ইনসাইড পলিটিক্স

এরশাদ কি এবারো ফ্যাক্টর?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৭ এএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

প্রায় দুই দশক ক্ষমতার বাইরে। ১৯৯০ সালে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল টানা ৯ বছর ক্ষমতায় থাকা এইচ এম এরশাদকে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জেলে ছিলেন প্রায় টানা ৬ বছর। কিন্তু জেলে থেকে নির্বাচনে জিতেছিলেন ৫টি আসনেই। ক্ষমতাচ্যুত হলেও গত দুই দশকে হারেননি কোন নির্বাচনেই। শুধু তাই নয়, ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি গেলেও সব বারই সহায়তা নিতে হয়েছে জাতীয় পার্টির কিংবা এরশাদের। ক্ষমতায় যাবার জন্য ভোট এলেই দাম বাড়ে জাতীয় পার্টির। এবারো ভোটের দামামা বেজে উঠার আগেই মাঠে নেমে পড়েছেন এরশাদ। তাহলে কি এবারো ভোটের ফ্যাক্টর হয়ে উঠবেন এরশাদ? এ প্রশ্ন কিন্তু ইতিমধ্যে আলোচনায় এসেছে।

জাতীয় পার্টি মনে করছে, জনসমর্থন বিবেচনায় সরকার দুর্বল অবস্থানে আছে। বিএনপি যদি শক্তভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়, তা সরকারি দল আওয়ামী লীগের জন্য আরও নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। এমন হিসাব কষে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দর-কষাকষির প্রস্তুতি নিচ্ছে জাপা। দৃশ্যত তেমনই দেখা যাচ্ছে।

দলটির উচ্চপর্যায়ের একাধিক নেতার মতে, এবার জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের কাছে ১০০ আসন চাইবে জাতীয় পার্টি। বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই জোটের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলবেন এরশাদ।

সরকার ও বিরোধী দলে বর্তমানে একই সঙ্গে থাকা জাপার নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টি না থাকলে এ সরকার বৈধতা পেত না এবং পুরো মেয়াদে টিকে থাকা কঠিন হতো। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও জাপা নিজেদের ‘ক্ষমতার নির্ধারক’ এবং একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের জন্য ‘রক্ষাকবচ’ মনে করে। বিএনপি নির্বাচনে এলেও যেমন জাপাকে আওয়ামী লীগের লাগবে, না এলেও লাগবে। জাপার নেতারা মনে করেন, বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নিলে জাতীয় পার্টিকে ছাড়া আওয়ামী লীগের একার পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে সংশয় আছে। আবার বিএনপি নির্বাচনে না এলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখানোর জন্য আবারও জাতীয় পার্টির প্রয়োজন পড়বে। সে জন্য গতবারের চেয়ে এবার আওয়ামী লীগের কাছে আরও বেশি আসন দাবি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। এ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতারা একাধিক ঘরোয়া বৈঠক করেছেন।

জাপার নেতাদের মত বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে ১০০ আসন দিতে হবে। আওয়ামী লীগ বড় দল। তাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি ও একটি জোট করেছে। সবাইকে নিয়েই তো নির্বাচনটা করতে হবে। জাতীয় পার্টির কথা হচ্ছে,এরশাদের সহযোগিতা ছাড়া যদি আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়া বা নির্বাচন না হয়, তাহলে পার্টি কেন বঞ্চিত হব?’

জাপার শীর্ষ নেতৃত্বের উপলব্ধি হচ্ছে, দর-কষাকষি করে দুই-তিনজন মন্ত্রীর চেয়ে সাংসদের সংখ্যা বেশি পাওয়া গেলে তাতে দলের লাভ হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতা-কর্মীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হন। বর্তমানে জাপা থেকে তিনজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী থাকলেও তাঁরা সেভাবে দলে নেতা-কর্মীদের উপকারে আসেননি এবং তাঁরা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণে ছিলেন না বলেও অভিযোগ আছে। তাই মাঠপর্যায়ে জাপাকে শক্তিশালী করতে ভবিষ্যতে মন্ত্রীর চেয়ে সাংসদের সংখ্যা বেশি থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন নেতাদের অনেকে।

তবে দলের কেউ কেউ মনে করেন, কেবল সাংসদ নয়, মহাজোট ক্ষমতায় গেলে মন্ত্রিপরিষদে জাপার সংখ্যা বাড়াতেও দর-কষাকষি করতে হবে।

জাপা নেতাদের মতে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির ৮০টি আসনে লিখিত সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ এরশাদ নির্বাচন বর্জনের ডাক দেওয়ায় প্রার্থীদের অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলের একটি অংশ নির্বাচনে থাকে। শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাওয়া ৩৪ জন সাংসদ হন। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিএনপির নির্বাচনে আসা বা না আসা, উভয় পরিস্থিতি নিয়ে সংকটে আছে ক্ষমতাসীনেরা। কারণ, সরকারকে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে।

জাপার নেতারা মনে করছেন, দুর্নীতি, গুম, খুন, নির্যাতনসহ নানা কারণে মেয়াদের শেষ সময়ে এসে সরকারের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে, জনসমর্থনও অনেকটা নড়বড়ে অবস্থানে চলে গেছে। যা সম্প্রতি কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে স্পষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় জাপাকে আবারও আওয়ামী লীগের সহযোগী হওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঝুঁকি আছে। তাই এবার সংসদে, সরকারে, স্থানীয় সরকারে উপযুক্ত হিস্যা আদায়ে দলের নীতিনির্ধারকেরা শক্ত অবস্থান নেওয়ার চিন্তা করছেন।

বর্তমানে একই সঙ্গে মন্ত্রিসভা ও সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকাও পালন করছে জাপা। আগামী সংসদে আর ‘কৃত্রিম’ বিরোধী দল হতে আগ্রহী নন দলটির নীতিনির্ধারকেরা। জোটবদ্ধ নির্বাচন করে তাঁরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি সরকারের অংশ হতে চান। দর-কষাকষিতে সুবিধা পেতে জাপা জোট ভারী করার চেষ্টাও করছে। ইতিমধ্যে জাপার চেয়ারম্যান এরশাদ দুটি নিবন্ধিত ইসলামি দলসহ ৫৯টি অনিবন্ধিত দলের সমন্বয়ে গঠিত সম্মিলিত জাতীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করেছেন।

বিএনপির নির্বাচনে আসা, না আসা-উভয় সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে জাপা নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে এরশাদ রংপুর সদর ও ঢাকার-১৭ আসনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেছেন। শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের যৌথ সভা হয়েছে।

দুটি প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি। বিএনপি না এলে জাপা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে সরকারের পরিবর্তনের পক্ষে যে জনসমর্থন, তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবে। অথবা বিএনপি নির্বাচনে এলে জাপা একটি জোটের পক্ষ নিয়ে নির্বাচন করবে।

এসব পরিকল্পনা এখন জাতীয় পার্টির। আর এটাকেই হিসেবে নিয়ে ভোট পরিকল্পনা করছে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি। ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারো ফ্যাক্টর হতে পারেন এরশাদ।

লেখক: সাংবাদিক

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে তার গুলশানস্থ বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীন সফরে ৯ বাম নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন সফরে গেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক দল জাসদ, ওর্য়ার্কাস পার্টি ও সাম্যবাদী দলের নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
 
সফরে যাওয়া বাম নেতারা হলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের কার্যকারী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপক তৃপ্তি বড়ুয়া ও হ মোশাহিদ প্রমুখ।
 
জানা গেছে, সফরকালে বাম নেতারা কুনমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতারা রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে জানবেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। সফর শেষে আগামী ১৮ মে দেশে ফেরার কথা প্রতিনিধি দলটির।

চীন সফর   বাম দল   জাসদ   ওর্য়ার্কাস পার্টি   সাম্যবাদী দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। 

একই সাথে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের প্রার্থিতা পর্যালোচনা করা হবে এবং তারা এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন কি না সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলো থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত আওয়ামী লীগ কোন্দল কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হল কমিটি বিলুপ্ত করা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া। 

এ বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছিলেন যে দলের ভেতর যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক করেছেন সেই কোন্দল যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় এবং যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে মিলে মিশে সকলে মিলে যেন কাজ করে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা মান্য করেনি অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। বরং নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব দখলের লড়াই আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে সতর্কবার্তা দেন। কিন্তু তারপরও এই বিরোধ মিটছে না। এখন আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিবদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সমস্ত এলাকায় কারা দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ অনেক জামজমকপূর্ণ ভাবে ঘটা করে করতে চায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরপপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দলের ভেতর যেন স্বজনরা প্রার্থী না হন। কিন্তু তারপরও যারা এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া বলে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


শৃঙ্খলা   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন