নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৫ পিএম, ২৮ অগাস্ট, ২০১৮
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মধ্যে একটি বৈঠক হচ্ছে আজ। গণফোরাম সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় ড. কামাল হোসেনের বাসায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার রূপরেখা প্রায় চূড়ান্ত। যুক্তফ্রন্টের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, এই রূপরেখা নিয়ে আলোচনার জন্যই ড. কামালের বাসায় সমবেত হবেন রাজনীতিবিদেরা। তবে বি. চৌধুরী ছাড়া আর কারা কারা এই বৈঠকে থাকবেন তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এই বৃহত্তর ঐক্যে যোগ দিতে বিএনপিও যথেষ্ট আগ্রহী। ঐক্যে যোগদানের জন্য দলটির পক্ষ থেকে ১১টি ইস্যু নিয়ে বৃহত্তর ঐক্যের রূপরেখার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১১টি ইস্যুর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ইস্যু হচ্ছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ, অর্থ পাচার ও লুটপাট বন্ধ, শেয়ারবাজার ও ব্যাংক লুটেরাদের চিহ্নিত করা, পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনা, দুর্নীতিবাজদের বিচার করা প্রভৃতি। নির্বাচনে জয়ী হলে ন্যায়পাল নিয়োগ, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের কথাও বলা হয়েছে রূপরেখায়। যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামও একই রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে। তবে বিএনপি ঐক্যে আসলেও তাদের প্রধান লক্ষ্য হবে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বৃহত্তরে ঐক্যে বিএনপির অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। কারণ বিএনপি তাদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামীকে ছাড়া কোনো জোটে আসতে আগ্রহী না। আর নেতারা চাইছেন জামাতকে বাদ দিয়ে ঐক্য করতে। আজকের বৈঠকে বিএনপির সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্যে আসা হবে কী হবে না বা আসলেও ঐক্যের নীতি কী হবে সেসব বিষয়েও আলোচনা হবে।
এছাড়া ড. কামাল হোসেন বর্তমানে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে থাকলেও তাঁর দল গণফোরাম আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে কোনো জোটে নেই। কামাল হোসেনকে তাই যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে কাজ করতেও অনুরোধ জানানো হবে বৈঠকে।
বৈঠক প্রসঙ্গে ড. কামালের ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’র সদস্য সচিব আ ব মোস্তফা আমিন বলেন, ‘সন্ধ্যা সাতটায় ড. কামাল সাহেব তার বাসায় বি চৌধুরী সাহেবকে নিয়ে বসবেন। সেই মিটিং এ বি. চৌধুরী সাহেব কাদেরকে নিয়ে আসবেন সেটা বলতে পারছি না।’
মার্কিন দূতাবাসের উদ্যোগে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বি. চৌধুরীর মধ্যে গত ১৯ আগস্ট রাতে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিনের বিভেদ ভুলে ওই বৈঠকে এক মঞ্চ থেকে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত এক রকম চূড়ান্ত করে ফেলেন এই দুই নেতা। রাজনৈতিক ঐক্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে আজকের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।