নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানতে চাইলেন, ‘আপনারা নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চান অথচ বেগম জিয়ার চিকিৎসা সিএমএইচ এ করাতে চান না কেন?‘ আজ বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিএনপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই প্রশ্ন করেন। বিকেল সাড়ে তিনটায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তাঁর বাম হাত এবং বাম পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। তিনি হাত পা নাড়তে পারছেন না।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের কারাগারে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখিয়ে বলেন, ‘আপনাদের অভিযোগ সত্য নয়। কোথায় থেকে এসব তথ্য পেয়েছেন তাও জানি না। বেগম জিয়া সুস্থ আছেন। প্রতিদিন কারাগারে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে। তেমন কিছু হলে আমরাই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যেখানে প্রয়োজন সেখানেই নেবো।’
এসময় মির্জা ফখরুল কারাগারে দলীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘তখনো তিনি অসুস্থ ছিলেন।’ এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঠাট্টা করে বলেন, ‘এই বয়সে এরকম একটু আধটু অসুখ বিসুখ সবারই হয়। আপনিও তো অসুস্থ। তাহলে আপনি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না কেন?’ এসময় মির্জা আব্বাস বেগম জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এটা কারাগারে সম্ভব না। ইউনাইটেড হাসপাতাল বা এরকম একটি বিশেষায়িত হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা করা প্রয়োজন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সব থেকে ভালো বিশেষায়িত হাসপাতাল হলো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।’ আমিও সেখানে চিকিৎসা নিই। সব দেশ সেরা চিকিৎসকরা সেখানে। আপনারদের নেতারাও সেখানে আছেন।’ আপনারা চাইলে আমি এখনই বলে দেই, ওনাকে যেন বঙ্গবন্ধুতে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘না ম্যাডাম বঙ্গবন্ধুতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন না।’
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উনি তো সারা জীবনই সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর হাসপাতালেই চিকিৎসা করাতেন। উনি তো সাবেক সেনাপ্রধানের স্ত্রী। ওখানে ব্যবস্থা করি।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘না, ওখানেও উনি চান না।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবার হেসে বলেন, ‘ফখরুল ভাই, একটু যুক্তির কথা বলুন। আপনার তো বাচ্চাদের মতো বায়না ধরছেন।’
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং ড. মঈন খান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রস্তাব দিলে বিএনপি নেতারা তাতে রাজি হন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি চিকিৎসক এবং বিএনপির তরফ থেকে যে সব চিকিৎসকদের নাম দেওয়া হবে, তাদের নিয়ে যৌথভাবে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।