নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২২ অগাস্ট, ২০১৮
ঈদুল আজহা পালিত হলো দেশজুড়ে। ঈদের কদিন আগে থেকেই অবশ্য রাজধানী ফাঁকা হতে শুরু করে। রাজধানীবাসী পাড়ি জমায় গ্রামের বাড়িতে। আর রাজধানীবাসীর সঙ্গে নিজ নিজ এলাকায় ঈদের জন্য পাড়ি জমান স্থানীয় জনপ্রনিধিরাও। এই ঈদে এলাকার সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া যায়। তাই ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সঙ্গে চলে রাজনৈতিক প্রচারণাও।
চলতি বছরের শেষেই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি ঘোষিত হতে পারে নির্বাচনী তফসিল। নির্বাচনের এই বছরে ঈদে মন্ত্রী, এমপি ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাড়তি দেখা যাবে বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিল। ঘটেছেও তাই। এবার ঈদে প্রায় সব রাজনীতিবিদই নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছেন এবং বেশ কলেবরেই প্রচারণা চালিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। এরপর তিনি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আগামী নির্বাচনকে রাজনৈতিক প্রচারণার ফাঁকে জাতীয় রাজনীতি নিয়েও মন্তব্য করতে ভুলে যাননি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেছেন, নির্বাচনে আসতে বিএনপির কোনো ভয় নেই। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। কাজেই নির্বাচন নিয়ে বিএনপির শঙ্কার কোনো অবকাশ নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এবার কোরবানির ঈদ উদযাপন করছেন তাঁর গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে। সেখানেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন তিনি। পরে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আজ বুধবার সকালে সিলেটের শাহী ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিমানে করে সিলেট যান অর্থমন্ত্রী। ঈদের নামাজ শেষে তিনিও সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
একই ভাবে আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতাই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন নিজ নিজ এলাকায়। এছাড়া ঈদের নামাজ ও কোরবানির মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন দলের অনেক মনোনয়ন প্রত্যার্শী।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের বাড়িতে ঈদের নামাজ পড়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। ঈদের মোড়কে রাজনৈতিক প্রচারণা শেষে জাতীয় রাজনীতি নিয়েও মন্তব্য করতে ভোলেননি এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যদি তারা চান, তাহলে তাদের সংলাপে আসতে হবে। এর বিকল্প কোনও পথ নেই।
বিএনপির এমন অনেক নেতাই নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন এবং আগামী নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালিয়ে এসেছেন। দলটি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না- এ নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও ঈদে ফ্রি প্রচারণায় বিএনপি নেতারা পিছিয়ে ছিল না।
অবশ্য বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন আজ বড় কোনে কর্মসূচি ছাড়াই ভালো মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছেন। অনুমতি না থাকলেও বিএনপির কয়েকজন নেতা আজ কারান্তরীণ বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। এই দলে ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তবে কারাগারেরর কাছেই যেতে পারেননি তাঁরা। এর আগেই নাজিম উদ্দীন রোডের মাথায় পুলিশের ব্যারিকেড থেকে ফিরে যেতে হয় তাঁদের। তবে বেশ মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছেন তাঁরা। ঈদের দিন রাজনৈতিক ঘটনা বলতে এই একটিই। বলতে গেলে আজ দুপুর থেকেই সব সংবাদমাধ্যমে এটি নিউজ আকারে প্রচার হচ্ছে। বলা যায়, রাতের টকশোরও খোরাক হবে বিএনপির নেতাদের ওই পদক্ষেপ।
ঈদের সংসদের বিরোধী দল এরশাদের জাপাও কোনোভাবে পিছিয়ে নেই। রংপুর কালেক্টরেট ঈদ গাহ মাঠে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। তবে এরশাদ প্রচারণার জন্য নামাজের আগের সময়কেই বেছে নেন। সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতাকালে আবেগঘন কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন, তাই শেষ বারের মতো রংপুরের জনগণের সেবা করে মরতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, রংপুরের মানুষের ঋণ আমি কোনও দিন শোধ করতে পারবো না। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আর একবার জনগণের সেবা করার সুযোগ চাই।’
প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়াও অন্য দলগুলোও এই ঈদকে নির্বাচনী প্রচারণায় মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়। অনেকে ঈদের নামাজ ও প্রচারণার পাশাপাশি কোরবানি করে মাংস বিলিয়ে দেওয়ারও উদ্যোগ নেয়। দেশে অনেক এলাকায় এমন উদ্যোগ দেখা গেছে। তাই এবার কোরবানির হারও ছিল গত কয়েকবারের তুলনায় বেশি। এককথায় বলা চলে, ভালোই চলেছে ঈদের মোড়কে নির্বাচনী প্রচারণা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ১৭ মে দেশের বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ
করবে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি।
বুধবার (১৫ মে) আওয়ামী লীগের ত্রাণ
ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি
ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার
(১৬ মে) দুপুর ১টায় তেজগাঁও ‘রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানা’য় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে
সুষম খাবার বিতরণ করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এছাড়াও এদিন রাজধানী ঢাকায় আজিমপুর
সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডস্থ এতিমখানা, সোবহানবাগ মসজিদ
সংলগ্ন এতিমখানা, বাড্ডা বেরাইদ রহিম উল্লাহ এতিমখানায় এতিম অসহায়দের মাঝে খাবার সামগ্রী
বিতরণ করা হবে।
একই সঙ্গে সিলেট হযরত শাহজালালের (র.)
মাজার সংলগ্ন এতিমখানা এবং চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানতের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা
ও গরীব উল্লাহ শাহের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানাতেও খাবার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
হবে।
এছাড়াও ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির
সদস্যদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে অবস্থিত এতিমখানাগুলোতে সুষম খাবার পরিবেশন
করা হবে।
পরের দিন শনিবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের
কদম মোবারক এতিমখানায় সুষম খাবার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এতিমখানা আওয়ামী লীগ উপ-কমিটি
মন্তব্য করুন
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী
তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান
প্রার্থী ও ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বুধবার বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, রংপুর বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, ঢাকা বিভাগের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন, কুমিল্লা বিভাগের ছয়জন ও খুলনা বিভাগের চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চীন সফর ভারত যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ এবং তার আদর্শিক জোট ১৪ দলের নেতাদের চীন সফরে হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর এই চীন সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ আলোচনা। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের চীন সফরের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছেন। তবে তারা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই মনে করছেন।