নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৯ পিএম, ০৫ অগাস্ট, ২০১৮
ফেসবুক গতকাল শনিবার এক গুজবের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল । ‘চার শিক্ষার্থীকে খুন করে ফেলেছে, চার মেয়েকে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে বন্দী করে নিপীড়ন করা হচ্ছে’ ফেসবুকের লাইভে এসে এমন গুজব ছড়াতে থাকে দুষ্কৃতিকারীরা। এর জের ধরে গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা চালায়। হামলা চলাকালে শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, সে সময় অনেকের হাতে লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা যায়। এক পর্যায়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও শিক্ষার্থীদের পাল্টা ধাওয়া দেন। এসময় ধানমন্ডি-জিগাতলা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
কাজী নওশাবা নামের এক অভিনেত্রী গতকাল তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে জানান, হামলায় আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থী মারা গেছে। আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীর চোখ তুলে নেওয়া হয়েছে বলেও কান্নাকাটি করে জানান তিনি। এরপর লুমা সরকার নামক আরেক তরুণী মুখ নেকাব বেঁধে কান্নাকাটি করে বলেন, ছাত্র মারা গেছে, ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে। এসব উসকানির কারণেই মূলত শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে হামলা চালায়। যদিও পরে তারা সংবাদ সম্মেলনে এসে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে, গুজব শুনেই তারা হামলা চালিয়েছিল।
ফেসবুকে ভয়াবহ উসকানি ও গুজবের প্রচার গতকাল দিনভরই বিভিন্ন আইডি থেকে চলছিল। সংঘর্ষের সময় ও পরে গুজব আরও ডালপালা মেলতে শুরু করে। শুধু লাইভেই নয়, ভুয়া পোস্ট ও ছবির মাধ্যমেও গুজব ছড়ানো চলতে থাকে। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও পুলিশকে ভিলেন বানিয়ে ফেসবুকে পোস্টের পর পোস্ট পড়তে শুরু করে। কয়েকটি আইডি এই ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ভারতে নিহত ছাত্রীকে নিপীড়িত ছাত্রীর লাশ হিসেবে, এক ছাত্রের কৌতুক করে পোস্ট করা ছবিকে নিহত ছাত্রের লাশ হিসেবে প্রচার করা হয়। এছাড়া ফেসবুকের মেসেঞ্জারে মিথ্যা সংবাদ ভাইরাল করার অনুরোধ তো ছিলই।
এর আগেও কোটা আন্দোলনের সময় গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে দেশবিরোধী অপশক্তি। এবারও এই পদ্ধতিও ব্যবহার করলো তাঁরা। দেশের সাধারণ জনগণ যদি এসব গুজব ও সত্যির মধ্যে পার্থক্য করতে না পারে তবে জনগণই শেষ বিচারে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই ক্ষতির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা এক সময় আর সম্ভব হবে না।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।