।

সরকারের আর্থিক সহায়তায় হজ পালনে যাওয়া ব্যক্তিদের নামে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে তারা আগামী ৬ জুন সৌদি আরব যাবেন। হজ শেষে তাদের দেশে ফেরার কথা আগামী ১০ জুলাই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এতে সরকারের খরচ হবে প্রায় তিন কোটি টাকা।

এবার সরকারি খরচে হজে যাওয়া ব্যক্তিরা বিমানের টিকিট বাবদ ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা জমা দেবেন। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩৫ হাজার টাকা করে হজ অফিসে জমা দিতে হবে খাওয়া বাবদ।

উল্লেখ্য, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মনজুরুল আহসান খানকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টার পদ থেকে স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সরকারি খরচ   হজ   মঞ্জুরুল আহসান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাষ্ট্র-বিএনপির সম্পর্কে দূরত্ব কেন?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। আজ তিনি আওয়ামী লীগের বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হবেন। এছাড়াও তিনি সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাতেরও কথা রয়েছে। আর এই সফর সূচিতে বিএনপির সঙ্গে তাদের কোনো বৈঠক নেই। বিএনপি এখন ডোনাল্ড লু কে নিয়ে সুর পাল্টেছে, ভিন্ন সুরে কথা বলছেন।  


বিএনপি নেতারা বলছেন, ডোনাল্ড লু’র ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ নেই। এই সফর নিয়েও তারা উৎসাহি নয়। কিন্তু এর আগে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তখন বিএনপির উত্তেজনা এবং আগ্রহ কেউ চাপিয়ে রাখতে পারেনি। বরং বিএনপির নেতারা এ নিয়ে তাদের আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছিলেন। সেই সময় বিএনপি নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে হটিয়ে দিবে এমন প্রত্যাশায় বিভোর ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটি হয়নি। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের এক ধরনের ফাটল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গেও বিএনপি নেতাদেরকে মাত্র দু’টি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে দেখা গেছে। 

আফরিন আখতার বাংলাদেশের সফরে এলে বিএনপি নেতারা ওয়েস্টিন হোটেলে একটি বৈঠক করেন৷ তবে সেই বৈঠক ইতিবাচক ছিল না। তাছাড়া এখন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকেও বিএনপির সঙ্গে আগের মতো আর যোগাযোগ করা হয় না। তাহলে কি বিএনপি-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ফাটল ধরেছে? বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে?

এরকম প্রশ্নের উত্তরে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, নানা কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর এটি বোঝার কারণেই বিএনপি এখন নিজেদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। 

অন্যদিকে বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করেছে এবং বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির কারণে প্রতারিত হয়েছে। 

বিএনপির নেতা গোলাম মাওলা রনি বিভিন্ন টকশোতে বলছেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন বিএনপি তা বুঝতে পারেননি।’ আর এ ধরনের বক্তব্য এখন বিএনপির প্রায় সব নেতাই করছেন।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য ভারতের পক্ষে কাজ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা এই ধরনের বক্তব্যের কোনো যৌক্তিকতা পায়নি। তবে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এই দূরত্বের কারণ একাধিক। 


১.  ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক এবং এই নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করে। বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছিলো। কিন্তু বিএনপি তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র ক্ষমতার পালাবদলের অন্য কোন উপায় নেই। বিএনপির এই নির্বাচনে না যাওয়াটাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একপ্রকার হতাশা হিসেবে দেখছে। 

২. বিএনপির নেতৃত্বশূন্যতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ওপর কিছুটা বিরক্ত বলেও কূটনৈতিক মহল আভাস দিয়েছেন। কারণ তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো কোন নেতা নেই। বিএনপির কাছে যখন কোন সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয় তখন বিএনপি নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। দলে যারা ক্রিয়াশীল এবং যারা কাজ করছেন তারা কেউই বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে নেই। আর একারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উপর আস্থা রাখতে পারছে না।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস 

৩. জামায়াতের সাথে সম্পর্ক: তারা আবার স্বাধীনতা বিরোধী, উগ্র মৌলবাদি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে আর তাই তারা এখন বিএনপির ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহী নয়।


বিএনপি   লু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।


বিএনপি   নেতানিয়াহু   দোসর   হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হযতর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যান তারা। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা দুইজনই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা কবে দেশে ফিরবেন সেটা এখনি বলতে পারছেন না তিনি। 


সিঙ্গাপুর   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতির পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে  বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?  

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।


মার্কিন স্যাংশন   ভিসানীতি   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন