নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০১৮
সুন্দর একটি ছবিতে নিজেকে ফ্রেমবন্দি করতে কে না ভালোবাসে? কিন্তু ছবি তোলার পর যদি সে ছবিটি মনের মতো না হয়, তাহলে একটু মন খারাপ হয় বৈকি। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ছবি তোলার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। স্মার্টফোন ডিজিটাল ক্যামেরার স্থান পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে আসা নতুন ফোনগুলোর ক্যামেরার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে ফোন কোম্পানিগুলো।
ভালো ছবি তোলার জন্য আইফোনের সুনাম রয়েছে শুরু থেকেই। যদিও প্রফেশনালদের তোলা ছবি ও অ্যামেচারদের তোলা ছবিতে কিছু তফাৎ থেকেই যায়। তবে কিছু টিপস জানা থাকলে আপনিও পারবেন আপনার হাতের আইফোনটি দিয়ে পেশাদার ফটোগ্রাফারদের মতো ছবি তুলতে। আইফোনে ভালো ছবি তোলার তেমনি কিছু কৌশল তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে।
১. কিছু জিনিস সব সময় আবশ্যিক। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ক্যামেরা লেন্সটিকে সব সময় নরম, মসৃণ কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করা, সূর্যের দিকে লেন্স রেখে ছবি না তোলা এবং ছবি তোলার সময় আপনার বুড়ো আঙুল ফ্রেমের বাইরে রাখা।
২. ছবি তোলার সময় হাত কেঁপে উঠলে অনেক সময় ভালো ছবি নষ্ট হয়ে যায়। এই সমস্যারও সবচেয়ে সহজ সমাধান দিয়েছে আইফোনে। ছবি তোলার সময় দুই হাতে আপনার আইফোনটি ধরুন এবং আপনার কনুই দুটো যতটা সম্ভব নিজের দিকে রাখুন। এরপর আইফোনে ভলিউম কন্ট্রোল বাটনের সাহায্যে ক্যামেরার কোনো নড়াচড়া ছাড়াই ফ্রেমবন্দি করুন আপনার ছবিটি।
৩. আইফোনে অটো ফোকাস সুবিধা রয়েছে। তবে আপনি যদি কয়েকটি বস্তুর ভিডিও করেন বা ছবি তোলেন কিংবা ছবি তোলার সময় ক্যামেরা নড়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে অটো ফোকাস ফিক্সড করে নিতে পারেন। কাজটি করতে, ক্যামেরা অ্যাপটি চালু করে যে বস্তুটি ফোকাস করতে সেটি ট্যাপ করে রাখতে হবে কিছু সময়। এরপর ‘AE/AF LOCK’ লেখা প্রদর্শিত হবে। তাহলে বস্তুটির ফোকাস ফিক্সড হয়ে যাবে। ক্যামেরা নড়াচড়া করেও ফোকাসে হেরফের হবে না।
৪. সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয়ের মতো অতি নাটকীয় উজ্জ্বল রঙের ছবি তোলার জন্য আপনার আইফোনের হাই ডাইনামিক রেঞ্জ অপশনটি চালু করা উচিত। এইচডিআর বিভিন্ন পরিসরের এক্সপোজার সেটিংসে একাধিক ছবি তুলে থাকে। পরে সেই একাধিক ছবিকে একত্র করে সেরা ছবিটি তৈরি করে। এইচডিআর অপশনটিকে অটো বা স্বয়ংক্রিয়রূপে রাখা যায়, তবে খেয়াল রাখতে হবে কতটুকু জায়গার মধ্যে আপনি ছবিটি তুলছেন। সেই হিসাব অনুসারে এই অপশন কিছুটা পরিবর্তন করতে পারেন।
৫. গ্রিড আপনাকে সম্ভাব্য সেরা ছবিটি তুলতে সহয়তা করবে। ডিসপ্লেতে আপনি যা দেখবেন, একটি গ্রিডের বর্গক্ষেত্র আচ্ছাদন, যা আপনাকে উচ্চশ্রেণির ল্যান্ডস্কেপ ছবি তোলার ক্ষেত্রে টিপস দেবে। এই কৌশল প্রয়োগ করে কোনো বস্তুর ছবি তোলার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে বস্তুটি যেন যেকোনো একটি উল্লম্ব গ্রিড লাইনটির সঙ্গে লম্বালম্বি থাকে। আর ব্যক্তির ছবি তোলার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে ব্যক্তির চোখগুলো যেন গ্রিডলাইনের ওপরে থাকে। গ্রিড চালু করার জন্য আপনার ক্যামেরার সেটিংস থেকে ফটোস অ্যান্ড ক্যামেরা থেকে যেতে হবে। সেখানে থেকে গ্রিড নির্বাচন করলেই আপনার আইফোনে গ্রিড চালু হয়ে যাবে।
৬. আইফোনের চমৎকার একটি ফিচার হলো লাইভ ফটো। এটি চালু করতে ক্যামেরার বাম পাশে থাকা ‘HDR’ মেনুর উপরে থাকা বৃত্তাকার আইকনটিতে ক্লিক করতে হবে। তাহলে লাইভ ফটো চালু হবে। লাইভ ফটোতে কোন ছবি তোলার আগে বস্তুটির অবস্থান ভিডিও প্রিভিউয়ের মতো দেখাবে।
৭. চলন্ত কোনো কিছুর ছবি তুলতে চান? আইফোনের ক্যামেরা অ্যাপের শাটার আইকন বা ভলিউম বাটনটি চেপে ধরে রাখুন এবং ক্যামেরা বার্স্ট মোডে এক সেকেন্ডে ১০টি ছবি তুলে ফেলবে। আপনি মোবাইলের ডিসপ্লেতে একটি সংখ্যা দেখতে পাবেন, যা আপনাকে বলে দেবে আপনি সেই চলন্ত বিষয়টির কতগুলো ছবি তুলেছেন। ছবি তোলার শেষে সব ছবি থেকে সেরা ছবিটি রেখে বাকিগুলো মুছে ফেলুন (আপনার ক্যামেরা তার মতে সেরা ছবি কোনটি সে সম্পর্কে একটি পরামর্শ দেবে, তবে আপনি চাইলে সেটিকে বাতিল করতে পারবেন)।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
বর্তমান
সময়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম ইনস্টাগ্রাম। তাইতো প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার এনে
চমকে দেয় মেটার মালিকানাধীন
এই প্লাটফর্মটি। এবার ইনস্টাগ্রামে স্টোরি
দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা হবে
ব্যবহারকারীদের। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামে
যুক্ত হচ্ছে রিভিল নামের একটি ফিচার।
যার
মাধ্যমে স্টোরি আপলোড করেও লুকিয়ে রাখা
যাবে। সেই স্টোরি দেখতে
হলে ফলোয়ারকে ডিএম অর্থাৎ ডিরেক্ট
মেসেজ করতে হবে। আপনি
অনুমতি দিলে তবেই সেই
স্টোরিটি দেখতে পাবেন ফলোয়াররা। অর্থাৎ আপনার স্টোরি কে দেখবে না
দেখবে, তা সম্পূর্ণ ভাবে
আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
যেভাবে এই স্টোরি আপলোড করতে হবে-
স্টোরি
তৈরি করার সময় সবার
আগে ক্লিক করতে হবে স্টিকার
আইকনে। সেখানেই খুঁজে পাবেন রিভিল নামের আইকনটি। সেটি সিলেক্ট করে
নিলে স্টোরি সংক্রান্ত বিষয়টি সেখানে উল্লেখ করতে পারবেন। যাতে
আপনার ব্লার স্টোরির আড়ালে কী লুকিয়ে রয়েছে,
তার একটা ইঙ্গিত পাবেন
আপনার ফলোয়াররা।
এই
স্টোরি ইউজাররা কীভাবে দেখতে পাবেন, তা জানা যাবে
স্ক্রিনের বাঁদিকের নিচে একটি প্রিভিউ
আইকন থেকে। আপনি সেই প্রিভিউতে
ক্লিক করে দেখে নিতে
পারবেন ইউজারদের কাছে আপনার স্টোরিটি
কীভাবে শো করবে। তবে
স্টোরিটি দেখতে ইউজারদের ডিএম করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। কিন্তু আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে স্মার্টফোন। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
স্মার্টফোন নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী লেকুনেরই প্রথম নয়। এর আগে নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালে বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেইন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! এটি নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।