ইনসাইড বাংলাদেশ

যাদের ঈদ আছে, কিন্তু আনন্দ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৩২ পিএম, ২১ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

রাত পেরোলে ঈদ। তবে এরই মধ্যে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ঈদ আনন্দকে নিজ নিজ আঙ্গিনায় আবদ্ধ করতে ব্যস্ত প্রত্যেকেই। কিন্তু, আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই আছে, যাদের ঈদ আছে কিন্তু আনন্দ নেই। এতিম শিশুদের কথা বলছি। কেননা, ঈদের আনন্দ নতুন জামায় নয়, নয় হাজারো মজাদার খাবারের সমারোহে। পরিবার ছাড়া ঈদ আনন্দের সার্থকতাই বা কোথায়? এই সমাজে আমরা প্রত্যেকেই যেন আত্মকেন্দ্রিক আমরা। একবার কি ভেবে দেখেছি, পিতা-মাতা হারিয়ে এসব অসহায়, নিঃস্ব এতিমরা কীভাবে ঈদের দিন কাঁটায়?

সারা বছরই দু’বেলা পেট ভরে খেতে পাওয়াই তাঁদের এক পরম সৌভাগ্য। সেখানে তাদের কাছে নতুন জামা স্বপ্নেরই মতো। এদের কাছে ঈদ যেন নতুন চাঁদ দেখার মাঝেই সীমাবদ্ধ। ঈদের দিন আর বছরের অন্যান্য দিন এদের কাছে প্রায় একই।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এতিমখানা ঘুরে দেখা যায় একই চিত্র। এতিমরা জানেই না ঈদ আনন্দ কি। পরিবারের সদস্যরা ছাড়া তাদের ঈদ আনন্দ যেন পোলাও-মাংস খাওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধও। কেননা শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া ছাড়া তাদের কাছে বছরের অন্য দিনের চেয়ে এদিন খুব বেশি ভিন্ন নয়। বরং, ঈদের দিনটা কেন যেন তাদের কাছে বিষাদের মতো। অন্যদের পরিহিত নতুন জামা, পরিবারের সঙ্গে কাটানো যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তাদের অপ্রাপ্তির নিয়তিকে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ছিদ্দিকিয়া এতিমখানায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় এখানকার আবাসিক ছাত্ররা আগামীকালের গরু কোরবানির চাপাতি-ছুরি ধার দিতেই ব্যস্ত। কথা হয় মাদ্রাসার এতিম আবাসিক ছাত্র মোঃ রহমত উল্লাহর সঙ্গে। তার কাছে ঈদ আনন্দ যেন গরুর মাংস খাওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ। ঈদের নতুন জামার ব্যাপারে সে জানায়, ‘ভালা মতন কাপড়ডা ধুইয়া ইস্ত্রি করলেই সব জামাই আমাগো কাছে নতুন।’ ঈদের আনন্দ নিয়ে তার চোখে-মুখে নেই কোন বাড়তি উৎসাহ-উদ্দীপনা। ঈদের দিনের পরিকল্পনার কথা জিজ্ঞাসা করলে জানায়, সকালে নাস্তা করে গরু কোরবানি দিতে বের হবে। কোরবানি শেষে বের হতে হবে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে। কখন ফিরবে ঠিক নাই। ঠিক এমনটাই বক্তব্য বাকি এতিম ছাত্রদেরও।

ঈদের দিনে এতিমদের খাবারের ব্যাপারে ছিদ্দিকিয়া এতিমখানার সিনিয়র শিক্ষক মো. মাহবুব আলম জানান, ঈদের দিনে এতিমদের জন্য ভালো খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। দুপুরে খাসি ও রাতে গরুর মাংসের ব্যবস্থা রেখেছে তারা। এতিম ছাত্রদের সুযোগ সুবিধার কথা জানতে তিনি জানান, সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে মাত্র ২৮ জন ছাত্রের জন্য সাহায্য পান ছাত্রপ্রতি এক হাজার টাকা। কিন্তু, ছাত্র আছে ৮০ জন। প্রতি মাসেই টাকার ঘাটতি পড়ে। কিছু আজীবন দাতা সদস্য ও মিলাদ-খতমের টাকা দিয়েই টিকে আছেন তারা।

এদের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে থাকছেন রাজধানীর আদাবরের জামিয়া আরাবিয়া আহসানুল উলূম এতিমখানার এতিমরা। ৫’শ এতিমের আবাসিক ব্যবস্থা আছে এখানে। ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করতেই রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন এতিমখানা কর্তৃপক্ষ। কেননা, শুধুমাত্র দাতা সদস্য ও এলাকাবাসীর সাহায্যের উপরেই টিকে আছে এ প্রতিষ্ঠান। দিনে ৫০ কেজির তিন বস্তা চালের প্রয়োজন হয় এত বিপুল ছাত্রের ক্ষুধা মেটাতে। মাসে তাদের খরচ হয় প্রায় নয় লাখ টাকা। মাসের পর মাস বেতন নিচ্ছেন না শিক্ষকরা, বরং এতিমখানার মাসিক খরচ নিজেদের কাঁধে ঋণ হিসাবে বয়ে বেড়াচ্ছেন।

ঈদের পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয় জামিয়া আরাবিয়া আহসানুল উলূম এতিমখানার ছাত্র মো. আরিফুর রহমানের সঙ্গে। আরিফ জানায়, কোরবানির গরু জবাই ও চামড়া সংগ্রহেই ঈদ আনন্দ তাদের। অন্য সব এতিমদের নিয়েই সে তার পরিবার বানিয়েছে। কে বলে তার কেউ নেই? এতিমরা অল্পতেই তুষ্টও। যতটুকু পাচ্ছে যদিও পর্যাপ্ত নয় কিন্তু তাতেই খুশি সে। নতুন জামার ব্যপারে সে জানায়, কোরবানির ঈদে কেউ জামা-কাপড় সাহায্য হিসাবে দেয় না, দেয় রোজার ঈদে। এতিমখানা কর্তৃপক্ষের তো আর প্রত্যেকের নতুন জামা কিনে দেয়ার সামর্থ্য নাই, তাই সে সহ বাকি এতিমরা এ ব্যাপারে কোন প্রত্যাশাও রাখে না।

এরপর কথা হয় জামিয়া আরাবিয়া আহসানুল উলূম এতিমখানার প্রিন্সিপাল মুফতী মোহাম্মদ আমির হুসাইনের সঙ্গে। তিনি জানান, শুধুমাত্র এলাকাবাসীর সাহায্যেই এখানকার এতিমরা কায়ক্লেশে দিন কাটাচ্ছে। সরকারীকরণের জন্য তিনি কয়েকবারই সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরে ধরনা দিয়েছেন, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। শেষমেশ ধৈর্য্য হারিয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

এমন দৃশ্য রাজধানীসহ সারা দেশের এতিমখানার শিশুদের। এভাবেই কাটে তাদের ঈদ। কেটেই তো যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। কেউই নেই এসব এতিমখানার এতিমদের চাঁপা আর্তনাদ শোনার। আমাদের সমাজের উচ্চ শ্রেনির মানুগুলো যদি তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, এমনকি তারা যদি শুধুমাত্র তাদের যাকাত-ফিতরাও সঠিকভাবে দেয়, তবে এসব এতিমদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে, ভুলে যাবে পিতা-মাতা হারানোর কষ্ট।

বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শুক্রবারেও মেট্রোরেল চালানোর প্রস্তুতি

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের প্রথম বিদ্যুৎ চালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল। বর্তমানে শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিন নিরবচ্ছিনভাবে সেবা এই দিয়ে যাচ্ছে এটি। তবে যাত্রীদের চাহিদার কারনে শুক্রবারও এটি চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।

ডিএমটিসিএলের সূত্রে জানা যায়, ‘আগামী জুলাই মাস থেকে শুক্রবারেও মেট্রোরেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জুন মাসের মধ্যে পিক আওয়ারের হেডওয়ে (দুই ট্রেনের মধ্যবর্তী অপেক্ষমাণ সময়) মিনিট থেকে কমিয়ে মিনিট করা হতে পারে।’

এনিয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আব্দর রউফ বলেন, ‘এবিষয়ে আমার কোন ধারণা নেই। হয়তো কয়েকদিন পরে আমাদের এমডি এম.এ.এন. ছিদ্দিক স্যার সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন, যদি এরকম কোন সিদ্ধান্ত হয়।’

বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনে উদ্দেশ্যে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এছাড়া দিনের শেষ ট্রেন রাত ৮টায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।


মেট্রোরেল   শুক্রবার   ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঘর না পেয়ে এলাকা ছাড়ল শিশুশিল্পীর পরিবার


Thumbnail তীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া শিশুশিল্পী ফারজিনা আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের দুর্গম এক গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের শিশু কন্যা ফারজিনা আক্তার () তাদের জমি নেই, নেই ঘর। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার পর ফারজিনা স্বপ্ন দেখে পুরস্কারের টাকায় হাওরপাড়ে একটি নতুন ঘর তৈরীর। ওই শিশুকন্যার স্বপ্নপূরণে সরকারের পক্ষ্য থেকে কয়েক শতক জমিও বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই জমিতে ঘর তৈরীর জন্য অর্থও বরাদ্দ হয়। কিন্তু ছয় মাস হতে চললেও মাথা গোঁজার জন্য ঘর তৈরী  হয়নি। ঘরের জন্য সংশ্লিষ্টদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে ঘুরতে অতিষ্ঠ ফারজিনার বাবা মোঃ সায়েম। ক্ষোভ-অভিমানে শেষ পর্যন্ত পুরো পরিবার নিয়ে সোমবার  (১৩ মে) সকালে নিজের এলাকা ছাড়লেন তিনি।

সোমবার (১৩ মে) সকালে নিজ এলাকা ছাড়ার পূর্বে মোঃ সায়েম নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সায়েম বলেন, ‘আমরা কৃতজ্ঞ, তিনি অনেক কিছু করেছেন আমাদের পরিবারের জন্য। কিন্তু ঘরই যদি না থাকে তাহলে কই থাকমু? একটি ঘরের জন্য ঘুরতে ঘুরতে আমি হয়রান হয়ে গেছি, আর কত ঘুরব, শেষ অবধি কোন উপায় না পেয়ে এলাকা ছাড়তে হল পুরো পরিবার নিয়ে।

ফারজিনা তাহিরপুরের  টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ে ছিলানী তাহিরপুর গ্রামে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করত।
২০২২ সালে মুক্তি পাওয়াকুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়াসিনেমায় অভিনয় করে শিশু শিল্পী শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে আলোচনায় আসে ফারজিনা। ২০২৩ সালের  ১৪ নভেম্বর ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ফারজিনা পুরস্কার গ্রহণ করে।

শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ফারজিনার বাবা সায়েম হতদরিদ্র মানুষ। তাঁদের থাকার একমাত্র বসত বাড়িটি অভাবের কারণে বিক্রি করে দিতে হয়েছিল। পুরস্কারের টাকা দিয়ে গ্রামে একটি নতুন বাড়ি করার স্বপ্ন ছিল শিশু কন্যা ফারজিনার।

পুরস্কার নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পর সুনামগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সঙ্গে ফারজিনাসহ তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করেন। জেলা প্রশাসক পরিবারের আর্থিক অবস্থার খোঁজ নেন। ফারজিনার লেখাপড়ার জন্য ২০ হাজার টাকা দেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের জায়গা সহ একটি নতুন ঘর তৈরী করে দেওয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। সেই সঙ্গে সব সময় তার পরিবারের খোঁজখবর রাখার জন্য তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।

ফারজিনার বাবা সায়েম এরপর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘরের জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২০২৩ সালের  ডিসেম্বর মাসে আশ্রয়ণ প্রকল্প--এর মাধ্যমে ফারজিনার পরিবারকে একটি জায়গা সহ ঘর দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সময়ে ফারজিনার বাবা মায়ের নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় ১০ লাখ টাকার একটি পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরবর্তী সময়ে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়ছড়া মৌজায় ফারজিনার পরিবারকে ১৭ শতক জমি দেওয়া হয়।

ওই জমিতে একটি ঘর করে দেওয়ার জন্য সমাজসেবা কার্যালয়ের অনুকূলে লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সমাজসেবা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ঘর তৈরীর ব্যাপারে কোন সুরাহা হয়নি।  মাস পার হয়ে গেলেও ঘর আর হয়নি। ফলে জমিটিও বেদখল অবস্থায় আছে।

জন্য উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক  বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন সায়েম। কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি।

অবশেষে নিরুপায় হয়ে তল্পি-তল্পা নিয়ে সোমবার (১৩ মে) সকালে এলাকা ছেড়ে গেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া শিশুশিল্পী ফারজিনা তার পরিবারের সদস্যরা।

বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুচিত্রা সরকার বলেন, ‘আমরা উপজেলা কমিটির কাছে টাকা দিয়ে দিয়েছি। তিন দিন আগেও তাদের তাগাদা দিয়েছি দ্রুত ঘরটি করে দেওয়া জন্য।

সোমবার রাতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশে ইকবাল চৌধুরীর নিকট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। তাহিরপুর উপেজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)’ মাধ্যমে তাদের ঘর তৈরীর করে দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’


আশ্রয়ন প্রকল্প   ঘর   শিশু শিল্পী   জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুষ্টিয়ায় সামাজিক দ্বন্দ্ব থেকে হামলা, নিহত ১

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে স্বজনদের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। 

নিহতের নাম- বকুল বিশ্বাস, বয়স ৫৫। তিনি হাতিয়া গ্রামের মৃত আফতাব বিশ্বাসের ছেলে। এ আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সোমবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বকুলের মৃত্যু হয়।

নিহত বকুলের চাচাতো ভাই হামলায় আহত নিয়াজি খান জানান, গত বৃহস্পতিবার তার চাচি জাহানার খাতুন মারা যান। শনিবার কুলখানির আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের রান্না ও দাওয়াত দেয়াকে কেন্দ্র করে আরেক চাচাতো ভাই শিপন বিশ্বাসের সাথে আমাদের বিরোধ বাধে। এরই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যার পর নিহত বকুলসহ আমরা কয়েকজন নিজ বাড়ির সামনে বসে থাকা অবস্থায় শিপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ৩০/৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় বকুলসহ ৬জন আহত হলে তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকুল মারা যায়। 

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদি হাসান বকুল হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সামাজিক দ্বন্দ্বে স্বজনদের হামলায় বকুল নিহত হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।


কুষ্টিয়া   হামলা   নিহত   আহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু। বাংলাদেশে জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটিই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কোন কর্মকর্তার প্রথম সফর।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলংকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান তিনি 

ডোলান্ড লু' দুইদিনের এই সফরে মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হতে পারে। এছাড়াও  মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর।

এছাড়াও মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। পরদিন বুধবার (১৫ মে) সকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

লু’র এই সফরে জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম অধিকার, বাণিজ্য বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয় আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে

ডোনাল্ড লু’র সফর সম্পর্কে গত মে এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ডোনাল্ড লু ১০-১৫ মে ভারত, শ্রীলংকা বাংলাদেশ সফর করবেন। তার সফর এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে এবং মুক্ত-উন্মুক্ত সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থনের কথা তুলে ধরবে। 

উল্লেখ্য, ডোনল্ড লু এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে আসেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এবং মার্কিন ভিসানীতিসহ নানামুখী তৎপরতার মধ্য দিয়ে সেই সফরটি আলোচিত ছিল। ওই সফরে তিনি মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন।


ডোনাল্ড লু   বাংলাদেশ সফর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদি পৌঁছেছেন ১৫৫১৫ হজযাত্রী

প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৫১৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছে। অন্যদিকে,এখনো ১০ হাজার ৩৫০ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনে বলা হয়েছে, সোমবার (১৩ মে) পর্যন্ত সর্বমোট ১৫ হাজার ৫১৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার ৩ হাজার ৭৪৭ জন হজযাত্রী ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১১ হাজার ৭৬৮ জন হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৩৯টি।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে।

হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট ৯ মে  থেকে শুরু হয়ে ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

এদিকে, এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৯৭ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এবার বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ১০ হাজার ৩৫০ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।


সৌদি আরব   হজযাত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন