নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তফ্রন্ট, গণফোরামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গঠিত হয়েছে। ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বানে গত শনিবার মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নাগরিক সমাবেশ। অর্থ্যাৎ বেশ জোরেসোরেই নিজেদের কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নবগঠিত এই জোট। তবে জোটের নেতারা চাইছেন, এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণই নয়, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণও নিশ্চিত হোক। এই উদ্দেশ্যে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় দেশের সুশীল সমাজের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য শিগগিরই সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করার উদ্যোগ নিয়েছে নতুন এই জোটের নীতিনির্ধারকরা। ইতিমধ্যেই ঐক্য প্রক্রিয়ার পক্ষ থেকে অনেক হেভিওয়েট মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে আর এই ব্যাপারে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জোটটির জন্য দুঃসংবাদ হলো, অংশগ্রহণের বিষয়ে সুশীল সমাজের অনেকের কাছ থেকেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন তাঁরা।
তবে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার জন্য আশার আলোও দেখা যাচ্ছে। সুশীল সমাজের বড় একটি অংশ এই রাজনৈতিক জোটে অংশগ্রহণে অনীহা দেখালেও অনেকে আবার এই জোটে সম্পৃক্ত হতে সম্মতিও জ্ঞাপন করেছেন। এদেরই একজন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বর্তমানে তিনি ইতালিতে আছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই ঢাকায় ফিরে তিনি এই প্রক্রিয়ার নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার একটি গতিশীল সময়ে নিজেকে এর সঙ্গে যুক্ত করবেন বলে জাতীয় ঐক্যের নেতা ড. কামাল ও ডা. জাফরুল্লাহকে নিশ্চিত করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আগে থেকেই এই ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন। ঐক্য প্রক্রিয়ার বিভিন্ন কৌশলগত কাজ করছেন তিনি। অধ্যাপক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য শেষ পর্যন্ত ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকবেন বলেই নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
এক এগারোর সময় ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তিনিও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দেবেন। উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বানে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারও নির্দিষ্ট সময়ের পর এই ঐক্যের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই তিনি সারাদেশের ভোটার তালিকা, প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহের কাজগুলো সুজনের মাধ্যমে করছেন। এছাড়া অনেক আগে থেকেই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের সমালোচনা করে বই লিখে বহুল আলোচিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাও জাতীয় নাগরিক ঐক্যে যোগ দিতে যাচ্ছেন। বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৮- ১০ দিনের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করবেন এস কে সিনহা।
সুশীল সমাজের স্বচ্ছ ইমেজের ব্যক্তিত্বদের না পেলেও বিভিন্ন কারণে আলোচিত-সমালোচিত কয়েকজন সুশীলকে পাশে পাচ্ছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় এমন সুশীলদের অংশগ্রহণ জনগণের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াবে কিনা তা নিয়ে অবশ্য সন্দিহান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।