ইনসাইড ইকোনমি

সিআইপি মর্যাদা পাচ্ছেন ৫৬ শিল্পোদ্যোক্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

শিল্পক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইমপর্ট্যান্ট পারসন) নির্বাচন করেছে সরকার। গত মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ৫৬ জন সিআইপির (শিল্প) নাম ঘোষণা করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বেসরকারি উদ্যোগে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য এই স্বীকৃতি দিয়ে আসছে সরকার।

২০১৪ সালের সিআইপি (শিল্প) নির্বাচন নীতিমালার ভিত্তিতেই নির্বাচন করা হয়েছে শিল্প খাতের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের। এর মধ্যে পদাধিকারবলে শিল্পসংশ্লিষ্ট সংগঠন থেকে সিআইপি হচ্ছেন আট জন। উৎপাদনমুখী বৃহৎ শিল্প থেকে ২০ জন, সেবামুখী শিল্পের ৫ জন, উৎপাদনমুখী মাঝারি শিল্প খাতের ১২ এবং সেবামুখী মাঝারি শিল্প খাতের ৩ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষুদ্রশিল্পের ৫ জন, সেবামুখী ক্ষুদ্র শিল্প থেকে একজন, মাইক্রো শিল্প ও কুটির শিল্প খাতে একজন করে আরও দুজনকে সিআইপি (শিল্প) ঘোষণা করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

পদাধিকারবলে নির্বাচিত আট সিআইপি হলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সাবেক সভাপতি একে আজাদ, বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান, এফআইসিসিআই সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সেলিমা আহমাদ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি তপন চৌধুরী এবং জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশের (নাসিব) সভাপতি মির্জা নূরুল গণী শোভন।

উৎপাদনমুখী বৃহৎ শিল্প খাতের ২০ জন হলেন, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অঞ্জন চৌধুরী, মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক সায়েম সোবহান, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এমডি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদ, বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী, ইউনিভার্সেল জিন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন, বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. পারভেজ রহমান, এসিআই লিমিটেডের এমডি ড. আরিফ দৌলা, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের এমডি আমের আলী হোসাইন, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেডের এমডি আব্দুস ছামাদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, কসমোপলিটন ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেডের পরিচালক তানভীর আহমেদ, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের এমডি আবদুল মোনেম, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের এমডি প্রকৌশলী মো. আবু নোমান হাওলাদার, এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. শামসুর রহমান, পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলসের এমডি মির্জা সালমান ইস্পাহানি, ফারিহা নিট টেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন ভূইয়া, মেসার্স ভিয়েরাটেক্স লিমিটেডের এমডি কেএম রেজাউল হাসানাত, সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেডের মনোনীত মালিক পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর এবং বাদশা টেক্সটাইল লিমিটেডের এমডি মো. বাদশা মিয়া।

বৃহৎ শিল্প (সেবা) খাতের পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম কামাল উদ্দিন, জিএমই এগ্রো লিমিটেডের এমডি চৌধুরী হাসান মাহমুদ, শেলটেক (প্রা.) লিমিটেডের এমডি ড. তৌফিক এম সেরাজ, এসটিএস হোল্ডিংস লিমিটেডের এমডি খন্দকার মনির উদ্দীন এবং নাভানা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলামন।  

মাঝারি শিল্প (উৎপাদন) খাতের ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেডের এমডি আহসান খান চৌধুরী, ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেডের এমডি আরিফ আহমেদ চৌধুরী, প্রমি অ্যাগ্রো ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এনামুল হাসান খান, এ্যাকোয়া মিনারেল টারপেনটাইন অ্যান্ড সলভেন্টস প্লান্ট লিমিটেডের এমডি রামজুল সিরাজ, মেসার্স সিটাডেল অ্যাপারেলস লিমিটেডের এমডি মো. মাহিদুল ইসলাম খান, জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস লিমিটেডের এমডি আব্দুল জব্বার মোল্লা, বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের এমডি জেডএম গোলাম নবী, ইগলু ফুডস লিমিটেডের পরিচালক এএসএম মঈনউদ্দিন মোনেম, বিআরবি পলিমার লিমিটেডের এমডি মো. মজিবর রহমান, মোশাররফ স্পিনিং মিলস (প্রা.) লিমিটেডের এমডি মো. মোশাররফ হোসেন, অকো-টেক্স লিমিটেডের এমডি আব্দুস সোবহান এবং মাধবদী ডাইং ফিনিশিং মিলস লিমিটেডের এমডি মো. নিজাম উদ্দিন ভূইয়া লিটন।

মাঝারি শিল্প (সেবা) খাতের তিন সিআইপি মধ্যে রয়েছেন, বিল্ডিং ফর ফিউচার লিমিটেডের এমডি তানভিরুল হক প্রবাল, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান খান মো. আফতাব উদ্দিন এবং শান্তা প্রোপার্টিস লিমিটেডের পরিচালক জেসমিন সুলতানা।

উৎপাদনমুখী ক্ষুদ্রশিল্প খাতের নির্বাচিত পাঁচ সিআইপি হলেন, ফুজি ইংক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফারহানা মোনেম, কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এমডি মো. মিজবার রহমান, আরএমএম লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, রানার ব্রিকস লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন এবং সবজীয়ানা লিমিটেডের ডিএমডি মোহাম্মদ আবু শাহরিয়ার।

ক্ষুদ্রশিল্প (সেবা) খাতের সিআইপি হয়েছেন কিউএনএস কনটেইনার সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুরুল কাইয়ুম খান। এছাড়া টেকনোমিডিয়া লিমিটেডের এমডি যশোদা জীবন দেব নাথকে মাইক্রো শিল্প খাতে এবং এবি ফ্যাশন মেকারের স্বত্বাধিকারী সানাউল হক বাবুলকে কুটির শিল্প খাতে সিআইপি ঘোষণা করা হয়েছে।

নির্বাচিত সিআইপিরা এক বছরের জন্য একটি পরিচয়পত্র পাবেন, যার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায়ও আমন্ত্রণ পাবেন তারা। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লেটার অব ইনট্রোডাকশনও পাবেন তারা।  

শিল্প খাতের সিআইপিদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে আরও রয়েছে, ব্যবসাসংক্রান্ত ভ্রমণকালে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনগুলোয় আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধাপ্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার, বিমানের ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা। সিআইপি হিসেবে এক বছরের মেয়াদকালে সরকারের শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত হবেন তারা।

নির্বাচিত সিআইপিদের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাতদিনের মধ্যে সিআইপি হিসেবে পাওয়া পরিচয়পত্র শিল্প মন্ত্রণালয়ে ফেরত দেওয়ার বিধান রয়েছে। এছাড়া সরকার জনস্বার্থে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির সিআইপি (শিল্প) হিসেবে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা যেকোনো সময় প্রত্যাহার করতে পারবে বলেও মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

২০২৪-২৫ অর্থবছরে কোমল পানীয়র করভার বাড়ার সম্ভবনা

প্রকাশ: ১১:১৭ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কোমল পানীয় বা কার্বোনেটেড বেভারেজের বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয়ের ওপর কর (টার্নওভার ট্যাক্স) ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। 

এই হার চলতি অর্থবছরের বাজেটেও প্রস্তাব করেছিল সংস্থাটি। পরে কোম্পানিগুলোর দাবিতে এনবিআর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে এই করহার ছিল শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ। 

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে কার্বোনেটেড বেভারেজের ওপর ৫ শতাংশ করহার করার পরিকল্পনা নিচ্ছে এনবিআর। যদিও চলতি অর্থবছরেও এই প্রস্তাব ছিল আয়কর বিভাগের। পরে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। তবে আগামী অর্থবছরে এই করহার ৫ শতাংশ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী সবুজ সংকেতও দিয়েছেন। অর্থাৎ রোববার এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে এই করহারের বিষয়ে সায় দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাজেটের সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর বাংলাদেশের পানীয় শিল্পের প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। কোমল পানীয়ের খাত থেকে বর্তমানে জাতীয় কোষাগারে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা আসে। প্রস্তাবিত টার্নওভার কর বেড়ে যাওয়ার সরাসরি ফলাফল হিসেবে এটি ব্যাপকভাবে কমে যাবে। 


কোমল পানীয়   করভার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

মূল্যস্ফীতি ফের ১০ শতাংশ ছাড়াল

প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ শতাংশের ঘরে উঠেছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে এখন ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। অর্থাৎ ৪ মাস পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার দশ শতাংশ ছাড়াল। আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। যা এপ্রিলে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে দাঁড়ায়। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অন্যদিকে, খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে। মার্চে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

অন্যদিকে, গ্রামে শহরের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। গত এপ্রিলে গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। শহরে এই হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। পাশাপাশি গ্রামে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত খাতে এই হার ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি   বিবিএস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

মে মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে

প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স; যা আগের মাসের তুলনায় বেশি।

সোমবার (১২ মে) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তথ্য অনুযায়ী, ঈদের মাস এপ্রিলে প্রতিদিনে এসেছিল ৬ কোটি ৮১ লাখ ২ লাখ ডলার। আর আগের বছরের মে মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৬ ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসের প্রথম ১০ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।

দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম ১০দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এ সময় ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ন্যাশনাল ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ছয় কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এ ছাড়া প্রবাসী আয় সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের তিন কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

রেমিট্যান্স   প্রবাসী আয়   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

রিজার্ভ কমে আবার ১৮ বিলিয়ন ডলারে

প্রকাশ: ১০:৪৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৬৩ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ নামছে ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

আগামীকাল সোমবার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪ সালের শুরুর দিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ানোর পর আর কখনও নিচে নামেনি। আগামীকাল নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আকু একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে প্রতি দুই মাস অন্তর বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়।

একসময় শ্রীলঙ্কা আকুতে থাকলেও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত বছর তারা নিজ থেকেই বেরিয়ে যায়।

আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এ ঋণের জন্য বিভিন্ন শর্ত মানতে হচ্ছে। আইএমএফ আগামী জুনে রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে।

ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের সময় অবশ্য শর্ত ছিল আগামী জুনে ২০ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রাখতে হবে। গত মার্চে নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় ১৯ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার।


রিজার্ভ   বাংলাদেশ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হল বিডিবিএল

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

পদ্মা-এক্সিম ব্যাংকের পর একীভূত হতে এবার কার্যক্রম শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি (বিডিবিএল)।

রোববার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে সোনালী ও বিডিবিএলের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। চুক্তিতে সই করেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আফজাল করিম ও বিডিবিএলের এমডি হাবিবুর রহমান গাজী। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
সমঝোতা স্মারক সই শেষে বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস সাংবাদিকদের বলেন, বিডিবিএল ব্যাংকের চার সূচকের মধ্যে শুধু খেলাপি ঋণ আদায়ে দুর্বলতা রয়েছে। সময় পাওয়া গেলে এই সমস্যাও কাটিয়ে ওঠা যেত। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে একীভূত হতে হচ্ছে।
   
সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, একীভূতকরণের কারণে বিডিবিএল ব্যাংকের কর্মীদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই। বরং ব্যাংকটি আরও সবল হবে। এমওইউ সইয়ের ফলে অডিট ফার্ম নিয়োগ নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
 
এসময় সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেন, আমরা অনেক চিন্তাভাবনা করেই মার্জারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা কোনো চাপের মুখে নয়, নিজেরাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দুই ব্যাংকের দুই ধরনের অভিজ্ঞতা আছে। সেগুলা কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। আজকে বিডিবিএলের চেয়ারম্যানও ছিলেন এখানে। তার কিছু প্রশ্ন ছিল। গভর্নর সেগুলোর সন্তোষজনক জবাব দিয়েছেন।
 
এর আগে গত ১৮ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংক একীভূতকরণে সমঝোতা স্মারক সই করে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক। এর মাধ্যমে সবল এক্সিম ব্যাংক দ্বায়িত্ব নিয়েছে দুর্বল পদ্মা ব্যাংকের। ফলে পদ্মা ব্যাংক নামে থাকবে না আর কিছু, কার্যক্রম পরিচালিত হবে এক্সিম ব্যাংকের নামে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা একীভূত হয়ে গঠিত হয়েছিল বিডিবিএল।

সোনালী ব্যাংক   বিডিবিএল   একীভূত   বাংলাদেশ ব্যাংক   আব্দুর রউফ তালুকদার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন