নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
কারাগার শব্দটি শুনলে অপরাধ, বন্দি অবস্থা, খুন, সিনতাই ইত্যাদি অনেক কিছু মাথায় আসে। আবার মনে আসে বিখ্যাত সেইসব নেতাদের কথা, যারা কারাবন্দি থেকেই দেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে উজ্জ্বল করেছেন। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কারাগারগুলোতে লেখাপড়া, খেলাধুলাসহ কারাবন্দিদের জন্য নানা ধরনে সুযোগ সুবিধা থাকে। তবে বিশ্বে এমনও কিছু কারাগার আছে, যার কথা শুনলে আঁতকে উঠতে হয়। আজকে এমনই কিছু কারাগার সম্পর্কে জানাব:
১. ক্যাম্প ২২:
উত্তর কোরিয়ার একটি কারাগার ক্যাম্প ২২। ২০১২ সালে এই কারাগার থেকে একজন রক্ষী চীনে পালিয়ে যায়। তখনই প্রথম এই কারাগারটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজরে আসে। জানা যায়, উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক বন্দিদের এখানে এনে রাখা হয়। এমনকি আন্দোলনের শিকড় উপরে ফেলার জন্য পর্যায়ক্রমে তিন পুরুষ ধরে পরিবারের সদস্যদের এখানে এনে রাখার ঘটনাও ঘটেছে। ১৯৬৫ সাল থেকে এখানে প্রায় ৫০,০০০ বন্দি আনা হয়। এদরকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করে ল্যাবে রাসায়নিক বোমা সহ অনেক ধরনের মরণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়।
২. কারানডিরো:
ব্রাজিলের একটি ভয়ঙ্কর কারাগার কারানডিরো। ৪৬ বছরের ইতিহাসে কয়েক হাজার কয়েদী হত্যার ঘটনা ঘটেছিল এই কারাগারে। এর মধ্যে সবথেকে বড় ঘটনাটি ঘটে ১৯৯২ সালে। এসময় সেখানকার পাহারদারদের নৃশংসতায় ১৩০০ কয়েদী মারা যায়। এরপর ২০০২ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনের পর ব্রাজিল সরকার এটি বন্ধ করে দেয়।
৩. টাডমোর মিলিটারী প্রিজন:
সিরিয়াতে অবস্থিত বিশ্বের আরেকটি ভয়ঙ্কর কারাগার টাডমোর মিলিটারী প্রিজন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর মতে এটি সর্বাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত কারাগারগুলোর একটি। ১৯৮০ সালে প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল আসাদ তাঁর ওপর আক্রমণের অভিযোগে প্রায় ২৪০০ বন্দিকে হত্যা করেন। আর এই ঘটনা ঘটেছিল মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে।
৪. বাং কোয়াং কারাগার:
বাং কোয়াং কারাগারটি থাইল্যান্ডে অবস্থিত। এই কারাগারে বন্দিদের অনেকেই প্রথম মাসের ডিটেশন এর সময়ই পাগল হয়ে যায়। এটি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে সহিংস কারাগার হিসেবে পরিচিত। দেশটির সবচেয়ে বিপদজ্জনক অপরাধীদের এখানে রাখা হয়। কয়েক হাজার কারাবন্দির ধারণক্ষমতা ও দূর্বিষহ জীবনযাপন জন্য এটি পরিচিত।
৫. লা সাবেন্তা:
ভেনিজুয়েলা একটি কারাগার লা সাবেন্তা। দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে এটি অন্যতম কুখ্যাত ও নৃশংস কারাগার হিসেবে পরিচিত। কারাগারের মধ্যকার সহিংসতা এখানকার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। একে অপরকে হত্যা করা, কোনো চিকিৎসা সেবা না দেওয়া, কম খাবার সরবরাহ, বিভিন্ন রোগ সংক্রমণ হওয়া ইত্যাদি এখানে প্রতিদিনই ঘটে থাকে।
৬. এল রোডিও:
ভেনুজুয়েলার আরেকটি কারাগার এল রোডিও। জানা যায়, হুগু স্যাভেজের শাসন আমলে অপরাধের মাত্রা প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছিল। তখন এই কারাগারটি তৈরি করা হয়। এই কারাগারে এখনো প্রায় ৫০,০০০ বন্দি দন্ডিত হবার অপেক্ষায় আছে। ২০১১ সালের জুনের ঘটনা, প্রায় মাসব্যাপী ঘটা এক ভয়াবহ দাঙ্গায় বহু লোক মারা গিয়েছিল। কারাগারটি রক্তগঙ্গায় পরিণত হয়েছিল।
৭. ম্যাক্সিমাম সিকিউরিটি প্রিজন:
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরেন্সে অবস্থিত একটি কারাগার হলো ম্যাক্সিমাম সিকিউরিটি প্রিজন। এটি দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিশিষ্ট কারাগার, যেখানে অপরাধীরা অন্য বন্দি কিংবা রক্ষীদের সঙ্গে মারামারি করা তো দূরের ব্যাপার কথাও বলতে পারে না। এই কারাগারে এমন অজস্র ঘটনা আছে, কথা বলতে না পারার কারণে মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে অনেকে আত্মহত্যা করেছে।
৮. দিয়ারবাকির কারাগার:
তুরস্কের সবচেয়ে ধর্ষকামী ও শাস্তিপ্রদানকারী কারাগার দিয়ারবাকির। এই কারাগারে প্রায় সবসময়ই মানকাধিকার লঙ্ঘেনের ঘটনা ঘটে। এখানে কারাবন্দিদের অসম্ভব শর্ত দেওয়া থেকে শুরু করে, শারীরিক মানসিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, এমনকি শিশু নির্যাতন পর্যন্ত করা হয়। আর কারাগারে এই অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য বন্দিরা ক্ষুধা ধর্মঘট, নিজেদের শরীরে আগুন লাগানো, এমকি আত্মহত্যা পর্যন্ত করে থাকে।
৯. গিতারামা কেন্দ্রীয় কারাগার:
রুয়ান্ডায় অবস্থিত গিতারামা কেন্দ্রীয় কারাগারকে পৃথিবীর নরক বলা যেতে পারে। এই কারাগারে প্রতি ১ বর্গফুট জায়গায় ৪ জন বন্দি থাকে। এখানেই তাদের থাকা, খাওয়া, ঘুম সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়। ৪০০ জনের জন্য নির্মিত এ কারাগারে ৭,০০০ বন্দিকে রাখা হয়। এমন আবদ্ধ অবস্থায় থাকার ফলে বিভিন্ন রোগে মারা যায় বন্দিরা। হতাশা থেকে অনেক বন্দি আবার সহবন্দিদের মাংস খাওয়ার মতো জঘন্য অপরাধও করে থাকে।
১০. আলা কার্টাজ আইল্যান্ড প্রিজন:
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত একটি কারাগার হলো আলা কার্টাজ আইল্যান্ড প্রিজন। ১৯২০ সালে নির্মিত এই কারাগারকে শয়তানের দ্বীপ বলা হয়। এই কারাগার এমন ভাবে নির্মিত হয়েছিল যে পালানো অসম্ভব। এখানে একে অপরের সঙ্গে দেখা কিংবা কথা বলাও নিষেধ ছিল। এই কারাগার নিয়ে নিয়ে হলিউডে অনেক চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/বিপি
মন্তব্য করুন
ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী এবং দেশটির ফার্স্ট লেডি আসমা আল-আসাদ লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালে তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু এবার তিনি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হলেন। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর এএফপির।
এতে বলা হয়েছে, ৪৮ বছর বয়সী আসমা বিশেষ চিকিৎসা প্রোটোকলের মধ্য দিয়ে যাবেন; যার জন্য তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। এর ফলে তিনি সরকারি কিংবা জনসংশ্লিষ্ট কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
এর আগে, ২০১৯ সালের আগস্টে সিরিয়ার এই ফার্স্ট লেডি বলেছিলেন, তিনি ব্রেস্ট ক্যানসার থেকে পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। ব্রেস্ট ক্যানসার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকাকালীন তা শনাক্ত করায় চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ব্রিটিশ-বংশোদ্ভূত সাবেক এই ব্যাংকার বিভিন্ন ধরনের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েন। দেশটিতে যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের সাথে সংশ্লিষ্টতা বাড়ালেও দেশটিতে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
সিরিয়ার অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিরিয়া ট্রাস্ট ফর ডেভেলপমেন্ট পরিচালনা করেন আসমা আল-আসাদ। তার এই প্রতিষ্ঠানের ছায়াতলে সিরিয়াজুড়ে অনেক দাতব্য ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে অন্যান্য সংস্থা।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত বছর প্রথমবারের মতো স্বামী বাশার আল-আসাদের সাথে বিদেশ সফরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান আসমা আল-আসাদ। ওই সফরে তিনি আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মা শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
লিউকেমিয়া সিরিয়া ফার্স্ট লেডি
মন্তব্য করুন
ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে দেশটির সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান ও অন্যান্য সহযাত্রীদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে তাবরিজে।
মঙ্গলবার (২১ মে) এ তথ্য দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে, সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে নিহতদের জানাজা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে শহরটির একটি কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে হেঁটে রওনা হন লাখো ইরানি। এ সময় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।
উল্লেখ্য, রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় গত দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর সোমবার ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজের খবরে বলা হয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দেশটির জনগণের জন্য তার দায়িত্ব পালন করার সময় একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তিনি শহীদ হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ বাকিরাও নিহত হয়েছেন।
ইব্রাহিম রাইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান ইরান
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ও উচ্চপদস্থ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান শেষে পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর তাদের সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল ইরান। যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এই তথ্য সামনে এনেছে।
তবে 'কোনও কারণে' ইরানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে সেই সহায়তা করতে পারেনি। মঙ্গলবার (২১ মে) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত বলছেন না। তবে ইরান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে তারা সেটা দিতে পারেননি।
ম্যাথু মিলার ইঙ্গিত দেন, রবিবার দুপুরে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেটিকে খুঁজে পেতে দ্রুত সাহায্য চেয়েছিল ইরান।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার চেষ্টার পর বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি উদ্ধার করে ইরান। ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ঘটনায় আনুষ্ঠানিক শোক জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওয়াশিংটন বলেছে, রাইসির হাতে 'রক্ত' লেগে আছে।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ হলো, তা বলতে অস্বীকৃতি জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।
ম্যাথু মিলার শুধু বলেন, রবিবার কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে বলে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিদেশি সরকারের অনুরোধে তারা সাড়া দেয়। এ ক্ষেত্রেও তারা ইরানকে সাহায্য করত। তবে মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শোকবার্তায় বলা হয়েছে, ইরান এখন নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিচ্ছে। এ অবস্থায় ইরানের জনগণ ও তাদের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আবার তার সমর্থন জানাচ্ছে।
মার্কিন প্রশাসন বলেছে, এটি একটি রেওয়াজমাফিক শোকবার্তা। এটি রাইসির প্রতি কোনো রকম সমর্থন প্রকাশ করছে না। রাইসি সেই ব্যক্তি, যিনি বিচারক থাকাকালে গণহারে রাজবন্দীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কর্তৃপক্ষ নারীদের গণ–আন্দোলন কঠোরভাবে দমন করেছে।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে তাদের কোনো হাত নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত নিয়ে ইরান এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেনি।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জোরালোভাবে ইসরায়েলের পক্ষে তার অবস্থান পূনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা করছে না এবং গাজায় যা হচ্ছে তা গণহত্যা নয়।
সোমবার (২১ মে) হোয়াইট হাউসে ইহুদিদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।রয়টার্সের খবর
হোয়াইট হাউসে ইহুদি আমেরিকান হেরিটেজ মান্থ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, 'আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিপরীতে আমি বলতে চাই, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়। আমরা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করি।'
এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম খান কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার সিদ্ধান্তও প্রত্যাখ্যান করেন।
এদিকে গাজায় চলমান যুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম খান ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
গাজা ইসরায়েল গণহত্যা জো বাইডেন
মন্তব্য করুন
ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে দেশটির সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান ও অন্যান্য সহযাত্রীদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে তাবরিজে। মঙ্গলবার (২১ মে) এ তথ্য দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে, সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে নিহতদের জানাজা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে শহরটির একটি কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে হেঁটে রওনা হন লাখো ইরানি। এ সময় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ও উচ্চপদস্থ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান শেষে পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর তাদের সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল ইরান। যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এই তথ্য সামনে এনেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জোরালোভাবে ইসরায়েলের পক্ষে তার অবস্থান পূনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা করছে না এবং গাজায় যা হচ্ছে তা গণহত্যা নয়। সোমবার (২১ মে) হোয়াইট হাউসে ইহুদিদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।রয়টার্সের খবর