নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে তাঁর দল বিএনপি। এই বিষয়ে গতকাল রোববার এক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি খালেদা জিয়াকে অতি সত্ত্বর ঢাকার ইউনাইটেড বা অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সরকার কর্তৃক গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ও আইজিকে(প্রিজন) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মজার বিষয় হচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দিনেই আবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন বিএনপির কয়েকজন আইনজীবী। বিশেষায়িত হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটে খালেদার চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারকে নির্দেশ দিতে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়।
বিএনপির এমন আচরণে দ্বিমুখী ভাব স্পষ্ট ফুঁটে উঠছে। একদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি সুরাহা করতে চাইছে বিএনপি। আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণও করেছেন। আবার একই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হচ্ছে। অথচ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেডিকেল বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর রিট অকার্যকর হয়ে যায়।
একই সঙ্গে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা ও হাইকোর্টে রিট করার মাধ্যমে পরষ্পর বিরোধী আচরণ করছে বিএনপি। এই আচরণের মাধ্যমে বিএনপি আবারও প্রমাণ করলো রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই। আসলে বিএনপি নিজেরাও বুঝতে পারছে না তারা কী করছে। তাই নিজ দলের নেত্রীর চিকিৎসার ব্যাপারেও কোনো স্পষ্ট অবস্থান নিতে পারছে না তারা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।