নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১২ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকি মোকাবেলায় বিশ্বের দেশগুলোর কাছে স্বল্প ব্যয়ে প্রযুক্তি স্থানান্তরে বিশ্ব সম্প্রদায়ের একটি দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্বল্প খরচে প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের প্লেনারি হলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক এক প্লেনারি সেশনে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
শহীদুল হক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে যে ধরনের চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে সে সম্পর্কে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে তাঁদের চিন্তা-ভাবনা জানতে চাওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী এর উত্তরে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ভূখন্ডের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দেশ। আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জই হচ্ছে এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা এবং সুশিক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করা, যাতে করে তারা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা বিধান করতে পারে।’
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে বাংলাদেশকে সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করা যাতে করে সকলে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল পেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশের মত দেশের জন্য স্বল্প ব্যয়ে এবং সহজে প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু আমরা বৃহৎ প্রযুক্তি উৎপাদনকারী দেশ নই, তাই আমরা যাতে করে সহজে এবং স্বল্পমূল্যে প্রযুক্তি পেতে পারি সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশকে এর জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতায় যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। তাই তাঁর সরকার বিভিন্ন করিগরি প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যাতে করে শিল্প বিপ্লবের আমলে তাদেরকে কর্মচ্যুত হবার ঝুঁকির মধ্যে পড়তে না হয়।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় শিক্ষার প্রসারে তাঁর সরকারের বিনামূল্যে পাঠ্য পুস্তক বিতরণ, নানা বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান এবং নারী শিক্ষাকে উৎসাহ প্রদানের মতো পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এখন প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে বৃত্তি-উপবৃত্তি পাচ্ছে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার শুরুতেই তাঁকে নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট প্রায় ১০ লাখের অধিক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদানের জন্য অভিনন্দিত করেন।
এ সময় উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারীগণ জোরে করতালির মাধ্যমে এই অভিনন্দনকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতো, হল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, জনসন এন্ড জনসন এর সিইও এবং মজিলা ফায়ার ফক্সের সিইও এই প্লেনারি সেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা সেশনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আবহের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে বিভিন্ন দেশের কর্মকান্ডের প্রতি বিশেষ করে শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং স্বাস্থ্য খাতের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
সূত্রঃ বাসস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন