নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
আমাদের স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সুফল ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে। আমরা এখন তিনদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাই। কিন্তু স্যাটেলাইটের সুবাদে টানা ১০ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাবে এখন থেকে। সেই সঙ্গে মিলবে দুর্যোগের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ও স্থায়িত্বকাল।
এই স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া সংকেত সারাদেশে নির্ভুলভাবে পৌঁছে দিতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সারাদেশে স্থাপন করা হচ্ছে আরও ২০০টি আবহাওয়া সতর্ককরণ কেন্দ্র। এরই মধ্যে নিজস্ব স্যাটেলাইটের সর্বোচ্চ ব্যবহারে অঞ্চলভিত্তিক স্যাটেলাইট কেন্দ্র করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে দেশের আবহাওয়া পরিমাপ কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের সমীক্ষা তৈরিতে বর্তমানে আলাদা আলাদা স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক ব্যবহার হয়। ফলে আবহাওয়ার সঠিক তথ্য বা সংকেত যথাসময়ে পাঠানো সম্ভব হয় না। আবার অপরদিকে বিদেশি স্যাটেলাইটের জন্য অর্থ খরচও বেশি হচ্ছে।
কিন্তু এবার নিজস্ব বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সারাদেশে আবহাওয়ার সঠিক পূর্বাভাস সময়মত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। তাই তথ্য উপাত্ত পর্যবেক্ষণের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইন্টারনেট কিংবা মোবাইল সংযোগ না থাকলে তখন আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যায় না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সব তথ্য ঢাকায় ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা যাবে।
আর এখন থেকে তিন দিনের পরিবর্তে ১০ দিনের পূর্বাভাসের পাশাপাশি দুর্যোগের দিনক্ষণ ও স্থায়িত্বকাল উল্লেখসহ আবহাওয়ার প্রতিঘন্টার অগ্রগতি তুলে ধরা হবে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। কোথায় কখন বৃষ্টি হবে, সেই বৃষ্টি ভারী নাকি মাঝারি হবে, আদ্রতা কেমন থাকবে তার সবই উল্লেখ থাকবে আবহাওয়া পূর্বাভাসে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সারাদেশে তথ্য উপাত্ত আদান-প্রদানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্যাটেলাইট কেন্দ্র স্থাপনের পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সালাউদ্দীন সেলিম বলেন, যখন দুর্যোগ হয় তখন পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল হয়ে যায়। স্যাটেলাইটে যেহেতু ক্যাবলের কোনো ঝামেলা নেই তাই এটি আবহাওয়ার তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
নিজস্ব স্যাটেলাইট ব্যবহার করে অঞ্চলভিত্তিক পরিবর্তনশীল আবহাওয়া পরিস্থিতি সরাসরি পেতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এজন্য সারাদেশে হ্যাজার্ড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে যার অ্যাকুরেসি ১০০ শতাংশ। এক্ষেত্রে স্যাটেলাইট বেশ সহায়ক হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
বর্তমান
সময়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম ইনস্টাগ্রাম। তাইতো প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার এনে
চমকে দেয় মেটার মালিকানাধীন
এই প্লাটফর্মটি। এবার ইনস্টাগ্রামে স্টোরি
দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা হবে
ব্যবহারকারীদের। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামে
যুক্ত হচ্ছে রিভিল নামের একটি ফিচার।
যার
মাধ্যমে স্টোরি আপলোড করেও লুকিয়ে রাখা
যাবে। সেই স্টোরি দেখতে
হলে ফলোয়ারকে ডিএম অর্থাৎ ডিরেক্ট
মেসেজ করতে হবে। আপনি
অনুমতি দিলে তবেই সেই
স্টোরিটি দেখতে পাবেন ফলোয়াররা। অর্থাৎ আপনার স্টোরি কে দেখবে না
দেখবে, তা সম্পূর্ণ ভাবে
আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
যেভাবে এই স্টোরি আপলোড করতে হবে-
স্টোরি
তৈরি করার সময় সবার
আগে ক্লিক করতে হবে স্টিকার
আইকনে। সেখানেই খুঁজে পাবেন রিভিল নামের আইকনটি। সেটি সিলেক্ট করে
নিলে স্টোরি সংক্রান্ত বিষয়টি সেখানে উল্লেখ করতে পারবেন। যাতে
আপনার ব্লার স্টোরির আড়ালে কী লুকিয়ে রয়েছে,
তার একটা ইঙ্গিত পাবেন
আপনার ফলোয়াররা।
এই
স্টোরি ইউজাররা কীভাবে দেখতে পাবেন, তা জানা যাবে
স্ক্রিনের বাঁদিকের নিচে একটি প্রিভিউ
আইকন থেকে। আপনি সেই প্রিভিউতে
ক্লিক করে দেখে নিতে
পারবেন ইউজারদের কাছে আপনার স্টোরিটি
কীভাবে শো করবে। তবে
স্টোরিটি দেখতে ইউজারদের ডিএম করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। কিন্তু আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে স্মার্টফোন। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
স্মার্টফোন নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী লেকুনেরই প্রথম নয়। এর আগে নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালে বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেইন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! এটি নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।