নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৭ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
১৯৭৫ সালের ২৯ জুলাই। স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিয়া পশ্চিম জার্মানিতে পিএইচডি করছেন, তাই স্বামীর কাছে যাওয়ার জন্য দেশ ছাড়লেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সেই যাত্রায় বড় আপার সঙ্গী হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। আপার সঙ্গী হওয়ার কথা ছিল না তাঁর। কিন্তু শেখ হাসিনার ছেলেমেয়ে জয় এবং পুতুল তখন ছোট। তাদের দেখাশোনার একটা ব্যাপার আছে। এসব বিবেচনা করে যাত্রার মাত্র দুদিন আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো বড় আপার সঙ্গে পশ্চিম জার্মানিতে যাবেন তিনি। ভাগ্যিস, সেদিন সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছিল। নয়তো বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেক সদস্যকেও ৭৫ এর ১৫ আগস্ট নারকীয় হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুবরণ করতে হতো। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় সেদিন প্রাণে বেঁচে যান শেখ রেহানা। ভাগ্যের জোরে মৃত্যু থেকে বেঁচে যাওয়া আর কর্মের জোরে জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার আজ জন্মদিন। ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা জন্মগ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ রেহানার তেমন সরব উপস্থিতি নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের দুর্দিনে এবং শেখ হাসিনার শেখ হাসিনা হয়ে ওঠার পেছনে অসামান্য অবদান রেখেছেন শেখ রেহানা। পাদপ্রদীপের আলোর বাইরে থেকেই তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে রেখে চলেছেন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা।
সপরিবারে যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয় তখন অল্প বয়স ছিল শেখ রেহানার। ওই বয়সেই বাবা-মাকে হারিয়ে এতিম হয়ে যান তিনি। মাথার ওপর বড় বোন শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারও ছায়া রইলো না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এই কনিষ্ঠ কন্যা দুর্দমনীয়। হার মানতে শেখেননি তিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি প্রথমে ভারতে চলে যান। এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা দেশে ফেরত আসার সিদ্ধান্ত নেন, তবে শেখ রেহানা সিদ্ধান্ত নিলেন লন্ডনে যাবেন। লন্ডনের কিলবার্নে শেখ রেহানার বিয়ে হয় ড. শফিক সিদ্দিকের সঙ্গে। দুটি সন্তান নিয়ে টিকিট কেটে লন্ডনে যাওয়ার মতো টাকা না থাকায় সেই বিয়েতে অংশ নিতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা।
ওই দিনগুলোতে কঠোর সংগ্রাম করেছেন শেখ রেহানা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে খাবার পরিবেশনের কাজও করেছেন তিনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নিরহঙ্কারী, নির্লোভ আদর্শে বেড়ে ওঠা শেখ রেহানা এসব কাজ করেছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। এই পরিশ্রম কিন্তু ফল দিয়েছে। রত্নগর্ভা শেখ রেহানাই সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল মা। তাঁর বড় মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টি একজন এমপি, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ঢাকায় একটি ইউএনডিপিতে কনসালটেন্সি করছেন আর ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। কিন্তু এতগুলো সফল ছেলেমেয়ের মা হয়ে, দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন হয়ে এবং নিজের কর্মজীবনে সফল হয়েও নিরহঙ্কারী চরিত্রটি বদলায়নি শেখ রেহানার। এখনো লন্ডনে বাসে চড়ে অফিসে যান তিনি।
শেখ রেহানা একদমই নেপথ্যচারিনীর জীবনযাপন করেন। কিন্তু বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জীবনে তাঁর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আমরা যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলি তখন আমরা অবশ্যম্ভাবী ভাবে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নাম নেই। বঙ্গবন্ধুর জীবনে ও কর্মে বঙ্গমাতাই ছিলেন অনুপ্রেরণা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিতেন বঙ্গমাতা, তাঁর জন্যই বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। কিন্তু এত অবদান রাখার পরও প্রচারের আলোয় থাকতে অনাগ্রহী ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা। বেগম ফজিলাতুন্নেসার ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও তাঁর মায়ের মতোই হয়েছেন। পর্দার অন্তরালে থেকেই বড় বোন শেখ হাসিনাকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেন তিনি। তাঁর জন্যই শেখ হাসিনা আজকের শেখ হাসিনা হয়ে উঠতে পেরেছেন। পৃথিবীতে কারও পরামর্শ যদি শেখ হাসিনা শোনেন, তাহলে সেই ব্যক্তিটি শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংকটে তিনিই মূল কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করেন।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে যখন পাকিস্তানি শাসকরা হয়রানি করছিলো, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসাই তখন তাঁর পাশে থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন। একই ভাবে এক-এগারোর সময় যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন তাঁর পাশে ছিলেন শেখ রেহানা। ওই সময়টাতে দলকে সংগঠিত রাখা, দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফকে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে পাঠানো, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার মতো কাজগুলো করে সংকটকালীন সময়ে আওয়ামী লীগকে একতাবদ্ধ রাখার কাজটি করেছিলেন তিনি। তবে নেপথ্যচারিনী শেখ রেহানার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেশ ও দলের দুঃসময়েই সীমাবদ্ধ। সুসময়ে তিনি রাজনীতি থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন। আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় আছে, তাই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আর দেখা যায় না তাঁকে।
বড় বোন শেখ হাসিনার মতো পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ না হলেও জাতির পিতার আদর্শে অটল শেখ রেহানা। নেপথ্যচারিনী শেখ রেহানা আজীবন বাংলাদেশের উন্নয়নের কর্ণধার শেখ হাসিনার পাশে শক্তি হয়ে থাকবেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যার জন্মদিনে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই সফর কর্মসূচির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং মতবিনিময়।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ৫০ সদস্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের ডেটাবেজ টিমের সদস্যরা রয়েছেন।
দলীয় একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা, সুশাসন, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।
৫০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমে রয়েছেন:
আওয়ামী যুব লীগ:
সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি জোয়ারদার ও তাজউদ্দীন আহমদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো সাফেড আসফাক আকন্দ।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ:
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয় এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, একেএম আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল মো নাফিউল করিম, আবদুল্লাহ আল সায়েম৷
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ:
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রেজা, মিসেস রোজিনা নাসরিন, নীলিমা আক্তার লিলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্না বাড়ুই, মরিয়ম বিনতে হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ:
সভাপতি আলেয়া সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সহ সভাপতি বিনা চৌধুরী, রাফিয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন।
মহিলা শ্রমিক লীগ:
সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার, কার্যকরী সভাপতি শামসুর নাহার, সহ সভাপতি মেহেরুন নেসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিনাত রেহেনা নাসরিন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:
সহ সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, কুহিনূর আক্তার, খাদেমুল বাশার জয়, খন্দকার মো আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো হোসাইন আহমেদ, মো আবদুল্লাহ হিল বারী, এসডিজি বিষয়ক সম্পাদক রাইসা নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আখি।
ডেটাবেজ টিম মেম্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:
মো নুরুল আলম প্রধান, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, কাজী নাসিম আল মমিন, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, অদিত্য নন্দী, মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।