ইনসাইড পলিটিক্স

ঈদের মোড়কে রাজনৈতিক প্রচারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২২ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

ঈদুল আজহা পালিত হলো দেশজুড়ে। ঈদের কদিন আগে থেকেই অবশ্য রাজধানী ফাঁকা হতে শুরু করে। রাজধানীবাসী পাড়ি জমায় গ্রামের বাড়িতে। আর রাজধানীবাসীর সঙ্গে নিজ নিজ এলাকায় ঈদের জন্য পাড়ি জমান স্থানীয় জনপ্রনিধিরাও। এই ঈদে এলাকার সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া যায়। তাই ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সঙ্গে চলে রাজনৈতিক প্রচারণাও।

চলতি বছরের শেষেই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি ঘোষিত হতে পারে নির্বাচনী তফসিল। নির্বাচনের এই বছরে ঈদে মন্ত্রী, এমপি ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাড়তি দেখা যাবে বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিল। ঘটেছেও তাই। এবার ঈদে প্রায় সব রাজনীতিবিদই নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছেন এবং বেশ কলেবরেই প্রচারণা চালিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। এরপর তিনি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আগামী নির্বাচনকে রাজনৈতিক প্রচারণার ফাঁকে জাতীয় রাজনীতি নিয়েও মন্তব্য করতে ভুলে যাননি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেছেন, নির্বাচনে আসতে বিএনপির কোনো ভয় নেই। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। কাজেই নির্বাচন নিয়ে বিএনপির শঙ্কার কোনো অবকাশ নেই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এবার কোরবানির ঈদ উদযাপন করছেন তাঁর গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে। সেখানেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন তিনি। পরে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আজ বুধবার সকালে সিলেটের শাহী ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিমানে করে সিলেট যান অর্থমন্ত্রী। ঈদের নামাজ শেষে তিনিও সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

একই ভাবে আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতাই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন নিজ নিজ এলাকায়। এছাড়া ঈদের নামাজ ও কোরবানির মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন দলের অনেক মনোনয়ন প্রত্যার্শী।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের বাড়িতে ঈদের নামাজ পড়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। ঈদের মোড়কে রাজনৈতিক প্রচারণা শেষে জাতীয় রাজনীতি নিয়েও মন্তব্য করতে ভোলেননি এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যদি তারা চান, তাহলে তাদের সংলাপে আসতে হবে। এর বিকল্প কোনও পথ নেই।

বিএনপির এমন অনেক নেতাই নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন এবং আগামী নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালিয়ে এসেছেন। দলটি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না- এ নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও ঈদে ফ্রি প্রচারণায় বিএনপি নেতারা পিছিয়ে ছিল না।

অবশ্য বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন আজ বড় কোনে কর্মসূচি ছাড়াই ভালো মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছেন। অনুমতি না থাকলেও বিএনপির কয়েকজন নেতা আজ কারান্তরীণ বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। এই দলে ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তবে কারাগারেরর কাছেই যেতে পারেননি তাঁরা। এর আগেই নাজিম উদ্দীন রোডের মাথায় পুলিশের ব্যারিকেড থেকে ফিরে যেতে হয় তাঁদের। তবে বেশ মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছেন তাঁরা। ঈদের দিন রাজনৈতিক ঘটনা বলতে এই একটিই। বলতে গেলে আজ দুপুর থেকেই সব সংবাদমাধ্যমে এটি নিউজ আকারে প্রচার হচ্ছে। বলা যায়, রাতের টকশোরও খোরাক হবে বিএনপির নেতাদের ওই পদক্ষেপ।

ঈদের সংসদের বিরোধী দল এরশাদের জাপাও কোনোভাবে পিছিয়ে নেই। রংপুর কালেক্টরেট ঈদ গাহ মাঠে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। তবে এরশাদ প্রচারণার জন্য নামাজের আগের সময়কেই বেছে নেন। সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতাকালে আবেগঘন কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন, তাই শেষ বারের মতো রংপুরের জনগণের সেবা করে মরতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, রংপুরের মানুষের ঋণ আমি কোনও দিন শোধ করতে পারবো না। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আর একবার জনগণের সেবা করার সুযোগ চাই।’

প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়াও অন্য দলগুলোও এই ঈদকে নির্বাচনী প্রচারণায় মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়। অনেকে ঈদের নামাজ ও প্রচারণার পাশাপাশি কোরবানি করে মাংস বিলিয়ে দেওয়ারও উদ্যোগ নেয়। দেশে অনেক এলাকায় এমন উদ্যোগ দেখা গেছে। তাই এবার কোরবানির হারও ছিল গত কয়েকবারের তুলনায় বেশি। এককথায় বলা চলে, ভালোই চলেছে ঈদের মোড়কে নির্বাচনী প্রচারণা।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এতিমখানায় খাবার দেবে আওয়ামী লীগের উপ-কমিটি

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ১৭ মে দেশের বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ করবে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি। 

বুধবার (১৫ মে) আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ১টায় তেজগাঁও ‘রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানা’য় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এছাড়াও এদিন রাজধানী ঢাকায় আজিমপুর সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা, মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডস্থ এতিমখানা, সোবহানবাগ মসজিদ সংলগ্ন এতিমখানা, বাড্ডা বেরাইদ রহিম উল্লাহ এতিমখানায় এতিম অসহায়দের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। 

একই সঙ্গে সিলেট হযরত শাহজালালের (র.) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা এবং চট্টগ্রাম হযরত শাহ আমানতের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানা ও গরীব উল্লাহ শাহের (রহ) মাজার সংলগ্ন এতিমখানাতেও খাবার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্যদের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে অবস্থিত এতিমখানাগুলোতে সুষম খাবার পরিবেশন করা হবে।

পরের দিন শনিবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের কদম মোবারক এতিমখানায় সুষম খাবার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।


শেখ হাসিনা   স্বদেশ প্রত্যাবর্তন   এতিমখানা   আওয়ামী লীগ   উপ-কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৫২ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বুধবার বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, রংপুর বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, ঢাকা বিভাগের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন, কুমিল্লা বিভাগের ছয়জন ও খুলনা বিভাগের চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।


বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলায়নি, দাবি ফখরুলের

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান বদলায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বুধবার (১৫ মে) যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মকৌশল চূড়ান্ত করতে জোটের শরিকদের ধারাবাহিক বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু’র সফর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগের অবস্থানেই আছে, জনগণের চাওয়া-পাওয়ার বিপক্ষে তারা না। তবে কূটনৈতিক স্বার্থে যেকোনো সরকারের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখে থাকে।

সরকার এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের অপকৌশলের প্রয়েঅহ করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

সরকার এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের অপকৌশলের প্রয়েঅহ করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
  
তিনি বলেন, সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই কাজ করছে বিএনপি ও যুগপতের শরিকরা। 

যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মকৌশল চূড়ান্ত করতে বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে প্রথম দফায় গণফোরামের একাংশ ও পিপলস্ পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে লিঁয়াজো কমিটি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দ্বিতীয় দফায় গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা আরও ছয়টি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
  
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে দুই দফা ডোনাল্ড লু’র সফর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের চার মাস পর ফের ঢাকায় এলেন লু। তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করেন ডোনাল্ড লু।  বিমানবন্দরে লু’কে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা বিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।

ডোনাল্ড লু   বিএনপি   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযান

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, দলের ভেতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলের ভেতরের কোন্দল, বিভক্তি এবং নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য দলকে ব্যবহার করা, দলের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করা এই সমস্ত বিষয়গুলোকে একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। 

তিনি বলেন, আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ব্যস্ত। এবার আওয়ামী লীগ তাঁর প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর বার্ষিকী পালন করবে। এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের আবেগ অনুভূতি রয়েছে। ইতোমধ্যে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক জাঁকজমকপূর্ণভাবে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আর সে কারণেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এখন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঠিক পরপরই আওয়ামী লীগের ভেতর যারা কোন্দল সৃষ্টি করছেন, যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় মাই ম্যান তৈরি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হবে। 

আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা অপকর্ম করছেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ লঙ্ঘন করছেন এবং দলের ভেতর নানা রকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছেন তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং এই তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া হবে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, যে সমস্ত মন্ত্রী, এমপি এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দলের শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করেছেন উপজেলা নির্বাচনে এবং জাতীয় নির্বাচনের পর এলাকায় কোন্দল জিইয়ে রেখেছেন তাদের সঙ্গে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন, সতর্ক করবেন এবং কোন্দল মিটিয়ে ফেলার জন্য একটি আল্টিমেটাম দেবেন। এই সময়ের মধ্যে যদি তারা কোন্দল না মেটায় এবং সহিংসতার পথ থেকে সরে না আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন গ্রহণ করা হবে। 

আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি অনেক সহ্য করেছেন। নির্বাচনের পর থেকে তিনি বারবার বলছেন যে, দলের ভেতরে যেন কেউ বিভক্তি সৃষ্টি না করে, নির্বাচনের পর এখন সকলে যেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে কিন্তু বাস্তবতা হল যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী তারা কারও কথাই শুনছেন না। 

উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয়স্বজনদের নির্বাচনে না দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আহ্বানও সাড়া দেয়নি মন্ত্রী-এমপিরা। এখন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা পর্যবেক্ষণ করে দেখছেন যে, কোন কোন মন্ত্রী, এমপির আত্মীয়রা চর দখলের মতো এলাকা দখলের জন্য আধিপত্য বিস্তার করছেন এবং আত্মীয়করণ করছেন। যারা এটির সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের নামের তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে দেওয়া হবে। তবে যারা দলের ভেতর শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন এবং কোন্দল সৃষ্টি করছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতারা কিছু বলেননি। তারা মনে করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ক্ষমতাসীনদের চীন সফর: নজর রাখছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ এবং তার আদর্শিক জোট ১৪ দলের নেতাদের চীন সফরে হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর এই চীন সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ আলোচনা। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের চীন সফরের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছেন। তবে তারা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই মনে করছেন। 

রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এখন চীন সফর করছেন। রাশেদ খান মেনন ছাড়াও আওয়ামী লীগের শরিক এই জোটের অন্যান্য নেতারাও এই সফরে রয়েছেন। চীনপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত দিলীপ বড়ুয়া, শিরীন আখতার সহ শরিকদের প্রায় সবাই এই সফরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। আর এই সফরের পরপরই আওয়ামী লীগের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের একটি ৫০ সদস্যের বিশাল দল যাচ্ছে চীন সফরে। সেই সফরে নেতৃত্ব দেবেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি তানভীর শাকিল জয়। এর পরপরই কাজী জাফরউল্লাহ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল চীন সফরে যাবেন। 

পরপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের চীন সফর নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে নানারকম প্রশ্ন উঠেছে। আর এই ব্যাপারে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র দৃষ্টি রাখছে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

হঠাৎ করে আওয়ামী লীগে চীন সফরের হিড়িক কেন এই নিয়ে নানামূখী আলোচনা হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলছেন, এটি হঠাৎ করেই নয়। আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময়ে ভারত সফরও করেন। ভারতেও বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডের আলাপ আলোচনার জন্য মতবিনিময় করা হয়। ভারতীয় প্রতিনিধিদলও বাংলাদেশে আসেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধি দল নিয়মিতভাবে যায়। কিন্তু এবার চীনের সফরগুলো সব পাশাপাশি সময় এসেছে। আমন্ত্রণ গুলো কাছাকাছি সময়ে এসেছে। এই জন্য বিষয়টিকে বড় করে দেখা হচ্ছে৷ এটি আসলে একটি রুটিন কাজ। 

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আর এই রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণেই আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন, চীনের আগ্রহেই এই সফরগুলো হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বলয়ে চীনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হিসেবে এই সফরকে দেখছেন অনেকে। 

তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নিকটতম বন্ধু হল প্রতিবেশী ভারত। চীন তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পার্টনার। আর এই কারণেই আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, ভারতের সাথে তাদের এক ধরনের রাজনৈতিক এবং মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্কের বন্ধন রয়েছে, যা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্টি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চীনের অর্থনৈতিক বলয় বিস্তার এবং আওয়ামী লীগ এবং শরিকদের নেতৃবৃন্দের চীন সফর নিয়ে ভারত কোন মন্তব্য না করলেও বিষয়টি নিয়ে তারা দৃষ্টি রাখছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র এবং পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গেও এক সপ্তাহের মধ্যে সাক্ষাৎ করেছেন। কাজেই আওয়ামী লীগ যেন চীনমুখী রাজনীতির দিকে ঝুঁকে না পরে সে বিষয়ে  ভারতের নজর আছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয় নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ   চীন সফর   ভারত   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন