নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩১ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝির মধ্যে চূড়ান্ত হওয়ার কথা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা। ফলে দলের নীতিনির্ধারক ও নির্বাচনী এলাকার মানুষের মন জয়ে দৌড়ঝাঁপ বাড়িয়ে দিয়েছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তাঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধশত তরুণ নেতা মনোনয়ন পেতে পারেন। নৌকার জয় নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আসনে বিতর্কিত, ব্যর্থ সংসদ সদস্যদের বদলে তরুণ পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নতুন মুখ ভোটারদের সামনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগের। এরই মধ্যে অন্তত দেড় ডজন তরুণ নেতাকে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। আরো কয়েক ডজন নেতা জোরালো বিবেচনায় আছেন। দলটির নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্য কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন। (কালের কণ্ঠ)
অন্যান্য সংবাদ
এক কাতারে বিরোধী দল
একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো অবশেষে এক কাতারে আসছে। ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’ নামে ওই নতুন প্ল্যাটফর্ম দৃশ্যমান হচ্ছে শনিবার। ওইদিন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’র ঢাকায় মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশ আছে। সেখানে যোগ দেবেন নেতারা। তবে এই ঐক্যের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেদিন নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে চলতি মাসের শেষে এ ঘোষণা দেয়ার সম্ভাবনা আছে। ঐক্য প্রক্রিয়ার সংশ্লিষ্ট দলগুলোর একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য। তারা আরও জানান, নতুন প্ল্যাটফর্মের গঠন প্রক্রিয় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নেতারা প্রায় প্রতিদিনই দফায় দফায় বৈঠক করছেন। (যুগান্তর)
আপত্তির মুখেই পাস হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল
গণমাধ্যমকর্মী, নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ ও আপত্তি উপেক্ষা করে বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল গতকাল বুধবার সংসদে পাস হয়েছে। এ আইনে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতারের সুযোগ রাখা হয়েছে। সংসদের বৈঠকে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এর আগে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যদের বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও একাধিক সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি করা হয়। গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, এই আইন পাস হওয়ায় স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাহত হবে। এর ফলে সরকারি প্রশাসনযন্ত্রের ভেতরে দুর্নীতি আরও উৎসাহিত হবে। (সমকাল)
এনবিআরের নজরদারিতে আসছে বড় ব্যবসায়ীদের লেনদেন
মাঠ পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মাঝারি ও বড় অঙ্কের লেনদেন এনবিআরের নজরদারিতে আনতে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছে। বার্ষিক পাঁচ কোটি টাকার উপরে বিক্রয় (টার্নওভার), এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। আগামী জানুয়ারি থেকে এই সফটওয়্যার ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা জারি করে সম্প্রতি এনবিআর একটি আদেশ জারি করেছে। ব্যবসায়ীরা এই বাধ্যবাধকতা না মানলে বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানা গুণতে হবে। দেশব্যাপী কত সংখ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৫ কোটি টাকার উপরে বার্ষিক টার্নওভার- তার কোনো পরিসংখ্যান এনবিআরের কাছে নেই। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এটি পুরোদমে চালু হলে নতুন করে ৮ থেকে ১০ হাজার ব্যবসায়ীর লেনদেন এনবিআরের নজরদারিতে আসবে। (ইত্তেফাক)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন