নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২০ পিএম, ০৪ অগাস্ট, ২০১৮
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটেছে। আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মাঠে নেমেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্বার্থন্বেষী বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবি মহল ও নেতারা। তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথাবার্তা ফেসবুকসহ নানা গণমাধ্যমে বলছে। এরকম বেশ কিছু তথ্য সরকারের কাছে এসে জমা পড়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে উস্কানি দিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে পারেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা। একইসঙ্গে জামাতের বেশ কয়েকজন নেতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা এই আন্দোলনে ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে গুজব ছড়াচ্ছে। দলীয় কর্মীদের কৌশলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবেশ করিয়েছে।
আজ বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর উস্কানি মূলক একটি অডিও বার্তা ফাঁস হয়েছে। এর সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এসেছে মান্না ও আসিফ নজরুলের অডিও বার্তাও। তারা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছিলেন এই আন্দোলনকে ঘিরে।
চলমান ছাত্র আন্দোলনে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের এক বিএনপি নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই নেত্রীর নাম ফাতেমা বাদশা।
জানা যায়, নগরীর আগ্রাবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ফাতেমা বাদশা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এসময় তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উস্কানি দিয়েছেন। তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেছেন। ভিডিও ফুটেজে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিনিয়র নেতাকর্মীরা স্থানীয় এমন অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলমান এই আন্দোলনে উস্কানি দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।