নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০১৮
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ উদযাপন ও ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ আরও অনেকে।
প্রধানমন্ত্রী আসার কিছুক্ষণ আগেই অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তখন তাঁকে দেখে রেলমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীরা কটাক্ষ করে বলেন, ‘সিলেটে তো আপনিই জিতে গেলেন।‘
গতকাল অনুষ্ঠিত তিন সিটি নির্বাচনের মধ্যে একমাত্র সিলেটেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পরাজিত হয়েছেন। সেখানে বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে স্বল্পতম ব্যবধানে হারেন তিনি। এই পরাজয়ের কারণ হিসেবে আরিফের জনপ্রিয়তা নয় বরং সিলেট আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলকে দায়ী করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। আর এই কোন্দল সৃষ্টির পেছনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ভূমিকাই মূখ্য বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। অর্থমন্ত্রীকে বলা মন্ত্রীদের ওই বক্তব্যে সেটাই ফুঁটে উঠেছে।
অনেক দিন ধরেই প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অনেক ভালো সম্পর্ক। আরিফ যখন মেয়র ছিলেন সে সময় অর্থমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় সিলেটে অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়। কামরান সিলেট আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা কিন্তু মুহিত ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কামরানের ঐতিহাসিক বিরোধ রয়েছে। সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে কামরানকে মনোনয়ন দেওয়ার পর মুহিত ও তাঁর অনুসারীরা কামরানের পক্ষে কাজ করেনি বরং তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির আরিফুল হকের পক্ষে কাজ করেছেন। এছাড়া আরিফের সঙ্গে মুহিত ও তাঁর পরিবারের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্কও রয়েছে। সিলেট থেকে তিনি নিজের ছোট ভাই ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে মনোনয়ন দিতে চান। রাজনীতিবিদদের মনোনয়ন না দিয়ে অর্থমন্ত্রী সাবেক এই আমলাকে মনোনয়ন দিতে ইচ্ছুক, এই নিয়ে সিলেটে সন্দেহ ও অসন্তোষ রয়েছে।
এসব কারণে সিলেটে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের জন্য অর্থমন্ত্রীর সৃষ্ট বিভেদকে দায়ী করা হচ্ছে। গতকাল অর্থমন্ত্রী হেলিকপ্টারে চড়ে ভোট দিতে যান। অথচ এর আগে সিলেটে নির্বাচনী কার্যক্রমেও তাঁকে অংশ নিতে দেখা যায়নি। এই কারণেই অর্থমন্ত্রীকে অন্য মন্ত্রীরা কটাক্ষ করেন। এই নিয়ে গতকাল বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
দলীয় কোন্দল নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অনেক দিন ধরেই সতর্ক। এই উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পাঁচ সিটি নির্বাচনে দলীয় কোন্দল মোকাবেলায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজমত উল্লাহ খানকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়া হলেও জাহাঙ্গীর আলমের সপক্ষে কাজ করার পুরস্কারস্বরূপ তাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বানানো হয়।
এছাড়া খুলনা সিটি নির্বাচনের আগে খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশীদি সুজার মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা বিবেচনা করে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যারাই দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করবে তাঁদের শাস্তি দেওয়া হবে। যার ফলে খুলনায় আওয়ামী লীগের বিজয় হয়। এছাড়া বরিশালে নগরীর প্রয়াত মেয়র হিরণর স্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ হিরণকেও দারুনভাবে সামলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
কিন্তু সারা দেশের তরুণ নেতাদের দলীয় কোন্দল মেটাতে পারলেও ডাকসাইটে মন্ত্রীদের সৃষ্ট কোন্দল সামলাতে পারেনি আওয়ামী লীগ যার ফল ভোগ করতে হলো সিলেটে পরাজিত হয়ে। একই ঘটনা ঘটেছিল কুমিল্লায়। অর্থমন্ত্রীর মতো রাঘব বোয়ালদের সামলাতে না পারলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।