নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৯ পিএম, ২৩ অগাস্ট, ২০১৮
ড. কামাল হোসেন এবং ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী ভারতীয় দূতাবাসের দুজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার আলাদা আলাদাভাবে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে দুই নেতাই তাঁদের ঐক্য প্রক্রিয়া ও তৃতীয় শক্তির ব্যাপারে ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, আজ সন্ধ্যায় বারিধারায় বিকল্প ধারা বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট ও যুক্তফ্রন্টের আহ্বায়ক বি. চৌধুরীর বাসভবনে ভারতীয় দূতাবাসের দুই কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। আর আজ রাতে গুলশানের একটি বাড়িতে দুই দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকে বসেন ড. কামাল হোসেন।
পৃথক পৃথক বৈঠক হলেও ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ড. কামাল এবং বি. চৌধুরীর বক্তব্য ছিল অভিন্ন। দুই নেতাই, তাঁরা কী করতে যাচ্ছেন এ সম্পর্কে ভারতীয় দূতাবাসকে অবহিত করেন। তাঁরা মনে করেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই দলের কারণেই বাংলাদেশে প্রতিহিংসা ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির উত্থান হয়েছে। একদল যখন আরেক দলকে পরাজিত করে তখন তারা প্রতিহিংসার রাজত্ব কায়েম করে। সেই জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি তৃতীয় শক্তির উত্থান এবং ব্যালান্স অব পাওয়ার দরকার বলে ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তাদের জানান দুই নেতা।
দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠকে ড. কামাল ও বি. চৌধুরী তৃতীয় শক্তির উত্থানে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন। দুই নেতাই কূটনীতিকদের বুঝিয়েছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে যদি একটি তৃতীয় শক্তির উত্থান ঘটে তা হবে ভারতের জন্যও ইতিবাচক। দুই নেতাও এও বলেছেন, বর্তমান সরকার যে ভারতনীতিতে এগুচ্ছে সেই নীতির সঙ্গে তাঁদের কোনো বিরোধ নেই। তাঁরা শুধু বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তবে দুই নেতার বক্তব্যের বিষয়ে ভারতের দুই কূটনীতিক কোনো মন্তব্য করেননি বলেই জানা গেছে। তাঁরা শুধু নেতাদের বক্তব্য শুনে গেছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, দুটি বৈঠকের মূল বিষয় ছিল, আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে যে তৃতীয় শক্তি হচ্ছে তাতে যেন ভারত সহযোগিতা করে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনেও যেন সমর্থন দেয় ভারত। তবে ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর বিষয়ে ভারত কোনো সমর্থন দেবে কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু এখনো জানা যায়নি।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।