ইনসাইড বাংলাদেশ

‘অসময়ে নীরব, সুসময়ে সরব, আ স ম আব্দুর রব’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একসময় জাসদ নেতা আ স ম আব্দুর রব ছাত্রলীগ করতে এসেছিলেন। অনেকেই তাঁর মতো আওয়ামী লীগে যুক্ত হয়েছে। আবার চলে গেছে। সুবিধা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে মন্ত্রব্য করেন ‘অসময়ে নীরব, সুসময়ে সরব, আ.স.ম আব্দুর রব’।

আজ রোববার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত সাত দেশের জোট ‘বিমসটেক’ চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শুরু করেন।

মাহমুদুর রহমান মান্নার জোটে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্না এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। এর আগে তিনি সব সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেছেন। আমাদের বিরুদ্ধে লিখেই তিনি অভ্যস্ত। এবার তাঁকে বললাম আপনার লেখার হাত অনেকে ভালো, আপনিতো সবসময় আমাদের বিরুদ্ধে লিখেন। এবার একটু আমাদের পক্ষে লেখেন। একথা শুনেই মান্না জুড়ে দেয় কান্না।  

বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘হেনরি কিসিঞ্জার মন্তব্য করেছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হলে একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হবে। সে বাংলাদেশ এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। অনেক দেশ আমাদের কাছে এমন উন্নয়নের কারণ কি, ম্যাজিক কি, জানতে চান। আমি বলি ম্যাজিক একটাই দেশের মানুষকে ভালবাসতে হবে এবং দেশের উন্নয়েন কাজ করতে হবে। এটাই আমাদের ম্যাজিক।’

ইভিএম নিয়ে বিরোধীতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ব্যালটে ভোট হলে কারচুপির সুযোগ পায় তারা। নানা কারচুপির পদ্ধতি তাদের জানা। সেখানে ইভিএম হলে তো তাঁরা কারচুপি করতে পারবে না। তাই ইভিএমন বিরোধীতা। তবে এটিই শেষ কথা নয়। সমস্যা হলে এর সমাধানও হবে।

মিডিয়ায় বিএনপিকে হাইলাইট দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বেসরকারি টেলিভিশনের লাইসেন্স আমি প্রদান করেছি, তারপরেও আমি থাকি তিন নম্বর স্থানে। কিন্তু বিএনপি বিরোধীদলেও নাই, সরকারেও নাই, তাঁরা কোনো স্থানে না থাকার পরেও তারাই এক নম্বর স্থানে থাকে। তারাই মিডিয়ার কাছে অগ্রাধিকার পায়। মিডিয়ার কাছে বিএনপি’ই ফেবারিট।’ 

বিএনপি চেয়ারপারসনের আদালতে হাজির না হওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে আদালতে ১৫৪ বার আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি হাজির হননি। অন্য কেউ যদি এত বার আদালতকে অগ্রাগ্য করতো তাহলে আপনারা (মিডিয়া) কী লিখতেন। কিন্তু কিছু লোকের দোষ দেখা হয় না। আর আমাদের পান থেকে চুন খসলেই হাউমাউ শুরু হয়।’

সংবাদ সম্মেলনের একটি পর্যায়ে প্রখ্যাত সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রীকে নিজের পরিচয় দেওয়ার সময় বলেন, ‘আমি আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান।’ পত্রিকাটি নতুন বলেও উল্লেখ করেন নাইমুল ইসলাম খান। এসময় অডিটোরিয়ামে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। নাইমুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বিএনপি আন্দোলন করে না কেন প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু আপনার সমর্থন ছাড়া তো বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না।

মিয়ানমারের ভুয়া ছবি ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার মুক্তি যুদ্ধের ছবি ব্যবহার করে জঘন্য কাজ করেছে। তবে বাংলাদেশেও এই ঘটনা বহুবার ঘটেছে। আপনারা দেখেছেন, মক্কা শরীফের মানববন্ধন করার ছবি তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৩, ১০১৪, ২০১৫ সালে দেখেছেন, বিভিন্ন ছবি বানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি-জামাত এগুলো করেছে। মিয়ানমারও এমন কাজ করেছে। এটা অত্যন্ত জঘন্য কাজ। মিয়ানমার কি তাহলে জামাত-বিএনপির কাছ থেকে এগুলো শিখেছে?

রোহিঙ্গা পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএমসটেক সম্মেলনের সময় মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের উইন মিন্তের সঙ্গে তাঁর অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে যে সমঝোতা চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁদের কাছে মিয়ানমারে ফিরে যেতে ইচ্ছুক এমন ৩০০০ জনের তালিকা আছে। এদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। 

গত বৃহস্পতিবার বিমসটেক চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নেপাল যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐদিন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। সম্মেলন চলাকালে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং ভূটানের প্রধান উপদেষ্টা দাশো সেরিং ওয়াংচুক এর সঙ্গে বৈঠক করেন। শুক্রবার তিনি দেশে ফিরে আসেন।

প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর থেকে ফিরে এসে সে বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করার জন্য সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।

বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে না যায় বা না সমর্থন করে এমন নির্দেশনা থাকলেও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই চলছে।

জানা গেছে, আনোয়ারায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। তবে এর মধ্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান কাজী মোজাম্মেল হককে (আনারস) ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এম এ মান্নান চৌধুরীকে (মোটরসাইকেল) সমর্থন দিচ্ছেন। ভোট ছাপিয়ে উপজেলা নির্বাচন পরিণত হয়েছে সাবেক ও বর্তমান দুই মন্ত্রীর লড়াইয়ের মঞ্চ। তবে দুই নেতার বাইরে আলাদাভাবে প্রচারণা এগিয়ে নিচ্ছেন দুবারের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী (দোয়াত কলম)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা ডেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করে। ওই সভায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাকে সমর্থন দেন। একই দিন রাতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনীসহ বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করেন ওয়াসিকার অনুসারীরা। 

তবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী কাজী মোজাম্মেল হক উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনী পরিবেশের মোড় ঘুরে যায়। মোজাম্মেলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেকে থাকায় জমে উঠেছে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আমেজ।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে আনোয়ারায় তিন পক্ষ একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রীর প্রার্থী এম এ মান্নানকে জেতাতে ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এককাট্টা হলেও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মাঠে নেমেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হককে জেতাতে। ওই দুই প্রার্থীর বাইরে জেলা-উপজেলার বেশ কিছু নেতাকে নিয়ে মাঠে আছেন তৌহিদুল হক চৌধুরী।

উল্লেখ্য, আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৭৪টি ভোটকেন্দ্র আছে। তার মধ্যে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৪৮৪টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৫০টি। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ২২১ জন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপিপুত্রের দাপটে অন্যরা কোণঠাসা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম দিপুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করার ফলে অন্য প্রার্থীরা তাদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

প্রার্থীদের অভিযোগ, দিপু বাবার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তার সমর্থকরা পদে পদে হয়রানি করছে অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। প্রশাসনকে নিজেদের কাজে লাগানো, অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের হুমকি, প্রচারণায় বাধাসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড করছেন ভোটের মাঠে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তার বাবা মোরশেদ আলম। সম্মেলনের মাধ্যমে লায়ন জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের পক্ষে ভোট করার দায়ে লায়ন জাহাঙ্গীরকে পদ থেকে বহিষ্কার করেন এমপি মোরশেদ। এরপর নিজের পছন্দের বাহার উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করেন তিনি। এ ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন মোরশেদ। কোনো সম্মেলন ছাড়াই তিনি এসব কমিটি দিচ্ছেন। সব মিলেয়ে সেনবাগে রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্বাভাবিক করে তুলেছে এমপি পরিবার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিগুলোও তাদের দখলে।

জানা গেছে, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই অন্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি এবং দলীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছেন সাইফুল আলম দিপু ও তার অনুসারীরা। নির্বাচনে ১, ৬,৭ ও ৮ নং ইউনিয়নসহ অন্য ইউনিয়নেও অন্য প্রার্থীর এজেন্ট প্রবেশ না করার জন্যও প্রতিনিয়ত চাপ ও হুমকি দিচ্ছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা জানান, তার বিপক্ষে গিয়ে অন্য প্রার্থীর ভোট করায় তাদের সরকারি বরাদ্দ টিআর, কাবিখা এবং দলীয় পদপদবি না দেওয়ার চাপ দিচ্ছেন দিপু। এজন্য প্রশাসন দিয়েও নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) দেশের ১৫৭টি উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২য় ধাপে সেনবাগসহ নোয়াখালীতে মোট ৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন মোট ১৫ জন প্রার্থী৷ তারা সবাই ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল আলম দিপু ছাড়াও চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু, বর্তমান চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হাসান মঞ্জুর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সদস্য মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম জাকির হোসেন জুয়েল ও টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর আলম মানিক।

উপজেলা নির্বাচন   নোয়াখালী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে সেনা অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র, কার্তুজ, সামরিক পোশাক ও অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রুমা উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডেবাছড়ার গভীর অরণ্যে কেএনএফ আস্তানা গেড়েছে- এমন খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টা ব্যাপী গুলি বিনিময়ের পর সেখান থেকে কেএনএফের দু’জন সদস্যের লাশ ও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তিনিও মারা যান। নিহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছে। ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ সেখানে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

বান্দরবান   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নিয়ে মতবিনিময় সভা

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস। 

 

মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।


ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য   মতবিনিময়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।

 
রোববার (১৯ মে) মোটরসাইলে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

 
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে প্রচার কাজ চালিয়েছেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঙ্ঘন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’

পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আচরণ বিধি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন