নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৮
চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য অনেক দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল আওয়ামী লীগ। আর এই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল নির্বাচনে ভোটের ফ্যাক্টর হিসেবে উন্নয়নের প্রচারকে মডেল ধরে। তবে সময়ের স্রোতে অনেক দেশের পরিস্থিতি অনেক পাল্টেছে। বিভিন্ন জরিপ ও গবেষণায় দেখা গেছে উন্নয়ন নয় বরং আগামী নির্বাচনে ভোটের জন্য ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দিয়েছে পাঁচটি বিষয়। এই ফ্যাক্টরগুলো নিয়ে কোনো দলের অবস্থানই নির্বাচনের মাঠে ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানতে প্রভাব ফেলবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের ফ্যাক্টরগুলো নিয়ে এখন সব দলই মোটামুটি কাজ শুরু করেছে। আওয়ামী লীগও পূর্ব পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে পাঁচ ফ্যাক্টর নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এবারের নির্বাচনে ভোটের ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে আছে,
১. তরুণ ভোটার এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে থাকা ভোটাররাই নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হয়। একসময় তরুণ ভোটারদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। তবে বর্তমানে এই অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আর এরই মধ্যে তরুণ ভোটারদের ফেরাতে উদ্যোগী আওয়ামী লীগ। তরুণদের আবার আওয়ামী লীগের প্রতি আকৃষ্ট করতে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে সরব হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ দলটির বিশেষ টিম।
২. কোটা নিয়ে অবস্থানও এবারের নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলবে। চলতি বছরের শুরু থেকেই কোটা নিয়ে সরব হয়েছিল শিক্ষার্থীরা। অনেক আন্দোলন হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো নানা কর্মসূচি ঘোষণা চলছে। শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী ছাড়াও এই ইস্যু নিয়ে দেশের সকল শ্রেণি পেশার শিক্ষিত মানুষের মধ্যে আগ্রহ আছে। সব মিলিয়ে কোটা সম্পর্কে আগ্রহী ভোটারের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। আর এই বিপুল ভোটারের আগ্রহের কথা চিন্তা করেই সবগুলো রাজনৈতিক দলই তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে কোটা সংস্কার নিয়ে অবস্থান তুলে ধরবে বলে জানা গেছে। আর এই অবস্থানই ঠিক করে দেবে বিপুল ভোট কোন দিকে যাচ্ছে।
৩. সম্প্রতি রাজধানীসহ দেশজুড়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। এই আন্দোলনও শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করেছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন একরকম শেষ হলেও এ নিয়ে সচেতন এখন সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। এই আগ্রহ থেকেই মানুষ এখন জানতে কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় গেলে সড়ক নিরাপদে কী পদক্ষেপ নিয়ে। তাই নিরাপদ সড়ক নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও অঙ্গীকারও নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। আর রাজনৈতিক দলগুলোও জনসাধারণের আগ্রহের কথা মাথায় রেখে নিরাপদ সড়কের জন্য তাদের প্রস্তাবগুলো সাজাচ্ছে।
৪. ব্যবসায়ীরাও নির্বাচনের অন্যতম ফ্যাক্টর হবেন। ব্যবসাবান্ধব নীতি, ব্যাংকের সুদের হারসহ ব্যবসা সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় তাই নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করেই সরকার অনলাইন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন পিছিয়েছে। সুদের হারও এক অংকে নামিয়ে আনার বিষয়টিও বাস্তবায়নে দ্বারপ্রান্তে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও ব্যবসায়ীদের আকৃষ্টে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
৫. এবারের নির্বাচনে ভোটের অন্যতম ফ্যাক্টর হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান। দুর্নীতি নিয়ে মানুষ এখন সচেতন। দেশের উন্নতির অন্যতম অন্তরায় হিসেবেই বিষয়টিকে দেখে সাধারণ মানুষ। দুর্নীতির বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বরাবরই কঠোর অবস্থানে। আর একাদশ জাতীয় নির্বাচনে খসড়া ইশতেহারেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের এই অবস্থানের কথা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বলা হয়েছে, এবার ক্ষমতায় এলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোরও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। তবে এক্ষেত্রে বিএনপি শুরুতেই ব্যাকফুটে। কারণ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতি দায়ে দণ্ডিত হয়ে পাঁচ বছরের জন্য কারান্তরীণ। আবার, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবেই খ্যাত। আর গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে দুর্নীতিবাজদের দলে রাখার বিষয়টি জায়েজ করেছে বিএনপি। বিএনপির ইশতেহারে যে কথাই থাকুক, তা যে শুধুই কথা তা দেশের মানুষকে নতুন করে বুঝাতে হবে না। দুর্নীতিকে আশ্রয় করে একটি দল কীভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলবে।
এর বাইরে আন্তর্জাতিক কূটনীতিও প্রভাব ফেলবে এবারের নির্বাচনে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে-তার উপরই নির্ভর করবে কোনো দলের প্রতি ভারত সরকারের অবস্থান। আর এর প্রতিফলন ঘটবে নির্বাচনে দেশটির ভূমিকায়। একই ভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক কেমন হবে, এ নিয়ে রাজনৈতিক দলের অবস্থানই তাঁর পক্ষে নির্বাচনে দেশটির প্রভাব ঠিক করে দেবে।
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ভারতে। আর এর সঙ্গে কূটনৈতিক অবস্থানে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। এই সরকার ভারতের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে দমননীতি নিয়ে ভারতের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা শূন্য করেছে। এজন্য সরকারের প্রতি ভারত যে কৃতজ্ঞ তা বহুবারই প্রকাশ করেছে। কিন্তু বিএনপি এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনী ইশতেহারে জঙ্গিবাদ দমনে সরাসরি কোনো অঙ্গীকার করেনি। তবে এবার বিএনপিও এ বিষয়ে অঙ্গীকার করতে পারে। কারণ, গত কয়েকমাসে ভারতের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে কয়েকদফা বৈঠক করেছে বিএনপি। এর প্রতিফলন এবারের নির্বাচনের জন্য নেওয়া বিএনপির ইশতেহারে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া সম্প্রতি মার্কিন-বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপড়েন বন্ধেও আওয়ামী লীগকে সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া মানবাধিকার ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ সরব। তাঁদের জন্যও সুস্পষ্ট কিছু থাকতে হবে।
আগামী নির্বাচনে ভোটের ফ্যাক্টরগুলো কাজে লাগিয়ে যারাই ইশতেহার গড়ে তুলতে পারবে তারাই ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারবে। কোন দল জনগণের চাহিদার কতোটা ইশতেহারে রাখতে পারছে তা জানা যাবে শিগগিরই। তফসিল ঘোষণার আগে পরে আসতে পারে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহার।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।