ইনসাইড বাংলাদেশ

‘নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৫০ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের জনগণ সঙ্গে থাকলে নির্বাচন হবে। ইলেকশন ঠেকানোর মতো কারও কোনো শক্তি নেই। এই দেশটা আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। সে কারণে এ দেশের মানুষের জন্য কাজ এবং উন্নয়ন করা দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে আমি মনে করি।’  

আজ রোববার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত সাত দেশের জোট ‘বিমসটেক’ চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শুরু করেন।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ১০০ বছরে কোন পর্যায়ে যাবে সেই পরিকল্পনা চলছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, ড. কামালরা আদৌ নির্বাচন চায় কী না সেটাই প্রশ্ন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ড. কামালকে আইনমন্ত্রী বানিয়েছেন। পরে তাঁর ছেড়ে দেওয়া আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া নির্বাচিত হয়েছেন ড. কামাল। তিনিই আবার সংবিধানের এই নিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেন। নিজেই প্রণেতা দাবি করে এর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন।

বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর আমি যখন তাঁর বাসায় গেলাম দেখতে, তারা কি করলো? আমার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিলো, ভেতরে ঢুকতে দিলো না। সেই দিনই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আর তাদের সঙ্গে আমি বসবো না, তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হবে না। আপনারা যে যা-ই বলেন না কেন, ক্ষমতায় থাকি আর না থাকি, তাতে কিছুই আসে যায় না। আমার একটা আত্মসম্মানবোধ আছে।’

নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি হুঙ্কার দিচ্ছে তাঁরা নির্বাচন করবে না। এটা তাদের দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। এটা তাদের দলের সিদ্ধান্ত। আমাদের কি করার আছে? তাঁরা যদি মনে করে নির্বাচন করবে না, তাহলে করবে না। এখানে তো আমাদের বাধা দেওয়ারও কিছু নেই বা দাওয়াত দেওয়ারও কিছু নেই।’

ড. কামাল-বদরুদ্দোজাদের জাতীয় ঐক্যর প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পার্টি দুইটি। আওয়ামী লীগ ও এন্টি আওয়ামী লীগ। এন্টি আওয়ামী লীগের কোথাও যাওয়ার তো জায়গা লাগবে।’

জোটে থাকা আ স ম আব্দুর রব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একসময় জাসদ নেতা আ স ম আব্দুর রব ছাত্রলীগ করতে এসেছিলেন। অনেকেই তাঁর মতো আওয়ামী লীগে যুক্ত হয়েছে। আবার চলে গেছেন। সুবিধা নিয়েছেb। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে মন্তব্য করেন ‘অসময়ে নীরব, সুসময়ে সরব, আ.স.ম আব্দুর রব।’

মাহমুদুর রহমান মান্নার জোটে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্না এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। এর আগে তিনি সব সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেছেন। আমাদের বিরুদ্ধে লিখেই তিনি অভ্যস্ত। এবার তাঁকে বললাম আপনার লেখার হাত অনেকে ভালো, আপনিতো সবসময় আমাদের বিরুদ্ধে লিখেন। এবার একটু আমাদের পক্ষে লেখেন। একথা শুনেই মান্না জুড়ে দেয় কান্না।’ 

বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হেনরি কিসিঞ্জার মন্তব্য করেছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হলে একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হবে। সে বাংলাদেশ এখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। অনেক দেশ আমাদের কাছে এমন উন্নয়নের কারণ কি, ম্যাজিক কি, জানতে চান। আমি বলি ম্যাজিক একটাই দেশের মানুষকে ভালবাসতে হবে এবং দেশের উন্নয়েন কাজ করতে হবে। এটাই আমাদের ম্যাজিক।’

ইভিএম নিয়ে বিরোধীতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যালটে ভোট হলে কারচুপির সুযোগ পায় তারা। নানা কারচুপির পদ্ধতি তাদের জানা। সেখানে ইভিএম হলে তো তাঁরা কারচুপি করতে পারবে না। তাই ইভিএমন বিরোধীতা। তবে এটিই শেষ কথা নয়। সমস্যা হলে এর সমাধানও হবে। ইভিএম নিয়ে আসার জন্য আমি সবসময় পক্ষেই ছিলাম, এখনো আছি। তবে এটাও ঠিক এটা তাড়াহুড়ো করে চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। কারণ একটা প্র্যাকটিসের ব্যাপার আছে।’

মিডিয়ায় বিএনপিকে হাইলাইট দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেসরকারি টেলিভিশনের লাইসেন্স আমি প্রদান করেছি, তারপরেও আমি থাকি তিন নম্বর স্থানে। কিন্তু বিএনপি বিরোধীদলেও নাই, সরকারেও নাই, তাঁরা কোনো স্থানে না থাকার পরেও তারাই এক নম্বর স্থানে থাকে। তারাই মিডিয়ার কাছে অগ্রাধিকার পায়। মিডিয়ার কাছে বিএনপি’ই ফেবারিট।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের কারাগারে থাকা এবং মামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এই মামলা কোর্টে ১০ বছর চলেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনকে আদালতে ১৫৪ বার আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি হাজির হননি। অন্য কেউ যদি এত বার আদালতকে অগ্রাগ্য করতো তাহলে আপনারা (মিডিয়া) কী লিখতেন। কিন্তু কিছু লোকের দোষ দেখা হয় না। আর আমাদের পান থেকে চুন খসলেই হাউমাউ শুরু হয়। আমরা যদি এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতাম তাহলে কি এত সময় লাগতো?’

সংবাদ সম্মেলনের একটি পর্যায়ে প্রখ্যাত সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রীকে নিজের পরিচয় দেওয়ার সময় বলেন, ‘আমি আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান।’ পত্রিকাটি নতুন বলেও উল্লেখ করেন নাইমুল ইসলাম খান। এসময় অডিটোরিয়ামে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। নাইমুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বিএনপি আন্দোলন করে না কেন প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু আপনার সমর্থন ছাড়া তো বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা কিন্তু সব ধরণের ব্যবস্থাই জাতীয় নির্বাচনে একবার না একবার অনুশীলন করে দেখেছি যে কোনটাই কাজে লাগে না। আমরা যদি এখন ক্ষমতা থেকে সরে দাড়াই তাহলে সমস্যা হল যারা একবার ক্ষমতায় বসে, তারাতো আর চেয়ার ছাড়তে চায় না। আমরা মার্শাল ল দেখেছি আবার কেয়ার টেকার সরকারও দেখেছি। যার ফলে উচ্চ আদালত একটা রায় দেয় এদেশে কখনই অনির্বাচিত কোনো সরকার ক্ষমতায় আসতে পারবে ন। ভারতীয় পার্লামেন্ট, বৃটিশ পার্লামেন্টে সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই নির্বাচন হয়। শুধু মধ্যবর্তী নির্বাচন দিলে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হয়।’

রোহিঙ্গা পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএমসটেক সম্মেলনের সময় মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের উইন মিন্তের সঙ্গে তাঁর অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে যে সমঝোতা চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁদের কাছে মিয়ানমারে ফিরে যেতে ইচ্ছুক এমন ৩০০০ জনের তালিকা আছে। এদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।’

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ভুয়া ছবি ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার মুক্তি যুদ্ধের ছবি ব্যবহার করে জঘন্য কাজ করেছে। তবে বাংলাদেশেও এই ঘটনা বহুবার ঘটেছে। আপনারা দেখেছেন, মক্কা শরীফের মানববন্ধন করার ছবি তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৩, ১০১৪, ২০১৫ সালে দেখেছেন, বিভিন্ন ছবি বানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি-জামাত এগুলো করেছে। মিয়ানমারও এমন কাজ করেছে। এটা অত্যন্ত জঘন্য কাজ। মিয়ানমার কি তাহলে জামাত-বিএনপির কাছ থেকে এগুলো শিখেছে? এছাড়া মিয়ানমার এটা একটা অত্যন্ত জঘন্য কাজ করেছে। সব থেকে বড় কথা হলো, তাঁরা নিজেরাই, নিজেদের সন্মান নষ্ট করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে তাঁরা নিজেদের অবস্থান নিজেরাই খারাপ করেছে।’ 

গত বৃহস্পতিবার বিমসটেক চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে নেপাল যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐদিন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। সম্মেলন চলাকালে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং ভূটানের প্রধান উপদেষ্টা দাশো সেরিং ওয়াংচুক এর সঙ্গে বৈঠক করেন। শুক্রবার তিনি দেশে ফিরে আসেন।

প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর থেকে ফিরে এসে সে বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করার জন্য সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।

বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রবাসীদের সুখবর দিল মালয়েশিয়া হাইকমিশন

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার প্রবাসীদের সুখবর দিল হাইকমিশন। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য পেনাং জোহরবারু প্রদেশে পোস্ট অফিসের পাশাপাশি দিন হাতে হাতে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেবে হাইকমিশন। সম্প্রতি পাসপোর্ট ভিসা কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মদ কিয়ামউদ্দিন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৮ ১৯ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পেনাং জর্জ টাউনের বাংলাদেশ অনারারি কনস্যুলেট অফিস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এই জন্য আগামী ১৫ মে মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

সেই সঙ্গে আগামী ২৫ ২৬ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জহুর বারুর অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এই জন্য আগামী ২২ মে মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

যেসব পাসপোর্ট আবেদনকারীর তথ্য অনলাইনে থাকবে শুধু তারাই সরাসরি উপস্থিত হয়ে হাতে হাতে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন। ছাড়াও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণের সার্ভিসটিও যথারীতি চালু থাকবে। নির্ধারিত স্থান থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য https://appointment.bdhckl.gov.bd/other ঠিকানায় গিয়ে অনলাইনে অ্যাপয়েনমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য ডাকযোগ সেবাটি চালু থাকবে।

 

 


প্রবাসী   সুখবর   মালয়েশিয়া   হাইকমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: গজারিয়ায় সংঘর্ষ, মামলায় ২শ আসামি

প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালটপেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা, অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও দুইশো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।  

গজারিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই জাহিদ বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দেড়শো থেকে দুইশো জনকে আসামি করে গজারিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। গতকাল বিকেলে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় দুপুর দেড়টার দিকে কেন্দ্র দখলে নিয়ে একাধিক ব্যালটপেপারে সিল মারেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের সমর্থকরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যালটে মারার সিল লুট করে নিয়ে যান তারা।

পরে ওই কেন্দ্রে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার। বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে আবার ভোটগ্রহণ শুরু করা হলে কেন্দ্রের বাইরে থাকা দেড়শো থেকে দুইশো কর্মী সমর্থক জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের ওপর হামলা করেন। ভাঙচুর করা হয় তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি। হামলা ঠেকাতে গিয়ে ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হন পুলিশের দুই সদস্য সাদ্দাম (২৪) ও সোহাগ (২৫)। 

ঘটনা শুনে কেন্দ্রের ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে এলে তাদের ওপর ইট-পাটকেল, লাঠি-সোটা, হাতবোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আবার কেন্দ্রের দখল নেয়ার চেষ্টা করেন ওই কর্মী-সমর্থকরা। এসব ঘটনার উসকানি ও নেতৃত্ব দেন হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু।  

পুলিশ বারবার তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার এজাহারে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শো থেকে দুইশো জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুম (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   সংঘর্ষ   মামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাইলট অসীম জাওয়াদ মানিকগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন

প্রকাশ: ০৮:৩৫ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট অসীম জাওয়াদকে মানিকগঞ্জে দাফন করা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে নিহতের পারিবারিক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

নিহত বৈমানিক অসীম মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর শোনে কান্না থামছে না মা নিলুফা খানমের। ছেলে হারিয়ে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। ছেলের এমন মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেও দুজন আহত হন।

পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানের উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক অসীম জাওয়াদ বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

১৯৯২ সালের ২০ মার্চ আসীম জাওয়াদ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি  এবং এইচএসসি পাস করেন। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন।

চাকরিকালীন তিনি দেশ-বিদেশে পেশাগত বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে তা সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে এভিয়েশন ইন্সট্রাক্টর্স পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি চীন থেকে ফাইটার পাইলটস ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স, ভারত থেকে অপারেশনাল ট্রেনিং ইন এভিয়েশন মেডিসিন ফর ফাইটার পাইলটস কোর্স, বেসিক এয়ার স্টাফ কোর্স ও কোয়ালিফায়েড ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর্স কোর্স সম্পন্ন করেন।

তিনি পেশাদারি দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মফিজ ট্রফি’, ‘বিমানবাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমানবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়া ভারতীয় বিমানবাহিনীতে কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্ডিয়ান এয়ার অর্জন করেন।

 


পাইলট   অসীম   মানিকগঞ্জ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ডেভিড মেল

প্রকাশ: ০৮:২৬ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মেলকে মনোনীত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলির নাম ঘোষণা ক‌রেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ডেভিড স্লেটন মেল বর্তমানে চীনের বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে রয়েছেন। সেখানে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

ডেভিড স্লেটন মেল স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস অ্যাফেয়ার্সের ট্রেড পলিসি অ্যান্ড নেগোসিয়েশনের উপ-সহকারী সচিব ছিলেন। তিনি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, ইউক্রেনের কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসে অর্থনৈতিক বিষয়ক পরামর্শদাতা ছাড়াও চীন, হংকং, তাইওয়ান, গিনি ও ওয়াশিংটনে নানা দায়িত্ব পালন করছেন।

মিলির ম‌নোনয়ন এরই মধ্যে সি‌নেটে পাঠা‌নো হয়েছে। সি‌নে‌টে শুনানির পর মিলিকে যোগ্য ম‌নে হ‌লে ত‌বেই ম‌নোনয়ন চূড়ান্ত ক‌রে রাষ্ট্রদূত ক‌রে তা‌কে ঢাকায় পাঠা‌নো হ‌বে। মিলি ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হ‌লে বর্তমান রাষ্ট্রদূত পিটার হা‌সের স্থলা‌ভি‌ষিক্ত হ‌বেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের পথে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:০৮ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে তিনি ঢাকা থেকে রওনা করেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস রানা। তিনি বলেন, `প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন'।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু ও অপর শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।


সফরে   গোপালগঞ্জ   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন