নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ২৩ অগাস্ট, ২০১৮
আগামীতে সরকারকে শূন্য মাঠে খেলতে দেওয়া হবে না। সরকার ভোটারদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এমনটা এখন আর কেউ ভাবে না।
ঈদুল আজহার পরদিন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আর এর মধ্যে দিয়েই একদিন পর হলেও ঈদে রাজনীতির মাঠে নিজের সরব উপস্থিতি ঘোষণা দিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের স্থায়ী এই বাসিন্দা।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঈদের দিনেও রাজনীতির মাঠে সরব দেখা যায়। অনুমতি নেওয়া ছাড়াই কারান্তরীণ দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান বিএনপি মহাসচিবসহ দলটির কয়েকজন সিনিয়র নেতা। নিয়ম অনুযায়ীই ঈদের দিন স্বজন ছাড়া বেগম জিয়ার সঙ্গে কারও দেখা করার সুযোগ ছিল না। তাই দুপুরে স্বজনরা দেখা করার সুযোগ পেলেও বিএনপির সিনিয়র নেতারা কারাগারের কাছেই যেতে পারেননি। তবে মিডিয়াতে বেশ প্রচার পায় বিএনপি নেতাদের ওই ব্যর্থ প্রচেষ্টা। কিন্তু ঈদের দিনে কোথাও পাওয়া যায়নি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিয়মিত মুখ দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে। তবে ঈদের দিন পর্দার আড়ালে থাকলেও পরদিনই স্বরূপে রাজনীতির পর্দায় রিজভী।
আজ দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গতকাল ঈদের দিনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন রিজভী। তিনি আরও বলেছেন, ‘নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের মন্ত্রীরা প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে নানা কথা বলে যাচ্ছেন।’
আর বিএনপির আর সবার মতোই নিজেদের ইস্যুর বাস্তবায়ন জনগণের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মত ‘একতরফা নির্বাচন’ আবারও করতে চাইলে ‘জনগণ’ তা প্রতিহত করবেই মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, আর জনগণ বসে থাকবে, জনগণ আঙ্গুল চুষবে- এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
বিএনপি গতবারের মতো নির্বাচনে না এসে সহিংসতার আশ্রয় নিলে’ দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন রিজভী। তিনি বলেছেন, শূন্য মাঠে আর খেলতে দেওয়া হবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিজভীর সংবাদ সম্মেলনে দলে তাঁর সমর্থক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্য ঈদের দিনের মতো ঈদের পরদিনও সরব বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখে না।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও যাওয়ার পথে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমান বন্দর চত্বরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কথা দিয়েছিল, আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন পদ্ধতি বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু তারা তা করেনি। আলোচনার মাধ্যমে দেশের সব সমস্যা সমাধানে বিএনপি আগ্রহী, তবে এই সরকার তা চায় না।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।