ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার সুশীল সমাজের হয়ে ব্যাট করতে হবে ইমরানকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৩১ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দায়িত্বগ্রহণের পরই একটি উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন ও সংস্কার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি অভিজাত শ্রেণীর দুর্নীতি দমন করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নারী কল্যাণে বরাদ্দ বৃদ্ধির অঙ্গীকার করেছেন।

ইমরানের ঘোষিত সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য তাঁকে অবশ্যই পাকিস্তানের কোণঠাসা সুশীল সমাজের সমর্থন আদায় করতে হবে। দেশটির সামরিক বাহিনী এবং পূর্ববর্তী সরকারগুলো সেখানকার সুশীল নাগরিকদের ওপর যে দমন-পীড়ন এবং নানা বিধি নিষেধ আরোপ করেছিল, নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই সেই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। একইসঙ্গে তারা যেন নির্বিঘ্নে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারে সেজন্য সহায়তাও করতে হবে ইমরানকে।  

রাজনীতিতে প্রবেশের পর বিভিন্ন ইস্যুতে সুস্পষ্টভাবেই ইমরানের অবস্থান ছিল সুশীল সমাজের বিপক্ষে। বৈষম্যমূলক ব্লাসফেমি আইন সমর্থন করেছিলেন তিনি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাঁকে উদারপন্থীদের প্রতি আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে দেখা গেছে। অতীতে সংবাদ মাধ্যমেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন ইমরান। অন্যদিকে আফগানিস্তানে জঙ্গি সগঠন তালেনবানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে দখলদারদের বিরুদ্ধে বৈধ জিহাদ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। তবে বর্তমানে ইমরানের সামনে অতীত অবস্থান পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। একটি নতুন এবং ঐক্যবদ্ধ দেশ ও জাতির জন্য তিনি এই সুযোগটি গ্রহণ করতেই পারেন।

আন্তর্জাতিক মানব উন্নয়ন সূচকের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের অবস্থান একেবারেই নীচের দিকে। দেশটিতে শিশু মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিলের তথ্য অনুযায়ী, আইসল্যান্ডে প্রতি এক হাজার জনে মাত্র একটি শিশুর মৃত্যু হয়। সেখানে পাকিস্তানে এ সংখ্যা ২২ জনে একজন। দেশটির ২৩ মিলিয়ন শিশুই স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায় না।

পাকিস্তান যেসব সহায়তা পেতে পারে তার সবই গ্রহণ করা দরকার দেশটির। পাহাড় সমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইমরানের অর্থ ও দক্ষতা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। চলতি বছর দেশটিতে বড় কয়েকটি আন্তর্জাতিক ঋণ ও আর্থিক সহায়তা বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে ট্যাক্স ও রপ্তানি থেকে রাজস্ব আয়ও হ্রাস পাচ্ছে।

অ্যাকশন এইড, এশিয়া ফাউন্ডেশন, মার্সি কর্পস ও ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের মতো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা বহু বছর ধরেই পাকিস্তানে কাজ করছে। সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোও বন্যাসহ বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষা বিস্তারেও ভূমিকা রেখেছে তারা। এছাড়া হিন্দু ও খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সঙ্গেও কাজ করেছে সুশীল সমাজ, রাষ্ট্র যাদের উপেক্ষা করে আসছিল।

কিন্তু স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এসব এনজিওগুলোকে সহায়তার পরিবর্তে দেশটির সরকার সবসময়ই তাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ও পদক্ষেপ গ্রহণ করে এসেছে। পূর্ববর্তী সরকার ও সামরিক বাহিনী সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সীমিতকরণ এমনকি কয়েকটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছিল।

পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকার এবং ডানপন্থী সংবাদমাধ্যমগুলো সবসময়ই আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর গুপ্তচরবৃত্তি এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার খবর প্রচার করে এসেছে।

গত বছর পাক সরকার ২১ টি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাকে পুনঃনিবন্ধনের আদেশ দেয়। কিন্তু ডিসেম্বরে পুনঃনিবন্ধনের আবেদন করার পর সরকার তা বাতিল করে। এই সিদ্ধান্তের কোন আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যাও দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সংস্থাগুলো এখনও তাদের একটি আপিলের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে। চলমান অনিশ্চয়তার কারনে এই সংস্থাগুলো পরিচালিত বিভিন্ন প্রোগ্রাম এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। এর ফলে কয়েক হাজার পাকিস্তানি বেকার হয়ে পড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর মতো দাতাগোষ্ঠীরাও দেশটিতে সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে দ্বিধাবোধ করছে।

এটা খুবই দুঃখজনক যে, পাকিস্তান জঙ্গীগোষ্ঠী দমনে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সুশীল সমাজ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন যারা উন্নত পাকিস্তানের জন্য কাজ করছে তাদের ওপর চলমান দমন-পীড়নের প্রতিকার করতে ব্যর্থ হলে ইমরানের সংস্কার পরিকল্পনার বাস্তব অগ্রগতি কোনভাবেই সম্ভব নয়। একারনে দেশের উন্নয়নের জন্যই ইমরানের পূর্বের অবস্থান পরিবর্তন করে সুশীল সমাজকে নিয়ে কাজ উচিৎ। 

লেখক: পাকিস্তানের রাজনীতি নিয়ে সম্প্রতি ‘পাকিস্তান অন ব্রিংক: দ্য ফিউচার অব আফগানিস্তান, পাকিস্তান অ্যান্ড দ্য ওয়েস্ট’ নামে বই লিখেছেন। 

সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিনপন্থি প্রধানমন্ত্রীকে গুলির নেপথ্যে পশ্চিমা শক্তি?

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন কূটনীতি আর রাজনীতিতে পরাজিত হয় তখন গুপ্তহত্যার মতো ঘৃণ্য পথ বেছে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবে না । তারই সবশেষ নজির দেখা গেল পুতিন ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভাকিয়ায়।

পুতিনকে সমর্থন করার মূল্য হয়তো নিজ জীবন দিয়েই দিতে হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে। বুধবার এক সরকারি বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর তাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেন এই হত্যাচেষ্টা?

স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সরকারি বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর রবার্ট ফিকোকে লক্ষ্য করে গুলি করে এক বন্দুকধারী। সময় তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়, বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার।

ঘটনাস্থল থেকেই ওই বন্দুকধারীকে আটক করা হয়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ ফিকোকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি কালো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে একজনকে হাতকড়া পরায় পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক জানান, গুলির ঘটনায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ফিকোর। স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় আটক সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

গেল সেপ্টেম্বরে স্লোভাকিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় ফিকোর দল স্মের–এসডি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন ফিকো। তারপরই জানুয়ারিতে তিনি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন।

ছাড়া তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ঘোর বিরোধিতা করে আসছিলেন স্লোভাক রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে তাতেও বিরোধিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ফিকোর এমন মস্কোপন্থি অবস্থানের কট্টর সমালোচনা করে আসছিল পশ্চিমারা।

ফিকোর ওপর এমন ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের অধিপতি জানান, এই বর্বরোচিত অপরাধের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। সময় স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাহসী এবং শক্ত মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।


পুতিনপন্থি   প্রধানমন্ত্রী   পশ্চিমা শক্তি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা, শীতল লাভায় ৬৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।

শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয়ায় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলোএই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

বৃষ্টি, হড়কা বান লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।


ইন্দোনেশিয়া   বন্যা   শীতল লাভা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানি রকেট ৪০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অত্যাধুনিক রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ফাতাহ- নামের এই রকেটটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্র পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সফলভাবে ফাতাহ- গাইডেড রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই রকেট সিস্টেমের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।

রকেট সিস্টেমটি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটির সেনাবাহিনীর প্রচলিত অস্ত্রাগারের নাগাল এবং প্রাণঘাতী সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করবে।

দ্য ডন বলছে, গাইডেন্স সিস্টেম এই রকেটটিকে নির্ভুল অস্ত্র করে তুলেছে। কারণ এর ফলে অস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্র্যাজেক্টোরি মোড এবং টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির ফলে এই রকেটটি শত্রুর অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমও এড়াতে সক্ষম।

পরীক্ষার পর ফাতাহ- রকেটটিকে এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং এটি এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী প্রকৌশলীরা এই রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন।


পাকিস্তানি   রকেট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২৫০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।

একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ১৬ শ্রীলঙ্কান নিহত

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নিয়ে পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ১৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা তেনাকুন বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা বলেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে শ্রীলঙ্কার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া শুরু করেন এবং পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনীর মোট ২৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করেছেন। নিহত ১৬ জন এই ২৮৮ জনের মধ্যেই পড়েন।

অবসরপ্রাপ্ত এই সেনারা কোন পক্ষে যোগ দিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তা স্পষ্ট করেননি প্রামিথা, তবে শ্রীলঙ্কায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা গামিনি ওয়ালেবোদা জানিয়েছেন, সাবেক এই সেনা সদস্যদের অধিকাংশই রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা পেনাকুন বলেন, যুদ্ধে সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনের সরকারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সরকারের কোনো চুক্তি হয়নি। তাই যে চক্রটি সেনাদের রিক্রুট করছে, তারা মানবপাচারকারী। শ্রীলঙ্কার সরকার এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক সেনা সদস্যদেরও মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই আমাদের বন্ধু। যেসব নাগরিক সেখানে রয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি।


রাশিয়া   ইউক্রেন   শ্রীলঙ্কা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন