নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০২ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বারিধারার বাসায় গতকাল যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মতো নেতারা উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না কোনো সিনিয়র নেতা। জানা গেছে, বৈঠকে ড. কামাল হোসেন থাকবেন না জানার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি।
বৈঠকের শেষ পর্যায়ে মাহি বি. চৌধুরী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে জিজ্ঞেস করেন, আপনারা এই বৈঠকে কেন? এই বৈঠকে তো বিএনপির সিনিয়র নেতাদের আসার কথা। বিএনপির সিনিয়র নেতারা তখন মঈন আহমেদের বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন। তবে টুকু মাহী বি. চৌধুরীকে বলেন, তাঁরা ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি। তখন মাহী তাঁকে বলেন, যুক্তফ্রন্টের দিক থেকে স্পষ্ট অবস্থান হচ্ছে, বিএনপি যদি যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে ঐক্য করতে চায় তাহলে যুক্তফ্রন্টের তিনটি শর্ত মানতে হবে।
প্রথমত, বিএনপিকে জামাত ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে হবে। ২০ দলীয় জোট থেকে জামাতকে বাদ দিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, ইসলামপন্থী দলগুলোর সঙ্গ পরিত্যাগ করতে হবে।
তৃতীয়ত, তারেক জিয়াকে বি. চৌধুরীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এক বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বি. চৌধুরীর কাছে অতীতে তাঁর সঙ্গে করা বিএনপির কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান। এ প্রসঙ্গে মাহী বলেন, মির্জা ফখরুল কিংবা মওদুদ আহমেদরা বিএনপি চালান না। বিএনপি চালান খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক জিয়া। তাই ক্ষমা চাইলে তাদের দুজনের কাউকেই চাইতে হবে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বাবা বি. চৌধুরীর সঙ্গে বিএনপির আচরণকে মাহী বি. চৌধুরী খুব ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছেন। তাই বিএনপি চেয়ারপারসন ও তাঁর ছেলের দিক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া না হলে বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে আপত্তি জানিয়েছেন তিনি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।