নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৯ পিএম, ১৬ অগাস্ট, ২০১৮
স্বাধীনতার মাত্র চার বছর পরই বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একদল সেনাসদস্যের হাতে নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশিদ, মেজর জিয়া, মোশতাকসহ কয়েকজনকে দায়ী করা হয় এবং বাংলাদেশের মাটিতে তাঁদের নাম উচ্চারণ করা হয় ঘৃণা সহকারে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়ে ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছে আদালত। কিন্তু জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের আগে-পরে অনেক লোকের ভূমিকা ছিল রহস্যময়, যা এখন পর্যন্ত উন্মোচিত হয়নি। এমনকি বঙ্গবন্ধু হত্যায় এদের সংশ্লিষ্টতা বা হত্যাকাণ্ডের পর এদের ভূমিকা নিয়ে সাধারণত কথাও বলা হয় না। কিন্তু পরবর্তীতে এই ব্যক্তিদের কার্যক্রমে বোঝা গেছে ’৭৫ এ তাঁদের ভূমিকা ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পক্ষে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে যারা রহস্যময় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ড. কামাল হোসেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় ড. কামাল হোসেন লণ্ডনে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের জীবিত দুই সদস্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তখন বেলজিয়াম থেকে জার্মানি গেছেন। এক পর্যায়ে ড. কামাল হোসেন জার্মানিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। সে সময় শেখ রেহানা ড. কামালকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ক্যাম্পেইন করার অনুরোধ করেন, অনুরোধ করেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরিবারের সেই দুঃসময়ে কামাল হোসেন কোনো কিছু করেননি। সাহায্য করেননি সদ্য পরিবার হারিয়ে শোকে দিশেহারা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ত্বরান্বিত করতে কোনো ভূমিকাই রাখেননি তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী। এক সময়কার মুক্তিযোদ্ধা ওসমানী বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পরে খুনিদেরকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর মেজর ডালিম যখন ভোরে রেডিও স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধুর হত্যা সংবাদ প্রচার করছিলেন সে সময় সেখানে জেনারেল জিয়া ও কর্নেল (অব.) তাহের ছাড়াও জেনারেল (অব.) আতাউল গণি ওসমানী উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে মোশতাকের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্কের কথা জানা যায় যায়। মোশতাকের ডিফেন্স অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর ওসমানীর তত্ত্বাবধানেই পাকিস্তান প্রত্যাগত সেনা কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বসানো শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। ইত্তেফাকের বিখ্যাত সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার পুত্র তিনি। সংবিধান সংস্কার করে যখন বাকশাল প্রতিষ্ঠা হয় তখন মইনুল হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর ইত্তেফাক পত্রিকায় লেখা হয়েছিল – ‘প্রত্যুষে বেতারে এই ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়া একটি আকাঙ্ক্ষিত সূর্যরাঙ্গা প্রভাত দেখিতে পায়।‘ সে সময় ইত্তেফাকের কর্ণধার ছিলেন এই মইনুল হোসেন।
অথচ ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুই মইনুল হাসানকে আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচিত করেছিলেন। তাঁর পিতা মানিক মিয়াও ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর এসব উপকারের কথা মনে রাখেননি মইনুল। ‘৭৫ এর ১৫ আগস্টের পরে খন্দকার মোশতাকের দলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
এই কয়েকজন ছাড়াও বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ণ্ড প্রশ্নে আরও অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক। একসময় যারা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন, ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, তাঁরা অনেকেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ঘোরতর বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ বিরোধী হয়ে যান। আর এদের মধ্যে যারা জীবিত আছেন তাঁরাই এখন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছেন। যেমন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের কথাই ধরা যাক। ২০০৭ সালে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের অগণতান্ত্রিক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। সে সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এছাড়া বলা যায় ড. কামাল হোসেনের কথা। বর্তমানে রাজনৈতিক দল গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ বিরোধী বক্তব্যের জন্য খ্যাত। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশের অন্যতম সমালোচক।
এই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিরা বিভিন্ন দেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে গোয়েন্দা সংস্থা কাছে তথ্য আছে। কিন্তু শুধু প্রত্যক্ষ খুনিরাই যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছেন তা নয়, ’৭৫কে ঘিরে যাদের ভুমিকা রহস্যময় ছিল তাঁদের কর্মকাণ্ডেও দেশবিরোধী সুর পরিলক্ষিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে এই রহস্য মানবদের ভূমিকা কী ছিল তা এখনো উন্মোচিত হয়নি। এই কারণে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন সময়ে একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার মাধ্যমে ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পূর্বাপর কার কী ভূমিকা ছিল তা খুঁজে বের করার দাবি উঠেছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানাও বলেছেন এই বিষয়ে একটি পুর্ণাঙ্গ কমিশন হওয়া উচিত। এতে করে ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের পরে কার কী ভুমিকা ছিল তা পরিস্কার হয়ে যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
বিএনপি আমির খসরু মির্জা ফখরুল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যথারীতি বিরোধী দল বিহীন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় জয়কার। আওয়ামী লীগের নেতারাই অধিকাংশ উপজেলায় নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু তারপরেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে সন্তুষ্টি নেই। আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিরক্তি কাজ করছে।
নানা কারণে উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারেনি বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তারা উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে উদ্বিগ্ন এবং দল ও গণতন্ত্রের জন্য সামনের দিনগুলোতে আরও সংকট অপেক্ষা করছে বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সামনে পাঁচটি সংকটকে উন্মোচন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে-
১. ভোটার উপস্থিতি কম: উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার এবার সর্বনিম্ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যতগুলো উপজেলা নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে এবার ভোট পড়েছে সবচেয়ে কম। ২০০৮ এর ভূমিধস বিজয়ের পর প্রথম আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হয় ২০০৯ সালে। সেই উপজেলা নির্বাচনে ৬৮ ভাগের বেশি ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ৬১ ভাগ ভোটার উপজেলা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন। ২০১৯ সালে এই হার ছিল ৪০ শতাংশের বেশি।
কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ ভোটার উপজেলা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। এটি কখনোই স্বস্তি দেওয়ার খবর নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সাধারণত ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দেয়। কিন্তু এবার উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা উৎসাহ নেয়নি। এমনকি আওয়ামী লীগের যে রিজার্ভ সমর্থক বলে যারা পরিচিত সেই ভোটাররাও ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত ছিল না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের নেতা কর্মীদেরকে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, তারা যেন ভোটকেন্দ্রে যায় সে জন্য উৎসাহিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশ মাঠে প্রতিফলিত হয়নি। ভোটার উপস্থিতি কম থাকার ফলে আওয়ামী লীগের জন্য অস্বস্তির কারণ।
২. অভ্যন্তরীণ কোন্দল: আওয়ামী লীগের জন্য এই নির্বাচন ছিল অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর মাধ্যম। এ কারণেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেন। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, দলীয় প্রতীক উপজেলা নির্বাচনে ব্যবহার করা যাবে না। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা আশা করেছিলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের যে কোন্দল এবং বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ নিয়েছিল তার কিছুটা হলেও অবসান ঘটবে।
কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো। উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগকে আরও বিভক্ত করেছে। বিশেষ করে যে সমস্ত স্থানে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের বিরোধ ছিল, সেই বিরোধে গুলো আরও সহিংস রূপ নিয়েছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি অশনী সংকেত।
৩. কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করার প্রবণতা: আওয়ামী লীগের জন্য উপজেলা নির্বাচনে একটি বড় অস্বস্তির বিষয় ছিল কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ মাঠে প্রতিফলিত হয়নি। দু একজন মন্ত্রী-এমপি ছাড়া অধিকাংশই তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন এবং প্রভাব বিস্তার করে জিতিয়ে এনেছেন। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি সতর্কবার্তা। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করার এই প্রবণতা যদি বাড়তে থাকে সেটি ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের জন্য একটি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।
৪. এলাকায় এলাকায় জমিদারতন্ত্র-পরিবারতন্ত্র কায়েম: এবার উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তারা এলাকায় এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছেন। এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় একটি গোষ্ঠীতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র বা জমিদারতন্ত্র কায়েম হচ্ছে। এটিও আওয়ামী লীগের জন্য একটি খারাপ সংবাদ বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
৫. অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনে অনীহা: আওয়ামী লিগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার নেতাকর্মীদেরকে বলেছিলেন যে- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু দেখা গেছে, নির্বাচনে যারা শক্তিশালী প্রার্থী হয়েছেন তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছেন। পেশিশক্তির প্রয়োগ ঘটিয়েছেন, কালো টাকা ছড়িয়েছেন। আর এগুলো আওয়ামী লীগের ইমেজ নষ্ট করেছে এবং জনগণের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে। এই সমস্ত অস্বস্তিগুলো উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে। এখন ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ কীভাবে এই সংকটগুলো কাটিয়ে উঠবে, সেটাই দেখার বিষয়।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন।
প্রথম দফায় ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যথারীতি বিরোধী দল বিহীন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় জয়কার। আওয়ামী লীগের নেতারাই অধিকাংশ উপজেলায় নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু তারপরেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে সন্তুষ্টি নেই। আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিরক্তি কাজ করছে।