নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল এবং ডিসেম্বরের শেষদিকে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। ওই সময়সীমা অনুযায়ী ভোটের রোডম্যাপ (প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা) চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে ইসি। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো গোপনীয়তার সঙ্গে আলাদাভাবে নিজ দফতরের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে। এতে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ কখন ও কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এরপর তা একীভূত করে অনুমোদন করবে কমিশন। সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ভোটের কর্মপরিকল্পনা দ্রুত শেষ করতে ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। ইসির হিসাব অনুযায়ী, আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগননা শুরু হচ্ছে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। (যুগান্তর)
অন্যান্য সংবাদ
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের আমলনামা যাচাই-বাছাই হচ্ছে
জামায়াত বা জঙ্গি সংশ্লিষ্ট কাউকে নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া হবে না। এ জন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আমলনামা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের একাধিক সংস্থা এ উদ্দেশ্যে মাঠ পর্যায় থেকে নাম ঠিকানা সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে জানা যায়। অবশ্য অতীতেও এমন যাচাই বাছাই করার নজির রয়েছে বলে বলা হচ্ছে। (ইত্তেফাক)
ঐক্যের চাপে বিএনপি
সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে `বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য` গড়ে তুলতে চাপের মুখে পড়েছে বিএনপি। শনিবার জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশের মাধ্যমে এর সূচনা হওয়ার পর এটিকে `চূড়ান্ত রূপ` দিতে দলটিকে ভেবেচিন্তে এগোতে হচ্ছে। বিএনপিকে এখন তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এগুলো হলো- সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টন করা, রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনা এবং জামায়াতে ইসলামী-সংক্রান্ত জটিলতার ইতিবাচক সমাধান করা, যাতে জাতীয় ঐক্যের ক্ষতি না হয়। অবশ্য ঐক্য গড়ার অভিপ্রায়ে বড় ধরনের `ছাড়` দিয়ে হলেও সংকট সমাধানের চেষ্টা করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। এ লক্ষ্যে দফায় দফায় বৈঠকও করছেন তারা। (সমকাল)
ওএমএসের জব্দ পণ্য হয়ে গেল রেশনের!
ভর্তুকি সুবিধায় স্বল্পমূল্যে ট্রাকে করে খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) জন্য খাদ্যসামগ্রী কালোবাজারে বিক্রির ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে কালোবাজারি চক্র। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকার ভর্তুকি দিয়ে এসব খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করে ডিলারদের মাধ্যমে। সম্প্রতি র্যাব প্রকাশ্যে অভিযান চালিয়ে যেসব খাদ্যসামগ্রী জব্দ করেছে, সেগুলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রেশনের সামগ্রী বলে প্রমাণ করার পাঁয়তারা চলছে। একই সঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি এবং তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদেরও ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে। র্যাবের অভিযানে জব্দ করা ২১৫ টন চাল, গম ও আটার মধ্যে রেশনের কিছু গম আছে বলে দাবি করছে একটি পক্ষ। (কালের কণ্ঠ)
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়ে এক নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের ৩ নম্বর লিফটে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে লিফট অপারেটরদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেছেন।
মৃত মমতাজ বেগম (৫০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিন বিএসসি'র স্ত্রী।
মৃতের ভাগ্নে খন্দকার শাহদত হোসেন সেলিম বলেন, আমার মামি মমতাজ বেগম শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই হাসপাতালের ১১ তলার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাকে একই ভবনের ৪র্থ তলায় থাকা কার্ডিওলজি বিভাগে ট্রান্সফার করেন। মামি হাঁটাচলা করতে পারলেও দ্রুত হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার জন্য ট্রলিতে ওঠানো হয়। পরে মামি, তার ছেলে আব্দুল মান্নান, মেয়ে শারমিন ও আমি হাসপাতালের ৩নং লিফটে উঠি। ৯ম ও ১০ তলার মাঝমাঝি থাকা অবস্থায় লিফটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তখন আমি লিফটে থাকা মোবাইল নম্বরে একাধিক ব্যক্তিকে বার বার ফোন করলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।
এমতাবস্থায় রোগী ছটফট করতে থাকলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। প্রায় ৪৫ মিনিট পর এক পর্যায়ে কয়েকজন অপারেটর দরজা কিছুটা ফাঁক করে আবার বন্ধ করে চলে যায়। এসময় অনেক কষ্টে আমরা তিনজন বেরিয়ে আসতে পারলেও মামীকে বের করা সম্ভব হয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরের কলের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল যান। কিন্তু ততক্ষণে লিফটের ভেতরেই আমার মামি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা দরজা খুলে মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। যদি সঠিক সময়ে তাকে উদ্ধার করা হতো তাহলে হয়তো বাঁচানো যেত।
এর আগে গত ৪ মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১২ তলার ভেতরের দেয়াল ও মেঝের মধ্যে থাকা ফাঁকা স্থান দিয়ে এক রোগী ১০ তলায় পড়ে গিয়ে মারা যান। এসব অবহেলায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন রোগীর স্বজনরা।
লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে রোগী মমতাজ বেগম ও তার কয়েকজন স্বজনসহ লিফটে আটকা পড়েন। লিফটের অপারেটর ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে মমতাজের লাশ ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।