নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৪ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
যুগে যুগে ভালোবাসার জন্য কত কিছুই না কুরবানি করেছে মানুষ। ভারতবর্ষের রাধা-কৃষ্ণই বলুন, আরবের লাইলি-মজনুই বলুন কিংবা ধরা যাক পশ্চিমের রোমিও-জুলিয়েটের কথা। কোনো অমর প্রেমকাহিনীতেই মিলন নেই, কেবল বিরহ আর বিরহ। আত্মত্যাগ ব্যতীত প্রেম কাহিনীগুলো ঠিক যেন জমে ওঠে না।
আত্মত্যাগের গল্পগুলোও কিন্তু দুর্ধর্ষ। পারিবারিক অসম্মতির কারণে বিয়ে করা সম্ভব না। তাই আত্মহত্যা করে বসলেন প্রেমিক-প্রেমিকা।
আবার অনেক সময় দেখা যায়, স্ত্রীর সন্তান হচ্ছে না। কিন্তু বংশ তো রক্ষা করতে হবে। তখন স্ত্রী নিজে উদ্যোগী হয়ে স্বামীকে বিয়ে করিয়ে দেন। দ্বিতীয় বিয়ের জন্য দেওয়া এই অনুমতিতে বেদনা থাকে, থাকে বিরহ। কিন্তু ওই যে! স্বামীর মঙ্গল দেখতে হবে। তাই তো বুকে পাষাণ বেধে এক বেদনা বিধুর দিনে স্ত্রী স্বামীকে তুলে দেন অন্য নারীর হাতে।
গতকাল জামায়াতে ইসলামীর জন্য ছিল তেমনই একটি বেদনা বিধুর দিন । জামাত দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে তাদের সঙ্গ ত্যাগ করার অনুমতি দিয়েছে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র বিএনপিকে। বিএনপিকে তারা তুলে দিয়েছে নতুন নির্বাচনী জোট জাতীয় ঐক্যের হাতে। এ যেন বেকার প্রেমিকের বড়লোক পাত্রের সঙ্গে প্রাণপ্রিয় প্রেয়সীকে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেওয়া। এ যেন সন্তান ধারণে অক্ষম স্ত্রীর বুকে পাথর চেপে অন্য নারীর হাতে স্বামীকে সঁপে দেওয়া। বিরহী প্রেমিক ভিন্ন জামাতের দুঃখ আর কেই বা বুঝতে পারবে।
জামাতের বর্তমান অবস্থার কথা ভেবেই বোধহয় মধ্যযুগের কবি চণ্ডীদাস লিখেছিলেন –
‘সই, কেমনে ধরিব হিয়া?
আমার বঁধুয়া আন বাড়ি যায়
আমার আঙ্গিনা দিয়া!’
কবি চণ্ডীদাসের কাছে সম্ভবত টাইম মেশিন ছিল। তাই তো এত বছর আগেই তিনি জামাতের বিরহে কাতর হয়ে কবিতা লিখতে বসেছিলেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি-জামাত ঠিক যেন লাইলি-মজনু, রোমিও-জুলিয়েটদের প্রতিনিধি। এই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে গভীর হৃদ্যতা তার সঙ্গে কেবল এই লিজেন্ড প্রেমিকা-প্রেমিকাদের অমর প্রেম কাহিনীর তুলনাই করা চলে।
বিএনপি-জামাতের ভালোবাসার সম্পর্কটা খুব পুরনো। বাংলা সিনেমায় স্কুলগামী বাচ্চাকাচ্চাদের মধ্যেও প্রেম হতে দেখা যায়, যারা বড় হয়ে নায়ক-নায়িকার রোলে অভিনয় করে। বিএনপি-জামাতের প্রেমটাও তেমনি প্রাচীন। অবশ্য এই দুই দলের প্রেমের সূচনা লুকোচুরি খেলতে খেলতে হয়ে যায়নি। এই প্রেম গড়ে উঠতে রাজনৈতিক স্বার্থ রেখেছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
অতীতে বিএনপি-জামাতের যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল তার পটভূমিটা ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসে জিয়াউর রহমান জামাতকে এবং জামাতের নেতা যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে পুনর্বাসিত করেন। জিয়া জামাতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। তখন থেকেই গড়ে ওঠে এই দুই দলের মধ্যে এক ঐতিহাসিক বন্ধন। তাদের রাজনৈতিক বিশ্বস্ততার নিদর্শন নিয়ে ভাবলে অনেকে পৃথিবীর সকল স্বামী-স্ত্রীকেই হয়তো প্রশ্ন করবেন, ‘কি, হিংসে হয়?’
দিনে দিনে বিএনপি-জামাতের প্রেম বেড়েছে বৈ কমেনি। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গোলাম আযমকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেন। ২০০১ সালে জামাতের যুদ্ধাপরাধীদের সসম্মানে মন্ত্রী বানান তিনি। বিএনপি-জামাত জোট ২০০১ সালে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে দেশও পরিচালনা করেছে। সুসময়-দুঃসময়ের সাথী তাঁরা। বড় পুরনো এই সম্পর্ক, ঠিক যেন স্বামী-স্ত্রীর পুরনো প্রেম। সময় খারাপ হোক, ভালো হোক বিএনপি ও জামাত কখনো একে অপরকে ছেড়ে যায় না।
জামাতের জন্য বিএনপির টান দেখে নিন্দুকেরা বরাবরই ঈর্ষান্বিত। সেই ঈর্ষার (!) কারণেই জামাতকে ত্যাগ করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিএনপিকে চাপ দিয়েছে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ। চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতের মতো বহির্বিশ্বের শক্তিও। কিন্তু এত ঝড়ঝাপটার পরও জামাতকে ছাড়েনি বিএনপি। বিএনপি যেন সেই আদর্শ প্রেমিক, যাকে পিতার শাসন, মায়ের কাকুতি-মিনতি কোনো কিছুই প্রেমিকাকে বিয়ে করা থেকে বিরত রাখতে পারে না।
হাইকোর্টের রায়ে জামায়াতে ইসলামী এখন নিষিদ্ধ। যুদ্ধাপরাধের বিচারে কয়েকজন ডাকসাইটে নেতার মৃত্যদণ্ডে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে দলটি। তবুও জামাতের প্রতি প্রেমে অবিচল বিএনপি। এজন্য অনেক ত্যাগ স্বীকারও করতে হয়েছে বিএনপিকে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়েছে তারা। কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসা কি আর নিজের স্বার্থ দেখে! প্রেমিক প্রাণ দিতে পারে কিন্তু প্রেম ছাড়তে পারে না। তেমনি বিএনপি রাজনীতিতে অপাংক্তেয় হতে পারে কিন্তু জামাতকে ছাড়তে পারে না। শ্যাম রাখি না কূল রাখির প্রশ্নে বরাবরই শ্যামের প্রতি পক্ষপাত দেখিয়েছে বিএনপি।
তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন কিছুটা ভিন্ন। জামাত এখন বুঝতে পেরেছে, প্রেমিককে ধরে রাখলে প্রেমিকের ক্ষতিই কেবল করা হবে। জামাত বুঝতে পেরেছে, অপরাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে হটানো যাবে না, সুস্থ রাজনীতির ধারায় থেকেই কেবল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা সম্ভব। তাই বাঁকা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না, ঘি তুলতে হলে সোজা আঙ্গুলেরই প্রয়োগ করতে হবে এই সত্যিটি বুঝতে পেরে বিএনপিকে মুক্ত করে দিল জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় ঐক্যে যাওয়ার অনুমতি দিল তাদের।
বিএনপির স্বার্থে জামাতের এই আত্মত্যাগ এক বড় প্রেমের উদাহরণ। অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না—ইহা দূরেও ঠেলিয়া ফেলে। জামাতের এই আত্মত্যাগ আমাদের শরৎ বাবুর বলা সেই রোমান্টিক উক্তিটিই স্মরণ করিয়ে দেয়। বিএনপিকে ভালোবেসে দলটিকে নিজের কাছ দূরে ঠেলে দিতে বাধ্য হলো বিরহী জামাত।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।