ইনসাইড পলিটিক্স

চীনের না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

বর্তমান বিশ্বে অন্যতম পরাশক্তি হিসেবেই নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে চীন। ভুটান, নেপাল, মায়ানমারসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যেও চীনের প্রভাব আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। পূর্বে চীনের মনোযোগ ছিল শুধু অর্থনৈতিক আধিপত্যের দিকে। অর্থনৈতিকভাবে দেশের নির্ভরতা বাড়ানোই ছিল চীনের একমাত্র লক্ষ্য। তবে গত তিন চার বছরে চীন তাদের ওই অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছে। বর্তমানে কোনো দেশের রাজনৈতিক বিষয়েও প্রভাব রাখে চীন। কারণ কোনো দেশের সরকারের পছন্দের বা সহমনা দল না থাকলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ও বাণিজ্য বিস্তারে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় বলে দেশটির উপলব্ধি। আর এমন অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সহায়ক সরকারসহ নানা বিষয়ে চীনকে প্রভাব রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তবে এখনো চীনের পক্ষ থেকে সাড়া পায়নি বিএনপি।

২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়। শুধু চীনই নয় জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্য নেয় বিএনপি। এমন সম্পর্ক উন্নয়নের জন্যই মোর্শেদ খানের মতো ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানানো হয়, কারণ ব্যবসার সুবাদে এসব অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল তাঁর। এছাড়া তৎকালীন বিএনপিতে অনেক নেতা ছিলেন যারা চীনপন্থী কমিউনিস্ট বলেই পরিচিত। এদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম, মান্নান ভুঁইয়া, সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন অন্যতম। সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগে তারাও বেশ প্রভাব ফেলেন। চীনের সঙ্গে নৈকট্য হয় বিএনপির।

বর্তমান সময়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিএনপি আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছে না। আর তাই এখন তাদের লক্ষ্য চীন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে চীনকে প্রভাব রাখার জন্যে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে বিএনপি। এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র বলে পরিচিত পাকিস্তানের মাধ্যমে।

ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক এখনো বেশ ভালো। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে ছিল চীন। তবে অবস্থার এখন অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হলেও দেশটির প্ররোচনা চীনের বাংলাদেশ নীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, বর্তমানে চীন-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী ৩৭ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের যতটা বাণিজ্য ছিল, গত ১০ বছরে সেটি কয়েকগুণ বেড়েছে। পদ্মা সেতুতে কাজ করছে চীন। বাংলাদেশে নির্মিয়মান অনেক বিদ্যুৎ প্রকল্পেও সংশ্লিষ্টতা আছে দেশটির। বাংলাদেশকে সামরিক সহায়তার অংশ হিসেবে সাবমেরিনও দিয়েছে চীন। বর্তমানে চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো। তাই ভুটান বা নেপালের রাজনীতিতে যতটা প্রভাব রাখছে, বাংলাদেশের তেমন প্রভাব বিস্তারে এখনো তেমন কোনো আগ্রহ নেই চীনের। 

গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি করেছে, তা হলো সম্পর্কে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা। ভারতের সঙ্গে যেমন অনেক ব্যাপারে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক আছে, তেমনি সুসম্পর্ক আছে চীনের সঙ্গেও। চীনা সাবমেরিন নিয়ে ভারতের সঙ্গে সাময়িক ভুলবোঝাবুঝি হলেও তা দ্রুত সমাধান হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এসেছিলেন। সরকারের সঙ্গে অনেক সমঝোতা স্মারক হয়েছে চীনের। আর চীনের সঙ্গে সরকার এমন সুসম্পর্ক বহাল রাখতেও কাজ করে যাচ্ছে।

এছাড়া বাংলাদেশের সাবেক একজন মন্ত্রী, যিনি এখন মন্ত্রী নেই কিন্তু আওয়ামী লীগে প্রভাবশালী, তাঁর সঙ্গে চীনের নিয়ন্ত্রক কমিউনিস্ট পার্টির ভালো যোগাযোগ আছে। একই রকম ভালো যোগাযোগ আছে বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের। এরা চীনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সুসম্পর্ক বজায় রাখছে। এছাড়া সম্প্রতি চীন সফরে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল। দেশটির নীতি নির্ধারকদের বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উপর আস্থার বিষয়টিই জানতে পেরেছেন তারা। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক তা অব্যাহত রাখতে এবং এই সম্পর্ক আরও বাড়ানোর পক্ষে।

অবশ্য, পরিবর্তিত চীনা নীতি ‘এক ঝুড়িতে সব ডিম না রাখার’ পক্ষে। সম্প্রতি বাংলাদেশের নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদের দুটি বৈঠক হয়েছে। দুটি বৈঠকেই চীন কয়েকটি বিষয়ে তাদের আগ্রহের বিষয়ও জানিয়েছে। চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে তাদের বিপুল বিনিয়োগের কথা উল্লেখ্য করে বলা হয়েছে পরবর্তীতে এসব ব্যাপারে বিএনপি কি সিদ্ধান্ত নিবে তা জানতে চায় তারা।

তবে, কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের পরিবর্তিত রূপ নিয়েও চীন আশাবাদী। সরকার এখন দেশের উন্নয়নকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে। অবকাঠামোসহ এসব উন্নয়নে চীন ভালো ভূমিকা রাখতে পারবে বলেই মনে করে। একই সঙ্গে তারা বর্তমান ব্যবসায়িক সুবিধা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা রাখে।

অবশ্য, ভারতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থ বিএনপির এখন চীনে একটি উচ্চক্ষমতা-সম্পন্ন টিম পাঠাচ্ছে বলে জানা গেছে। আগামী নির্বাচনে চীন যেন কোনো ভূমিকা রাখে এমনটাই প্রত্যাশা তাদের। তবে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো পক্ষপাত না বরং নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার ব্যাপারেই নীতিগত অবস্থান চীনের।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর: সুশীলরা অতি উৎসাহী, আগ্রহ নেই রাজনীতিবিদদের

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল দুদিনের সফরে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর এটি প্রথম সফর। নানা কারণেই এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর নিয়ে যেরকম উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ত, এখন সে রকম পরিস্থিতি নেই। ডোনাল্ড লু এর বাংলাদেশ সফর নিয়ে রাজনীতির মাঠে আলাপ আলোচনা আছে। তবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এর কেউই এই সফরকে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ডোনাল্ড লু বা কে বাংলাদেশে আসল সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা এটা নিয়ে আগ্রহও নই। অথচ ৬ মাস আগেও তিনি এই ধরনের সফর নিয়ে প্রচণ্ড আগ্রহী ছিলেন। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তখন বিএনপির মধ্যে রীতিমতো উৎসবের ঢেউ বয়ে গিয়েছিল। এখন বিএনপির নেতৃবৃন্দ কেন ডোনাল্ড লুর ব্যাপারে এত নিস্পৃহ-এর উত্তরে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে যে, তারা মনে করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে ধোঁকা দিয়েছে এবং ডোনাল্ড লুর বিভিন্ন কঠোর কথাবার্তায় তারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে সবকিছু তাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু তাঁর ফলাফল ইতিবাচক হয়নি নিন।

ডোনাল্ড লুর নির্বাচনের আগে শেষ তৎপরতা ছিল সকল পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার জন্য তিনি একটি চিঠি দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির কাছে এই চিঠি হস্তান্তর করেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। কিন্তু এই চিঠি বিফলে গেছে। কোন পক্ষই এই চিঠির প্রেক্ষিতে আলোচনায় বসার জন্য আগ্রহী হননি। তাঁর আগেই ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন যে, বাংলাদেশে যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ না হয় তাহলে বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে। যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করবে তাদেরকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই হুমকিও বাস্তবে প্রতিফলিত হতে দেখা যায়নি। 

আওয়ামী লীগ অবশ্য শুরু থেকেই ডোনাল্ড লুর এ ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থায় ছিল। তবে ৭ জাতীয় নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর সফর নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে যেমন উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছিল, তিনি কি করবেন, না করবেন ইত্যাদি নিয়ে নানামুখী আলাপ আলোচনা ছিল, এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে তেমন কোনো আলোচনা নেই। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, এই সফরটি সরকারি এবং এখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলবেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে ডোনাল্ড লুর এই সফর নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই বাংলাদেশের সুশীল সমাজের। সুশীল সমাজ শুরু থেকে ডোনাল্ড লু এর সঙ্গে একটি গভীর সম্পর্ক বজায় রেখে চলছিল এবং নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুকে ব্যবহার করে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশলও দৃশ্যমান ছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় সুশীলরা আশাহত হয়ে পড়েন। এবার ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে তারা নতুন করে আশায় বুক বেধেছেন। ডোনাল্ড লুর সফরে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন যে, ডোনাল্ড লু এই যাত্রায় তিনটি দেশ সফর করছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত এবং শ্রীলঙ্কা সফর করছেন। এই উপমহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে একটি রুটিন সফরের অংশ। এ কারণেই এই সফরটি রাজনৈতিক ভাবে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।

ডোনাল্ড লু   বিএনপি   আওয়ামী লীগ   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   সুশীল সমাজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তৃতীয় ধাপেও ভোটের মাঠে সক্রিয় বিএনপি নেতারা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূল নেতাদের ঠেকাতে পারছে না বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটের মাঠে দলটির তৃণমূল নেতারা। কড়া সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে ভোটের মাঠে রয়েছেন। বিএনপি যাদেরকে বহিষ্কার করছে এমন সাত জন প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। 

তৃতীয় ধাপেও বিএনপির নেতাকর্মীদের বেশির ভাগই কেন্দ্রের নির্দেশনা মানছেন না। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত আছে- বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটের মাঠে আছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মী।

রোববার (১২ মে) তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। সোমবার প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে এ ধাপে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার।

তৃতীয় ধাপে তিন পদে মোট ১ হাজার ৫৮৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬১৮ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪০০ জন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সোমবার চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর থেকে ২৭ মে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন। ২৯ মে এ ধাপে ভোট নেওয়া হবে।

ময়মনসিংহ বিভাগে মাঠে বিএনপি প্রার্থীরা

জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ত্রিশালে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জুয়েল ও বিএনপির সাবেক এমপি আবদুল খালেকের ছেলে আনোয়ার সাদাত ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন।

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জহিরুল আলম সোহাগ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে থাকছেন বলে জানিয়েছেন।

খুলনায় রয়ে গেলেন বিএনপির সবাই

খুলনার ডুমুরিয়ায় বিএনপির তিন প্রার্থীই ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মনিমুর রহমান নয়ন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী আবদুল হালিম ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহিনুর রহমান শাহিন।

রংপুর বিভাগে মাঠে বিএনপি-জামায়াতের ৫ প্রার্থী

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় প্রার্থী রয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য মোকাররম হোসেন সুজন এবং গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লিপ্টন।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বিএনপি নেতা মোকারম হোসেন। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হক শাহীন শিকদার ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রার্থী রয়েছেন উপজেলা জামায়াতের সদস্য আবদুস সালাম সুজা।

প্রার্থী আছে সিলেটেও

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা জাকির হোসেন সুমন সিলেটের বিয়ানীবাজারে নির্বাচন করছেন।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এনবিআর-কাস্টমসের হয়রানির বিষয় মন্ত্রিসভায় তোলা হবে: নানক

প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

এনবিআর ও কাস্টমসের সমস্যা এবং সেবাগ্রহীতারদের হয়রানির বিষয়টি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। 

সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসে ব্যবসা করা বাঙালিরাও এনবিআর ও কাস্টমসের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করেছি। সমস্যা যখন চিহ্নিত হয়েছে সমাধান হতে বাধ্য। সুতরাং আমরা সমাধানের সূত্রগুলো বের করব এবং সমাধানগুলো খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, রোববার কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। তিনি এনবিআর এবং কাস্টমসের হয়রানি নিয়ে কথা বলেছেন। এছাড়া সাংবাদিকরা রয়েছেন অনেক কথা আছে, যেগুলো আমি বলতে পারব না। সমস্ত জায়গা থেকে একটি অভিযোগ আসছে। আমি সম্প্রতি ওমরাহ হজ করে এসেছি। সৌদি আরবে ব্যবসায়ীরা জোর করেই আমার সঙ্গে বসে ছিলেন। বাঙালি ব্যবসায়ীরা সেখানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকেও একই ধরনের অভিযোগ এসেছে।

তিনি জানান, দুটি বিষয় আছে, একটি হলো রেমিটেন্স পাঠানো, আর আরেকটি তারা যে ব্যবসা করে, তারা যেসব মালামাল পাঠায় তা নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসে ও এনবিআরে সমস্যা পোহাতে হয় তাদের। সর্বসাকুল্যে আমি বলব এনবিআর এবং কাস্টমসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এটা বড় সমস্যা। আমি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, পোশাক শিল্পকে আমরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছি না, সমাজ পরিবর্তনেও আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দারিদ্র্য বিমোচনেও আপনারা মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বিজিএমইএ'র দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত না করে বাইরে কোথাও শিল্প করতে দেওয়া যাবে না, এটা শিল্পনীতি হতে পারে না। আপনারা নগদ সহায়তা প্রদান ২০২৬ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার দাবি জানিয়েছেন। আমাদের টার্গেটে পৌঁছাতে হলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে এই নগদ সহায়তার বিষয়টি থাকতে হবে।

এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হয়রানির জায়গা এনবিআর। এনবিআরের চেয়ারম্যান অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। কিন্তু তার নিচে যারা আছে... আলোর নিচে যেমন অন্ধকার সেই অন্ধকার। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে অডিট হয় না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে আমদানি- রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা আমাদের মাল আমদানি করতে পারছি না, রপ্তানিও করতে পারছি না।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি কোন বাধা থাকে না। কিন্তু যোগাযোগ না করলেই হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা যাতে আইন মেনেই সুন্দর সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারি তার দাবি জানাচ্ছি। আমরা হয়রানিমুক্ত ব্যবসা করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাহিরে শিল্প করা যাবে না। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে মাত্র তিনটি চালু হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু না করেই বাহিরে শিল্প করা যাবে না, এমন নির্দেশনা দিলে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই সার্কুলার তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় ২০২৬ সাল পর্যন্ত পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বহাল রাখার দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি। পাশাপাশি সোর্স ট্যাক্স ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি।

এনবিআর   কাস্টমস   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে’

প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার দরকার নেই। সরকারেরও দরকার নেই। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিয়েছে, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। সেদিনও দেখলাম পল্টন ময়দান থেকে একে একে দৌড়াতে দৌড়াতে অলিগলি কোথায় দিয়ে যে পালিয়েছে, কেউ চিন্তাও করেনি।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। যদি তারা আবারও জ্বালাও-পোড়াও করে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে বিএনপিকে আবারও পালাতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পালিয়ে যাওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করব না এই মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের মূল নেতা পালিয়ে আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবরও বক্তব্য দিয়েছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। শেষ পর্যন্ত দেখলাম দৌড়াতে দৌড়াতে তারা পালিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে এসে কেউ আবারও বিএনপিকে মদত দেবে সে পরিস্থিতি এখন বিশ্বে নেই। যারা দাপট দেখাতো তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথাই ইসরায়েল শুনে না।

এসময় ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৩০ জনের

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটে ১৩০ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া এই ধাপে ৬ জন প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপে ২৮ জন, দ্বিতীয় ধাপে ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার (১২ মে)  এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

তিনি জানান, চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ছয় প্রার্থী। এদের মধ্যে ভাণ্ডারিয়ার সব পদ, গোসাইরহাটে ভাইস চেয়ারম্যান ও সোনাগাজী এবং দাগনভুঞা উপেজলায় মহিলা ভাইস পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন; মোট ১৫৮৮ জন প্রার্থীনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৪৫টির মতো উপজেলায় ৮ মে ভোট হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।


উপজেলা   নির্বাচন   প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন