নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ৩১ জুলাই, ২০১৮
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রাজশাহী ও বরিশালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হলেও সিলেটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পরাজিত হয়েছেন। অনেকটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই সিলেটে পরাজিত হয়েছেন কামরান। রাজশাহী ও বরিশালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের যতটা শক্তিশালী ক্যান্ডিডেট মনে করা হচ্ছিল, তারচেয়েও বেশি শক্তিশালী ক্যান্ডিডেট মনে করা হচ্ছিল কামরানকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিততে পারলেন না তিনি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে পরাজিত হলেন কামরান।
সিলেটে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মতে, জনপ্রিয়তার কারণে জেতেননি আরিফুল হক চৌধুরী। বরং দলীয় কোন্দলের কারণেই হেরেছে আওয়ামী লীগ।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর ভাষ্যমতে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই জেলায় এমপি বলয় এবং এন্টি এমপি বলয় তৈরি হয়। এছাড়া বিভিন্ন গ্রুপ এবং উপগ্রুপেও বিভক্ত হয়ে পড়ে জেলা আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের গ্রুপিংও দলের মধ্যে স্বাভাবিক ভাতৃত্বের পরিবেশ নষ্ট করেছে। যে কারণে আপাতদৃষ্টিতে সব ঠিকঠাক মনে হলেও ভেতরে ভেতরে সিলেট আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অসহযোগিতার মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। আর নিজ দলের ভেতর থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা না পাওয়াকেই কামরানের পরাজয়ের কারণ বলে মনে করছেন তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রের নেতাকর্মীরা। অনেকে এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ‘দলের স্বার্থে সিলেটের নেতারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারল না’, ‘সিলেট আওয়ামী লীগের ভেতরে মোশতাক ঢুকেছে’ – এমন মন্তব্যও করেছেন অনেকে।
সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ছাড়াও সিলেট থেকে এবার মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলোয়ার, অধ্যাপক জাকির হোসেন এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ। কামরান তাঁদের কাছ থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে যথেষ্ট সহযোগিতা পাননি বলে মন্তব্য করছেন অনেকে।
এমন অভিযোগও উঠেছে, ছাত্রদলের ছেলেদের নৌকার কার্ডও দেওয়া হয়েছিল। গতকালের নির্বাচনে নৌকায় স্লোগান দিয়ে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে সিলেটে।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৩২ টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান পেয়েছেন মোট ৮৫,৮৭০ ভোট। বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ৯০,৪৯৬ ভোট পেয়ে মাত্র ৪,৬২৬ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। অপরদিকে দুইটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে। ভোটের ফলাফল অনুযায়ী আবারও আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটের মেয়র নির্বাচিত হলেন।
সিলেট মোট ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন। ভোটকেন্দ্র ১৩৪টি ও ভোট কক্ষ ৯২৬টি। এই সিটিতে মেয়র পদে অংশগ্রহণ করেছেন মোট ৭ জন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।